সুনামগঞ্জ , বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫ , ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ দ্রুত ঘোষণা করতে হবে : এ জেড এম জাহিদ হোসেন প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে শান্তিগঞ্জ ইউএনও’র উদ্যোগ : বেসিক নলেজ যাচাই পরীক্ষা সম্পন্ন জামালগঞ্জে উত্তম কৃষি চর্চা প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত ইজিবাইকের যৌক্তিক ভাড়া নির্ধারণের দাবিতে যাত্রীদের মানববন্ধন হাওর ভাতায় বৈষম্যের অবসান, খুশি স্থানীয় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ৩০৫ পিস ইয়াবাসহ যুবক আটক পথে যেতে যেতে : পথচারী নিবন্ধন ফিরে পেল জামায়াত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জমে উঠছে কোরবানির পশুর হাট নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার বন্ধে একসাথে কাজের আহ্বান শান্তিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা, রোগীদের চরম ভোগান্তি বিশ্ব দুগ্ধ দিবস পালিত নদী ভাঙনের ঝুঁকিতে জামালগঞ্জ-সুনামগঞ্জ সড়ক সুনামগঞ্জে ২ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসী কনফারেন্স অনুষ্ঠিত নদ-নদীর পানি বাড়লেও হাওরে পানি কম বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালিত আন্তর্জাতিক গুম সপ্তাহ উপলক্ষে অধিকার’র মানববন্ধন ভাটির হাওরে ক্ষেতমজুররাই নব্য উৎপাদক শক্তি

চালের দাম নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ও কঠোর আইন প্রণয়ন করুন

  • আপলোড সময় : ০৭-১১-২০২৪ ০৮:৩৯:৪৪ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৭-১১-২০২৪ ০৮:৩৯:৪৪ পূর্বাহ্ন
চালের দাম নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ও কঠোর আইন প্রণয়ন করুন
গণমাধ্যমান্তরে সংবাদ বেরিয়েছে, ‘বেড়েই চলেছে চালের দাম’। বলা হয়েছে যে, গত এক মাস ধরেই চালের মূল্য ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। বিশেষ করে সিদ্ধ চাল ও মোটা জাতের চালের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন দিনমজুরসহ নি¤œআয়ের মানুষেরা। নির্দিষ্ট আয়ে বাড়তি দামে চাল কিনতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁদেরকে। ভোক্তাদের ধারণা, বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরও কারসাজি করে দাম বাড়ানো হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এই কারসাজি দেশের ভোক্তা অধিকার আইন প্রয়োগ করে ঠেকানো যাচ্ছে না। ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, মিল মালিকরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে তাঁরা (ব্যবসায়ীরা) বেশি দামে চাল কিনে বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। ৫০ কেজি চালের বস্তার দাম ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এদিকে মিল মালিকরা বলছেন, ধানের দাম বেড়েছে, তাই চালের দামও বেড়েছে। অর্থাৎ দাম কেবল বাড়ে কিন্তু কমে না কীছুতেই। ব্যবসায়ের নিয়ম এটাই, মুনাফার পুচ দামের মুখে না লাগলে বাজার বসে না। পণ্যের দাম বাড়ার এবংবিধ মুনাফা শিকারের পুঁজিবাদী অজুহাত অনেক পুরনো। বাংলাদেশে সেই ব্রিটিশ আমলের শুরু থেকে তার প্রকট প্রাদুর্ভাবের প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়। এর মূলে ছিল ব্রিটিশ বেনিয়া ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রতিনিধিদের চাল মজুত করে রাখার দুরভিসন্ধি। বাংলায় সংঘটিত ছিয়াত্তরের মন্বন্তর অর্থাৎ মহাদুর্ভিক্ষের প্রত্যক্ষদর্শী এক ইংরেজ (তাঁর নাম ইয়ং হাজব্যান্ড) ১৭৮৬ সালে প্রকাশিত একটি পুস্তকে লিখেছেন যে, ইংরেজ বণিকরা মুনাফা শিকারের পরবর্তী উপায় হিসাবে চাউল কিনে গুদামজাত করে রাখে। কারণ তারা নিশ্চিত ছিল, জীবন ধারণের পক্ষে অপরিহার্য এই দ্রব্যটির জন্য তারা যে-মূল্যই চাইবে তাই প্রাপ্ত হবে। চাল মজুদ করে মুনাফা করার সেই পুরনো কারসাজি এখনও চলছে। সরকারি বাজার নিয়ন্ত্রণ কার্যকর হচ্ছে না, কিন্তু ভোক্তা অধিকার আইনে খাদ্যদ্রব্য কোনও অবস্থাতেই মজুদ করা যাবে না এমন নিয়ম প্রচলন করতে সরকার অপারগ হচ্ছে, প্রকারান্তরে এই অন্যায়টি একটি পদ্ধতিগত কাঠামো পেয়ে যাচ্ছে বা যায়, একটি আর্থনীতিক ব্যবস্থা হিসেবে জনগণের নির্দিষ্ট অংশের ক্রমাগত ক্ষতি করে চলে, সমর্থন পেয়ে যায় রাজনীতিক সমাজের। বর্তমান মুনাফামুখি ব্যবস্থা বদলাতে না পারলেও অন্তত চালের দাম নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ও কঠোর আইন প্রণয়ন করা যেতেই পারে। যাতে কোনও অবস্থাতেই কেউ চাল মজুদ করতে না পারে। এবংবিধ আইন প্রণয়ন ও যথাযথ কার্যকর করা ছাড়া চালের দাম নিয়ন্ত্রণ কখনওই সম্ভব হবে না। তবে চাল মজুদ নিষেধ করার আইন মদ নিষেধ করা বা প্রকাশ্যে ধূমপান নিষেধ করার আইনের মতো অকার্যকর হলে চলবে না।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স