ফ্যাসিবাদ বিদায় হলেও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়নি : নজরুল ইসলাম খান
- আপলোড সময় : ০৮-১১-২০২৪ ১১:৩২:৩১ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ০৮-১১-২০২৪ ১১:৩২:৩১ পূর্বাহ্ন

সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ফ্যাসিবাদ বিদায় হয়েছে, কিন্তু গণতন্ত্র এখনও পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়নি। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে- এদেশের মানুষ যখন তাদের ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধিদের একটা সরকার নির্বাচিত করতে পারবে। অবশ্যই সেই নির্বাচন যেন অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ হয়, সেজন্য যেসব সংস্কার করা প্রয়োজন, সেগুলো অবশ্যই করা উচিত।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে ১২ দলীয় জোট আয়োজিত ‘৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস গণতন্ত্র উত্তরণে নব দিগন্তের সূচনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নজরুল ইসলামের খান বলেন, ফ্যাসিবাদের পতনের পর গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠাই হচ্ছে মূল প্রায়োরিটি। এটা আমাদেরকে মনে রাখতে হবে। জনগণের দৈনন্দিন সমস্যার সমাধান তো করতেই হবে। এটাতো স্বাভাবিক ব্যাপার। এটা যে যখন ক্ষমতায় থাকবে তার করতেই হবে - এটা তার দায়িত্ব। আমি আবার বলি এই সরকার আমাদের সরকার। এই সরকারের সফলতা চাই, আমরা সহায়তা করতে চাই। কিন্তু আমার কাজ আমাকে বুঝতে হবে, আমি সভার প্রধান অতিথি হয়েতো সভার সমাপ্তি ঘোষণা করতে পারি না। এটাতো ঠিক না। যার যার কাজ তাকে বুঝতে হবে। একটা নির্বাচিত সরকারের কাজ আর একটা অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ কী, সেটাও বুঝতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, অত্যন্ত যোগ্য মানুষের কাছে আমরা দায়িত্ব দিয়েছি। অত্যন্ত বিজ্ঞ মানুষদের কাছে আমরা দায়িত্ব দিয়েছি। তারা তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবেন।
সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সংস্কারের কথা যারা বলেন তারা নতুন কিছু বলতেছেন না। কারণ এই সংস্কার যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। এই সংস্কারের কথা আমরা বহুবার বলেছি এবং আমরা এটাও বিশ্বাস করি যে, এই সংস্কার এবারই করে ফেলা যাবে, এমন কোনও কথা না। এমনকি এরপরে যে সরকার আসবে, তারাও সব করে ফেলতে পারবে, এমনও কোনও কথা না। কারণ আজকে আমরা যেটা করছি সেটা ১০ বছর পরে আমরাই বলতে পারি যে, এটা নতুন করে সংস্কার করা দরকার। কাজেই সংস্কার একটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। কেউ যদি মনে করেন- আমরাই সব সংস্কার করে ফেলবো সেটা হবে না। এটা পারা যায় না।
তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যে দায়িত্ব তারা সেটাই পালন করুন। অর্থাৎ একটা অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য যেসব সংস্কার প্রয়োজন এবং দেশের জনগণের দৈনন্দিন সংকট সমাধানের জন্য যা যা ব্যবস্থা করা প্রয়োজন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখার জন্য যা যা করা প্রয়োজন, তার সবই করতে পারেন। এমনকি একটা নির্বাচিত সরকার এসে কী কী করলে ভালো, সে পরামর্শ থাকলে সেটাও তারা বলতে পারে।
৭ নভেম্বর নিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা ৭ নভেম্বরের পরিবর্তনের ফলে একজন নতুন নেতা পেয়েছিলাম, জিয়াউর রহমান বীর উত্তম। তার হাত ধরে আমরা শুধু একদলীয় স্বৈরশাসকের গোরস্থানের ওপর বহুদলীয় গণতন্ত্রের বাগান রচনা করি নাই- আমরা যে দেশের ৭৪ এর দুর্ভিক্ষে লাখ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছে, সে দেশের মানুষকে খাদ্য উৎপাদনে উদ্দীপ্ত করতে পেরেছি। উৎপাদন বাড়াতে পেরেছি। সে সময়ে কল-কারখানায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল, সেগুলো শুধু চালু না সেসময় আমরা নতুন শিল্প গড়তে পেরেছি। এই সময়ের যে উদ্যোগ তার ফলেই আমরা আজকের বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল যে তিনটি স্তম্ভ, তার প্রত্যেকটা আমরা অর্জন করেছি ৭ নভেম্বরের জন্য।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ