সুনামগঞ্জ , শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ , ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
খেলাফত মজলিসের জেলা কমিটি গঠন গণশিক্ষা উপদেষ্টার সাথে সুবিপ্রবি স্থায়ী ক্যাম্পাস বাস্তবায়ন আন্দোলন কমিটির সাক্ষাৎ বইমেলা আমাদের সংস্কৃতি আর জ্ঞানের প্রতীক- জেলা প্রশাসক ২০১৮ সালে নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা ৩৩ ডিসিকে ওএসডি বিএনপির বর্ধিত সভা এবার সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে জেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের পরিকল্পনা সভা আল-আকসা কিন্ডারগার্টেন উদ্বোধন সাবেক কাউন্সিলর আবুল হাসনাত কাওসার গ্রেফতার শিক্ষকের মারধরে ছাত্র আহত অ্যাড. নূরুল ইসলামের সমর্থনে প্রচার সভা ডাচ্-বাংলা ব্যাংক পিএলসির উদ্যোগে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ এখনো অনেক কাজ বাকি এবারও হাওরের মাটি কাটা হচ্ছে কলমে! জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন জগন্নাথপুরে ৩ দোকান থেকে নগদ অর্থসহ অর্ধকোটি টাকার মোবাইল চুরি মৎস্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টোল আদায় বন্ধের দাবি জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে রাণীগঞ্জ মাদ্রাসায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে অত্যাধুনিক এক্স-রে মেশিন চালু : স্বল্প মূল্যে সেবা পাবেন রোগীরা ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে মাদ্রাসা সুপারের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ

​দুই মাস আগে পেতে রাখা বোমার বিস্ফোরণে নিহত হন হানিয়া

  • আপলোড সময় : ০২-০৮-২০২৪ ০২:০০:০২ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০২-০৮-২০২৪ ০২:০০:০২ অপরাহ্ন
​দুই মাস আগে পেতে রাখা বোমার বিস্ফোরণে নিহত হন হানিয়া

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া বোমা বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন। সেই বোমা হানিয়া যে বাসভবনে অবস্থান করছিলেন সেখানে অন্তত দুই মাস আগে পেতে রাখা হয়েছিল। মধ্যপ্রাচ্য, ইরান ও মার্কিন কর্মকর্তাদের তথ্যের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস।

মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের পাঁচটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, হানিয়া যে গেস্টহাউসে অবস্থান করছিলেন সেখানে বোমা (এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) অন্তত দুই মাস আগে পেতে রাখা হয়েছিল। বর্তমানে উত্তর তেহরানে অবস্থিত বহুতল ভবনটি ইরানে বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) তত্ত্বাবধানে আছে।

সূত্রগুলো জানিয়েছে, ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ অনুষ্ঠান শেষ করে ইসমাইল হানিয়া সেই গেস্টহাউসে নিজের কামরায় প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে বোমা বিস্ফোরিত হয়। এই হামলায় হানিয়ার এক দেহরক্ষীও নিহত হন। 

আইআরজিসির দুই কর্মকর্তা জানান, বিস্ফোরণে ভবনটি কেঁপে ওঠে। কয়েকটি জানালা ভেঙে যায় এবং একটি দেয়াল আংশিকভাবে ধসে পড়ে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তেহরান সফরের সময় হানিয়া বেশ কয়েকবার এই গেস্টহাউসে উঠেছিলেন। ইরান ও হামাস গত বুধবার বলেছে, এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ইসরায়েল দায়ী। একই ধরনের মূল্যায়নের কথা জানিয়েছেন কয়েকজন মার্কিন কর্মকর্তা। একই দিনে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তাঁরা আগে থেকে অবগত ছিলেন না। 

হত্যাকাণ্ডের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে জল্পনা শুরু হয় যে, ইসরায়েল ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমে হানিয়াকে হত্যা করেছে। যে ক্ষেপণাস্ত্র সম্ভবত একটি ড্রোন বা বিমান থেকে নিক্ষেপ করা হয়েছিল। কিন্তু এই জল্পনার বিপরীতে এই প্রশ্ন উত্থাপিত হয় যে, ইসরায়েল কীভাবে ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফাঁকি দিয়ে দেশটির রাজধানীতেই এমন সাহসী বিমান হামলা চালাতে সক্ষম হলো।

নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, কিন্তু দেখা যাচ্ছে হত্যাকারীরা ইরানের প্রতিরক্ষাব্যবস্থায় একটি ভিন্ন ধরনের ফাঁককে কাজে লাগাতে পেরেছে। হত্যাকারীরা নিরাপত্তার ফাঁক গলে হামলার কয়েক সপ্তাহ আগেই বোমা পেতে লুকিয়ে রাখে। তিনজন ইরানি কর্মকর্তা বলেছেন, এ ধরনের ঘটনা ইরানের বুদ্ধিমত্তা ও নিরাপত্তাব্যবস্থার জন্য একটি বিপর্যয়কর ব্যর্থতা এবং আইআরজিসির জন্য একটি বিশাল বিব্রতকর অবস্থা। কারণ, আইআরজিসিই হানিয়ার সফরের যাবতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করত। 

তবে গেস্টহাউসে বোমাটি কীভাবে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল তা স্পষ্ট নয়। মধ্যপ্রাচ্যের কর্মকর্তারা বলেছেন, সম্ভবত হত্যার পরিকল্পনা করতে কয়েক মাস সময় লেগেছিল এবং কম্পাউন্ডটিতে নিবিড় নজরদারি চালিয়েছিল হত্যাকারীরা। দুই ইরানি কর্মকর্তা বলেছেন, তারা জানেন না কীভাবে বা কখন বিস্ফোরকগুলো কক্ষে রাখা হয়েছিল। 

কর্মকর্তারা জানান, স্থানীয় সময় বুধবার রাত প্রায় ২টার দিকে বোমাটি বিস্ফোরিত হয়। এর পরপরই ভবনটির আতঙ্কিত কর্মীরা শব্দের উৎস খুঁজতে গিয়ে হানিয়া যে ঘরে থাকতেন সেখানে পৌঁছে যান। কমপ্লেক্সের মেডিকেল টিমটি বিস্ফোরণের পরপরই রুমে ছুটে যায়। তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছেই হানিয়াকে মৃত দেখতে পান। 

দুই ইরানি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের নেতা জিয়াদ আল-নাখালাহ হানিয়ার পাশের কামরায় অবস্থান করছিলেন। তাঁর কামরা তেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। মধ্যপ্রাচ্যের পাঁচ কর্মকর্তার মতে, গাজা উপত্যকায় হামাসের ডেপুটি লিডার খলিল আল-হাইয়া বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থলে পৌঁছে ইসমাইল হানিয়ার লাশ দেখতে পান।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
গণশিক্ষা উপদেষ্টার সাথে সুবিপ্রবি স্থায়ী ক্যাম্পাস বাস্তবায়ন আন্দোলন কমিটির সাক্ষাৎ

গণশিক্ষা উপদেষ্টার সাথে সুবিপ্রবি স্থায়ী ক্যাম্পাস বাস্তবায়ন আন্দোলন কমিটির সাক্ষাৎ