সুনামগঞ্জ , বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪ , ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
অর্ধ শতাধিক অসচ্ছল রোগীকে বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশন সুনামগঞ্জ-৩ আসন নিজেকে বিএনপি’র সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করলেন ব্যারিস্টার আনোয়ার জনবল সংকটে ধুঁকছে দোয়ারাবাজার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্বাচন দাবিতে বিভাগীয় সমাবেশ করবে বিএনপি ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার পর ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু বাংলাদেশে পৃথিবীকে বাঁচাতে নতুন সভ্যতা গড়ার বার্তা ড. ইউনূসের দেড় যুগে সবচেয়ে চাঙ্গা বিএনপি শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করলেন জেলা প্রশাসক সাবেক এমপি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু ৬ দিনের রিমান্ডে ৩০ ডিসেম্বর শুরু বিপিএল, চূড়ান্ত সূচি প্রকাশ দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ তৈরি করুন : মির্জা ফখরুল ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যম ছিল : উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম উপদেষ্টা ফারুকী-বশিরের পদত্যাগ চেয়ে আইনি নোটিশ সাদপন্থিদের সুযোগ দিলে ঢাকা অচলের হুঁশিয়ারি ঢালাও মামলার প্রবণতা অত্যন্ত বিব্রত করে : আসিফ নজরুল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি বাতিলের দাবিতে সমাবেশ ফেসবুক পোস্ট নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩০ সাংবাদিক সেলিমের বিরুদ্ধে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ শাইখ সিরাজের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করলেন ফারজানা ব্রাউনিয়া আমন ধান কর্তন উদ্বোধন

চালের দাম নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ও কঠোর আইন প্রণয়ন করুন

  • আপলোড সময় : ০৭-১১-২০২৪ ০৮:৩৯:৪৪ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৭-১১-২০২৪ ০৮:৩৯:৪৪ পূর্বাহ্ন
চালের দাম নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ও কঠোর আইন প্রণয়ন করুন
গণমাধ্যমান্তরে সংবাদ বেরিয়েছে, ‘বেড়েই চলেছে চালের দাম’। বলা হয়েছে যে, গত এক মাস ধরেই চালের মূল্য ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। বিশেষ করে সিদ্ধ চাল ও মোটা জাতের চালের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন দিনমজুরসহ নি¤œআয়ের মানুষেরা। নির্দিষ্ট আয়ে বাড়তি দামে চাল কিনতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁদেরকে। ভোক্তাদের ধারণা, বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরও কারসাজি করে দাম বাড়ানো হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এই কারসাজি দেশের ভোক্তা অধিকার আইন প্রয়োগ করে ঠেকানো যাচ্ছে না। ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, মিল মালিকরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে তাঁরা (ব্যবসায়ীরা) বেশি দামে চাল কিনে বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। ৫০ কেজি চালের বস্তার দাম ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এদিকে মিল মালিকরা বলছেন, ধানের দাম বেড়েছে, তাই চালের দামও বেড়েছে। অর্থাৎ দাম কেবল বাড়ে কিন্তু কমে না কীছুতেই। ব্যবসায়ের নিয়ম এটাই, মুনাফার পুচ দামের মুখে না লাগলে বাজার বসে না। পণ্যের দাম বাড়ার এবংবিধ মুনাফা শিকারের পুঁজিবাদী অজুহাত অনেক পুরনো। বাংলাদেশে সেই ব্রিটিশ আমলের শুরু থেকে তার প্রকট প্রাদুর্ভাবের প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়। এর মূলে ছিল ব্রিটিশ বেনিয়া ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রতিনিধিদের চাল মজুত করে রাখার দুরভিসন্ধি। বাংলায় সংঘটিত ছিয়াত্তরের মন্বন্তর অর্থাৎ মহাদুর্ভিক্ষের প্রত্যক্ষদর্শী এক ইংরেজ (তাঁর নাম ইয়ং হাজব্যান্ড) ১৭৮৬ সালে প্রকাশিত একটি পুস্তকে লিখেছেন যে, ইংরেজ বণিকরা মুনাফা শিকারের পরবর্তী উপায় হিসাবে চাউল কিনে গুদামজাত করে রাখে। কারণ তারা নিশ্চিত ছিল, জীবন ধারণের পক্ষে অপরিহার্য এই দ্রব্যটির জন্য তারা যে-মূল্যই চাইবে তাই প্রাপ্ত হবে। চাল মজুদ করে মুনাফা করার সেই পুরনো কারসাজি এখনও চলছে। সরকারি বাজার নিয়ন্ত্রণ কার্যকর হচ্ছে না, কিন্তু ভোক্তা অধিকার আইনে খাদ্যদ্রব্য কোনও অবস্থাতেই মজুদ করা যাবে না এমন নিয়ম প্রচলন করতে সরকার অপারগ হচ্ছে, প্রকারান্তরে এই অন্যায়টি একটি পদ্ধতিগত কাঠামো পেয়ে যাচ্ছে বা যায়, একটি আর্থনীতিক ব্যবস্থা হিসেবে জনগণের নির্দিষ্ট অংশের ক্রমাগত ক্ষতি করে চলে, সমর্থন পেয়ে যায় রাজনীতিক সমাজের। বর্তমান মুনাফামুখি ব্যবস্থা বদলাতে না পারলেও অন্তত চালের দাম নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ও কঠোর আইন প্রণয়ন করা যেতেই পারে। যাতে কোনও অবস্থাতেই কেউ চাল মজুদ করতে না পারে। এবংবিধ আইন প্রণয়ন ও যথাযথ কার্যকর করা ছাড়া চালের দাম নিয়ন্ত্রণ কখনওই সম্ভব হবে না। তবে চাল মজুদ নিষেধ করার আইন মদ নিষেধ করা বা প্রকাশ্যে ধূমপান নিষেধ করার আইনের মতো অকার্যকর হলে চলবে না।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ