ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
দেশ পুনর্গঠনে মার্কিন সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা নবাগত জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব গ্রহণ আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) নতুন বাংলাদেশে দলবাজি-দখলবাজির লক্ষণ উদ্বেগের কারণ আন্দোলনে নিহত গার্মেন্টস শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ দাবি সীমান্তের ওপারে কয়লা আনতে গিয়ে মাটিচাপায় বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু শহরে একযোগে ফলের দোকান বন্ধ পুনর্বাসন চান ব্যবসায়ীরা সিগারেট না দেয়ায় যুবক খুন চোরাকারবারি চক্র সীমান্তে সক্রিয় সুবিধাভোগী ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা : উপদেষ্টা অভ্যুত্থানে শহীদ ৮৭৫ জনের মধ্যে ৪২২ জন বিএনপি’র : মির্জা ফখরুল মাজারের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যবস্থা নিতে ডিসিদের নির্দেশ ধোপাজান-চলতি নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন:ভাঙনের মুখে বিস্তীর্ণ জনপদ সুনামকণ্ঠ সাহিত্য পরিষদের আড্ডা অনুষ্ঠিত হিন্দু-মুসলমান নয়, বড় বিষয় হলো আমরা মানুষ ফিজিতে ওয়ার্ক পারমিট পাওয়া প্রবাসীদের শীর্ষে বাংলাদেশিরা আ.লীগ ছাড়াও আগামী জাতীয় নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে : বদিউল আলম রাষ্ট্র মেরামতের ভিত্তি হবে অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন : তারেক রহমান আর্থনীতিক অবস্থার পরিবর্তন চাই স্বাস্থ্য সংস্কার কমিটি থেকে সভাপতির পদত্যাগ

​আত্মসাৎ প্রবণতার দাসত্ব থেকে জাতিকে মুক্ত করুন

  • আপলোড সময় : ১০-০৮-২০২৪ ০১:০১:১৪ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১০-০৮-২০২৪ ০১:০১:১৪ পূর্বাহ্ন
​আত্মসাৎ প্রবণতার দাসত্ব থেকে জাতিকে মুক্ত করুন
গত বুধবারের (৭ আগস্ট ২০২৪) দৈনিক সুনামকণ্ঠের একটি সংবাদ শিরোনাম ছিল, ‘স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে জনজীবন’। সংবাদের শুরুতেই বলা হয়েছে,  ‘আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর [...] মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সকাল থেকে দোকানপাট, ব্যাংক, অফিস, আদালত খোলা ছিল। শহরে অন্যান্য দিনের মতোই যানবাহন চলাচল ছিল স্বাভাবিক।’ কিন্তু প্রশ্ন হলো এই স্বাভাবিকতা কি আসলেই স্বাভাবিক? আওয়ামী লীগের শাসনামলেও এমন স্বাভাবিকতা ছিল স্বাভাবিক। তখনও দোকানপাট, ব্যাংক, অফিস, আদালত খোলা ছিল, যেমন সচরাচর খোলা থাকে এবং যানবাহন চলতো যেমন আজও চলে। তাছাড়া  অনৈতিকতা, অন্যায়, ঘুষ, দুর্নীতি, দমন, পীড়ন, হুমকি, চোরাচালান, মাদকব্যবসা, চুরি, অপহরণ, জবরদস্তি, জবরদখল, লুট, চাঁদা তোলা, জালিয়াতি, ফড়িয়াগিরি, প্রভাবশালী চক্রের দাপট এবং সর্বোপরি রাজনীতিসহ সবকীছুই চলমান ছিল, কীছুই বন্ধ ছিল না।

এই সমাজে এমন অভিজ্ঞজনও আছেন যিনি, এই স্বাভাবিকতার চাদরে ঢাকা দৈনন্দিকতাকে অস্বাভাবিকতার বায়বিকতায় ডুবে থাকা একটি ব্যবস্থারূপে প্রত্যক্ষ করেন, যেমন মাছ ডুবে থাকে জলে। একজন ব্যবসায়ী যিনি আগে ‘ক’কে চাঁদা দিতেন এখন ‘খ’কে চাঁদা দিচ্ছেন। আগে ‘ক’ তোলা তোলতেন এখন ‘খ’ তোলা তোলবেন। কিংবা আগে ‘ক’ নিয়ন্ত্রণ করতেন এখন ‘খ’ নিয়ন্ত্রণ করবেন। এবংবিধ অনুসন্ধানে এই সত্য প্রতিপন্ন হয় যে, প্রতিটি ক্ষমতার রদবদলের তলে আগেকার বদভ্যাসগুলো সমাজে থেকেই যায়, নতুন ক্ষমতায় আসা কেউ সমাজের মুষ্ঠিমেয় প্রভাবশালী লোকের এই বদচর্চার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তোলেন না। এমতাবস্থায় ব্যক্তিগত সম্পদ সঞ্চয়ের মানসিকতাসঞ্জাত ঘুষ, দুর্নীতি, পরধন লুণ্ঠন ইত্যাদি অপকর্মে লিপ্ত থাকাই মানুষের নিয়তি হয়ে পড়ে অর্থাৎ একথায় আত্মসাৎপ্রবণতার দুষ্টচক্র থেকে মুক্ত হতে পারা মানুষের জন্যে অসম্ভব হয়ে পড়ে। এই দুষ্টচক্র থেকে বেরিয়ে আসার পথ সন্ধান করা এখন জাতির জন্য একান্ত জরুরি। তা নাহেলে সামাজিক শান্তি, সুখ, নিরাপত্তা ও টেকসই উন্নয়ন কিংবা সমৃদ্ধি, এমন কি রাজনীতিক স্থিতিশীলতা অর্জন জাতির জন্যে সুদূর পরাহতই থেকে যাবে কেবল নয়, সাধারণ মানুষের অবস্থা হবে তপ্ত তাওয়া থেকে জ্বলন্ত উনুনে গিয়ে পড়ার মতো। দেশের মানুষ আর ক্ষমতার রদবদলের রাজনীতির ফাঁদে পড়ে  তপ্ত তাওয়া থেকে জ্বলন্ত উনুনে পড়ে পুড়ে মরতে চান না।

দ্বিতীয় বিজয় ও আবার এক নতুন স্বাধীনতা অর্জনের কথা বলা হচ্ছে। এই বিজয় আর স্বাধীনতা যেনো কোনও দলের বিজয় কিংবা স্বাধীনতায় পর্যবসিত হয়ে না যায়। ভুলে গেলে চলবে না, এমনটা হলে, মানুষ আত্মসাৎপ্রবণতার দাসত্ব থেকে মুক্তি লাভ করতে পারবে না কীছুতেই এবং পরিণতিতে আবার দেশের চেয়ে দল, দলের চেয়ে ব্যক্তি বড় হয়ে উঠবে এবং বোধ করি ছাত্রদেরকে আবার একটি আন্দোলনে নামতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশা এই আত্মসাৎপ্রবণতার দাসত্ব থেকে মানুষের মুক্তির পথ করে দেওয়ার পৃথিকৃত হয়ে উঠুন, পুঁজির দাসত্ব থেকে মানুষকে এই জাতিকে মুক্ত করুন।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য