যাদুকাটা ও ধোপাজান
অবাধে লুট হচ্ছে দুই নদীর বালু-পাথর
- আপলোড সময় : ১০-০৮-২০২৪ ০১:৪২:৫৬ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ১০-০৮-২০২৪ ০১:৪২:৫৬ পূর্বাহ্ন

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অনুপস্থিতিতির সুযোগে সুনামগঞ্জের দুটি নদীতে বালু-পাথর লুট হচ্ছে অবাধে। যাদুকাটা নদীতে ড্রেজারে এবং ধোপাজান ইজারাবিহীন নদীতে বালু পাথর আহরণ করছে একটি চক্র।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, তাহিরপুরের সীমান্ত নদী যাদুকাটা ইজারাধীন একটি নদী। দীর্ঘদিন ধরে নদীতে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু পাথর আহরণ করছিল ইজারাদারদের লোকজন। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে প্রতিবাদ ও সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে প্রশাসন অন্যদিকে ব্যস্ত থাকায় অবৈধ ড্রেজারের বহর নদীতে দেখা যায়। নদীর তীর কেটে প্রতিদিন শতাধিক ড্রেজার অবৈধভাবে বালু পাথর আহরণ করছে। নদীর তীর কাটার কারণে হুমকিতে পড়েছে গ্রামগুলো।
তাহিরপুরে লাউড়েরগড়ের বাসিন্দা এরশাদ মিয়া বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নদীতে অবৈধ ড্রেজার চলছে। তবে ১৫ দিন ধরে ড্রেজারের সংখ্যা বেড়েছে। প্রতিদিন শত শত ড্রেজার অবৈধভাবে বালু-পাথর আহরণসহ নিষিদ্ধ ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে আহরণ করছে।
এদিকে সুনামগঞ্জের ইজারাবিহীন ধোপাজান নদী থেকেও অবাধে শত শত নৌকা দিয়ে রাতে বালু-পাথর আহরণ করছে স্থানীয় একটি চক্র। সাম্প্রতিক পরিস্থিতির সুযোগে বৃদ্ধি পেয়েছে অবৈধভাবে বালু পাথর আহরণ। এই চক্র নদী থেকে বালু উত্তোলন করে বিশ্বম্ভরপুরের ফতেপুর ইউনিয়নের টানাখালিতে নিয়ে ডা¤িপং করে রাখছে।
ফতেপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান বলেন, ধোপাজান থেকে বালু লুট করে আমাদের এলাকায় এনে ডা¤িপং করছে একটি চক্র। তারা সরকারের রাজস্ব মেরে এই সুযোগে প্রতিদিন কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, যাদুকাটায় ড্রেজার নিষিদ্ধ। দেশিয় পদ্ধতিতে বালু আহরণ করতে হবে। কেউ আইন ভঙ্গ করলে আমরা বারবার অভিযান চালাই। তবে ধোপাজান ইজারাবিহীন নদীতে বালু আহরণ নিষিদ্ধ বলে জানান তিনি। এখন পুলিশের অনুপস্থিতিতে ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছেনা জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা স্থনীয়ভাবে বিষয়টি প্রতিরোধের আহ্বান জানিয়েছি।
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ