সুনামগঞ্জ , বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫ , ১৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
১৫ হাওরে নির্মাণ হচ্ছে স্থায়ী ফসলরক্ষা বাঁধ জেলা কৃষিঋণ মেলা ও প্রকাশ্যে কৃষিঋণ বিতরণ অনুষ্ঠিত গর্ভবতী মায়েদের নিয়ে জনউদ্যোগের সচেতনতামূলক সভা ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের শীতবস্ত্র বিতরণ জগন্নাথপুরের নির্বাচন কর্মকর্তাসহ দু’জন সাময়িক বরখাস্ত চাইনিজ নববর্ষ উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা ‘মানুষের উৎপাতে’ পাখি নেই টাঙ্গুয়ার হাওরে ফিমেইল একাডেমির সুনাম এখন দেশ-বিদেশে : সাবেক জেলা প্রশাসক জাফর সিদ্দিক জনগণের বিপক্ষে কাজ করলে ৫ আগস্টের মতোই পরিণতি হবে : তারেক রহমান জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ দু’জন কারাগারে ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণে অগ্রগতি বিষয়ে মতবিনিময় দেখার হাওরের বড়দৈ কাষ্ঠগঙ্গা বিল শুকিয়ে মাছ শিকার শান্তিগঞ্জে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, আহত ৫ হাফভাড়া নিয়ে বাকবিতন্ডা, সুবিপ্রবি শিক্ষার্থী আহত, সড়ক অবরোধ সিলেটে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ পুনঃস্থাপনসহ ৩০ দফা দাবিতে স্মারকলিপি সভাপতি মেহেদী হাসান, সম্পাদক তামিম রায়হান এফআইভিডিবি’র উদ্যোগে খাদ্য অধিকার নেটওয়ার্ক সভা মুক্তি ও স্পার্টাকাসের স্বপ্নময় পৃথিবী বিশ্ব কুষ্ঠ দিবস পালিত পাগনার হাওরের জলাবদ্ধতা নিরসনে উদ্যোগ নিলেন জেলা প্রশাসক

চালের দাম নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ও কঠোর আইন প্রণয়ন করুন

  • আপলোড সময় : ০৭-১১-২০২৪ ০৮:৩৯:৪৪ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৭-১১-২০২৪ ০৮:৩৯:৪৪ পূর্বাহ্ন
চালের দাম নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ও কঠোর আইন প্রণয়ন করুন
গণমাধ্যমান্তরে সংবাদ বেরিয়েছে, ‘বেড়েই চলেছে চালের দাম’। বলা হয়েছে যে, গত এক মাস ধরেই চালের মূল্য ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। বিশেষ করে সিদ্ধ চাল ও মোটা জাতের চালের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন দিনমজুরসহ নি¤œআয়ের মানুষেরা। নির্দিষ্ট আয়ে বাড়তি দামে চাল কিনতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁদেরকে। ভোক্তাদের ধারণা, বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরও কারসাজি করে দাম বাড়ানো হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এই কারসাজি দেশের ভোক্তা অধিকার আইন প্রয়োগ করে ঠেকানো যাচ্ছে না। ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, মিল মালিকরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে তাঁরা (ব্যবসায়ীরা) বেশি দামে চাল কিনে বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। ৫০ কেজি চালের বস্তার দাম ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এদিকে মিল মালিকরা বলছেন, ধানের দাম বেড়েছে, তাই চালের দামও বেড়েছে। অর্থাৎ দাম কেবল বাড়ে কিন্তু কমে না কীছুতেই। ব্যবসায়ের নিয়ম এটাই, মুনাফার পুচ দামের মুখে না লাগলে বাজার বসে না। পণ্যের দাম বাড়ার এবংবিধ মুনাফা শিকারের পুঁজিবাদী অজুহাত অনেক পুরনো। বাংলাদেশে সেই ব্রিটিশ আমলের শুরু থেকে তার প্রকট প্রাদুর্ভাবের প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়। এর মূলে ছিল ব্রিটিশ বেনিয়া ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রতিনিধিদের চাল মজুত করে রাখার দুরভিসন্ধি। বাংলায় সংঘটিত ছিয়াত্তরের মন্বন্তর অর্থাৎ মহাদুর্ভিক্ষের প্রত্যক্ষদর্শী এক ইংরেজ (তাঁর নাম ইয়ং হাজব্যান্ড) ১৭৮৬ সালে প্রকাশিত একটি পুস্তকে লিখেছেন যে, ইংরেজ বণিকরা মুনাফা শিকারের পরবর্তী উপায় হিসাবে চাউল কিনে গুদামজাত করে রাখে। কারণ তারা নিশ্চিত ছিল, জীবন ধারণের পক্ষে অপরিহার্য এই দ্রব্যটির জন্য তারা যে-মূল্যই চাইবে তাই প্রাপ্ত হবে। চাল মজুদ করে মুনাফা করার সেই পুরনো কারসাজি এখনও চলছে। সরকারি বাজার নিয়ন্ত্রণ কার্যকর হচ্ছে না, কিন্তু ভোক্তা অধিকার আইনে খাদ্যদ্রব্য কোনও অবস্থাতেই মজুদ করা যাবে না এমন নিয়ম প্রচলন করতে সরকার অপারগ হচ্ছে, প্রকারান্তরে এই অন্যায়টি একটি পদ্ধতিগত কাঠামো পেয়ে যাচ্ছে বা যায়, একটি আর্থনীতিক ব্যবস্থা হিসেবে জনগণের নির্দিষ্ট অংশের ক্রমাগত ক্ষতি করে চলে, সমর্থন পেয়ে যায় রাজনীতিক সমাজের। বর্তমান মুনাফামুখি ব্যবস্থা বদলাতে না পারলেও অন্তত চালের দাম নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ও কঠোর আইন প্রণয়ন করা যেতেই পারে। যাতে কোনও অবস্থাতেই কেউ চাল মজুদ করতে না পারে। এবংবিধ আইন প্রণয়ন ও যথাযথ কার্যকর করা ছাড়া চালের দাম নিয়ন্ত্রণ কখনওই সম্ভব হবে না। তবে চাল মজুদ নিষেধ করার আইন মদ নিষেধ করা বা প্রকাশ্যে ধূমপান নিষেধ করার আইনের মতো অকার্যকর হলে চলবে না।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স