সুনামগঞ্জ , সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫ , ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সুনামগঞ্জ পৌরসভার ৬২ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা বজ্রপাতের ঝুঁকিতে সুনামগঞ্জ শীর্ষে বন্ধ করা হলো সেই গ্যাস পাইপ লাইনের লিকেজ আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখছে সুনামগঞ্জের ইমা হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সে গ্রাহক হয়রানি, বছরের পর বছর ঘুরেও মিলছে না বীমার টাকা পাকিস্তানে আত্মঘাতী হামলায় ১৬ সেনা নিহত টাঙ্গুয়ার হাওর রক্ষায় কাজ করবে সরকার: মহাপরিচালক শহরে সক্রিয় মাদক কারবারিরা চোখের সামনে বিলীন হচ্ছে ভিটেমাটি সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদে মানববন্ধন অ্যাড. নুরুল ইসলামকে ফতেপুর বিএনপি নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন আধিপত্য নিয়ে লড়াইয়ের অবসান চান গ্রামবাসী কাজ না করেই তিন প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ সুনামগঞ্জকে শান্তিপ্রিয় নাগরিকদের শহর হিসেবে গড়ে তুলতে হবে সুনামগঞ্জ-৫ আসনে আলোচনায় বিএনপি’র দুই হেভিওয়েট প্রার্থী কৃষকরা বাংলাদেশকে বাঁচিয়ে রেখেছেন : অতিরিক্ত কৃষি সচিব নদী ভাঙন রোধের দাবিতে ভাদেরটেক গ্রামবাসীর মানববন্ধন গ্যাসের পাইপ লাইনে লিকেজ, দুর্ঘটনার আশঙ্কা জামালগঞ্জে রথযাত্রা অনুষ্ঠিত বিএনপি নেতা অ্যাড. নূরুল ইসলামের গণসংযোগ

যেভাবে হত্যা করা হয় শিশু মুনতাহাকে

  • আপলোড সময় : ১১-১১-২০২৪ ০২:২০:২০ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১১-১১-২০২৪ ০২:২০:২০ অপরাহ্ন
যেভাবে হত্যা করা হয় শিশু মুনতাহাকে
সুনামকণ্ঠ ডেস্ক :: ছোট্ট শিশু মুনতাহা আক্তার জেরিন। বয়স মাত্র পাঁচ বছর। মিষ্টি হাসি দিয়ে ভুলিয়ে রাখতো পরিবারের সবাইকে। আপন করে নিয়েছিলেন প্রতিবেশীরাও। সেই মিষ্টি-চঞ্চল মেয়েটিকে হত্যা করা হয় নির্মমভাবে। এ হত্যাকা-ে জড়িত শিশুটির সাবেক গৃহশিক্ষক। পুলিশের একটি সূত্র জানায়, মুনতাহা আক্তার জেরিনকে পড়াতেন শামীমা বেগম মার্জিয়া (২৫)। তবে খারাপ আচরণের কারণে মুনতাহার বাবা তাকে পড়াতে নিষেধ করেন। এতে প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে ওঠেন মার্জিয়া। শিশুটির বাবা-মায়ের ওপর প্রতিশোধ নিতে গত ৩ নভেম্বর মুনতাহাকে কৌশলে তিনি এবং তার মা আলিফজান বিবি তাদের বসতঘরে নিয়ে যান। ঘরের ভেতর মুনতাহার মুখের মধ্যে ওড়না ঢুকিয়ে এবং গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। পরে মরদেহ বস্তাবন্দি করে ঘরের মধ্যে রেখে দেন। এরপর গভীর রাতে মরদেহ পলিথিনে মুড়িয়ে বসতঘরের পাশে একটি নালায় পুঁতে রাখেন। রবিবার ভোরের দিকে নিজ বাড়ির পাশে নালা থেকে পুকুরে ফেলার সময় শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এসময় মার্জিয়ার মা আলিফজান বিবিকে আটক করে স্থানীয় জনতা। এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন কানাইঘাট সদর ইউনিয়নের বীরদল ভাড়ারিফৌদ গ্রামের মৃত ময়না মিয়ার ছেলে শিশু মুনতাহার সাবেক গৃহশিক্ষক শামীমা বেগম মার্জিয়া (২৫), তার মা আলিফজান বিবি (৫৫), পাশের বাড়ির মৃত ছইদুর রহমানের ছেলে ইসলাম উদ্দিন (৪০) ও মামুনুর রশিদের স্ত্রী নাজমা বেগম (৩৫)। মুনতাহা সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের বীরদল ভাড়ারিফৌদ গ্রামের শামীম আহমদের মেয়ে। রোববার বাদ আসর বীরদল পুরানফৌদ জামে মসজিদে জানাজা শেষে গ্রামের পঞ্চায়েত কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে। জানাজায় শত শত মানুষ অংশ নেন। যেভাবে সন্ধান মেলে মুনতাহার মরদেহের : গত ৩ নভেম্বর দুপুরে শিশু মুনতাহা পার্শ্ববর্তী আব্দুল ওয়াহিদের বাড়ির শিশুদের সঙ্গে খেলতে যায়। ওইদিন বিকেল পর্যন্ত সে বাড়িতে না ফেরায় খোঁজাখুঁজি করেন পরিবারের লোকজন। সন্ধান না পেয়ে বাবা শামীম আহমদ কানাইঘাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। মুনতাহা নিখোঁজের পর থেকে থানা পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং তার আত্মীয়-স্বজন সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেন। কিন্তু কোনো সন্ধান পাননি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে মুনতাহা নিখোঁজের বিষয়টি। সারাদেশের মানুষ নিখোঁজ মুনতাহাকে ফিরে পেতে ফেসবুকে আবেগঘন পোস্ট দেন। অনেকে স্বেচ্ছায় খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। মুনতাহার পরিবার, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার রাতে সন্দেহজনকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিশু মুনতাহার গৃহশিক্ষক মার্জিয়াকে থানায় নেয় পুলিশ। এসময় আচরণ সন্দেহজনক মনে হলে মার্জিয়ার বাড়িতে মুনতাহার সন্ধানে তল্লাশি চালান স্থানীয়রা। রাত সাড়ে ৩টার দিকে বাড়ির আশপাশে তল্লাশি চালানোর একপর্যায়ে মার্জিয়ার মা আলিফজান বিবিকে অন্ধকারের মধ্যে রাস্তা পার হতে দেখা যায়। তাকে আটকাতে চাইলে তিনি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। এসময় স্থানীয়রা গিয়ে তার কোলে কাদামাটি মাখা মুনতাহার মরদেহ দেখতে পান। পরে মার্জিয়ার মাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন স্থানীয়রা।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স