সুনামগঞ্জ , সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫ , ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সুনামগঞ্জ পৌরসভার ৬২ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা বজ্রপাতের ঝুঁকিতে সুনামগঞ্জ শীর্ষে বন্ধ করা হলো সেই গ্যাস পাইপ লাইনের লিকেজ আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখছে সুনামগঞ্জের ইমা হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সে গ্রাহক হয়রানি, বছরের পর বছর ঘুরেও মিলছে না বীমার টাকা পাকিস্তানে আত্মঘাতী হামলায় ১৬ সেনা নিহত টাঙ্গুয়ার হাওর রক্ষায় কাজ করবে সরকার: মহাপরিচালক শহরে সক্রিয় মাদক কারবারিরা চোখের সামনে বিলীন হচ্ছে ভিটেমাটি সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদে মানববন্ধন অ্যাড. নুরুল ইসলামকে ফতেপুর বিএনপি নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন আধিপত্য নিয়ে লড়াইয়ের অবসান চান গ্রামবাসী কাজ না করেই তিন প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ সুনামগঞ্জকে শান্তিপ্রিয় নাগরিকদের শহর হিসেবে গড়ে তুলতে হবে সুনামগঞ্জ-৫ আসনে আলোচনায় বিএনপি’র দুই হেভিওয়েট প্রার্থী কৃষকরা বাংলাদেশকে বাঁচিয়ে রেখেছেন : অতিরিক্ত কৃষি সচিব নদী ভাঙন রোধের দাবিতে ভাদেরটেক গ্রামবাসীর মানববন্ধন গ্যাসের পাইপ লাইনে লিকেজ, দুর্ঘটনার আশঙ্কা জামালগঞ্জে রথযাত্রা অনুষ্ঠিত বিএনপি নেতা অ্যাড. নূরুল ইসলামের গণসংযোগ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

ডিসেম্বরের মধ্যে জেলায় জেলায় কমিটি করার চিন্তা

  • আপলোড সময় : ০৫-১১-২০২৪ ১০:৪৬:০৮ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৫-১১-২০২৪ ১০:৪৬:০৮ পূর্বাহ্ন
ডিসেম্বরের মধ্যে জেলায় জেলায় কমিটি করার চিন্তা
সুনামকণ্ঠ ডেস্ক :: ডিসেম্বর মাসের মধ্যে সারা দেশে নিজেদের সাংগঠনিক কাঠামো গোছানোর পরিকল্পনা নিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এর অংশ হিসেবে এরই মধ্যে জেলা পর্যায়ে কমিটি গঠন শুরু করেছে তারা। গত শনিবার কুষ্টিয়া জেলায় আহ্বায়ক কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে এই কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রায় ১৫টি জেলায় তাদের কমিটি ঘোষণা করা হতে পারে। তবে দেশের ৬৪টি জেলায় কমিটি গঠন করা সম্ভব হবে কি না, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত নন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। তাঁরা অন্তত গুরুত্বপূর্ণ জেলাগুলোতে কমিটি গঠন করতে চান। গত শনিবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সদস্যসচিব আরিফ সোহেলের স্বাক্ষরে কুষ্টিয়া জেলার যে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে, তা ১১১ সদস্যের। আগামী ছয় মাসের জন্য এই আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে গত ১ জুলাই সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। এই আন্দোলন একপর্যায়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রূপ নেয়। সেই অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। আন্দোলন পরিচালনায় গত ৮ জুলাই ৬৫ সদস্যের সমন্বয়ক টিম গঠন করেছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। পরে ৩ আগস্ট তা বাড়িয়ে ১৫৮ সদস্যের করা হয়। ৫ আগস্টের পর থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সমন্বয়ক পরিচয়ে অনেকের বিরুদ্ধে নানা নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ ওঠে। এমন পরিস্থিতিতে গত ২২ অক্টোবর রাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সংবাদ সম্মেলন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নিজেদের ১৫৮ সদস্যের সমন্বয়ক টিম বিলুপ্ত করে চার সদস্যের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি গঠন করার কথা জানায়। কমিটিতে হাসনাত আবদুল্লাহকে আহ্বায়ক, আরিফ সোহেলকে সদস্যসচিব, আবদুল হান্নান মাসউদকে মুখ্য সংগঠক ও উমামা ফাতেমাকে মুখপাত্র করা হয়। যে সংবাদ সম্মেলনে নতুন কমিটির কথা জানানো হয়, সেখানে সমন্বয়কেরা বলেছিলেন, ভুয়া সমন্বয়ক পরিচয়ে কেউ যাতে অপকর্ম করতে না পারেন, সেই চিন্তা থেকে তাঁরা সাংগঠনিক কাঠামো পুনর্গঠন করতে চান। শিগগিরই কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি বর্ধিত করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হবে। কমিটির প্রধান দুই লক্ষ্য হচ্ছে অভ্যুত্থানের শক্তিকে সংগঠিত করা এবং ‘মুজিববাদী অপশক্তিকে’ বাংলার মাটি থেকে সমূলে উৎপাটনে লড়াই অব্যাহত রাখা। কমিটি গঠনের প্রস্তুতি : এখন জেলায় জেলায় কমিটি গঠনের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। প্রাথমিকভাবে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ১৫টির মতো জেলায় কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব আরিফ সোহেল। এই কমিটিগুলো ‘মোটামুটি প্রস্তুত’ বলেই জানান তিনি। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ জেলা ও কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানান আরিফ সোহেল। তিনি বলেন, যেসব জেলায় কমিটি করা হবে, সেই জেলাগুলোর বেশির ভাগ উপজেলার কমিটি তৈরি হয়ে গেছে। উপজেলা কমিটি জেলা কমিটির সঙ্গেই ঘোষণা করা হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যখন যাত্রা শুরু হয়েছিল, তখন এর নেতাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত ছিল যে কোটা আন্দোলন শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই ব্যানার অকার্যকর হয়ে যাবে। সরকার পতনের পর ১২ আগস্ট রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে ৩৫টি ছাত্রসংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বৈঠক হয়। সেখানেও ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতাদের কেউ কেউ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ব্যানারটি বিলুপ্ত করার বিষয়ে বিভিন্ন সময়সীমার কথা প্রস্তাব করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ব্যানারটি বহাল রাখার পথে হেঁটেছেন সমন্বয়কেরা। এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আবদুল কাদের বলেন, আন্দোলন শুধু কোটা সংস্কারে সীমাবদ্ধ থাকেনি, বরং এই ব্যানার ফ্যাসিবাদের পতন ত্বরান্বিত করে। দেশের মানুষ মনে করে, এই ব্যানারের কার্যক্রম এখানে স্থগিত হওয়ার সুযোগ নেই। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান - পরবর্তী রাষ্ট্র সংস্কারের দায়দায়িত্ব এই ব্যানারের ওপর বর্তায়। তবে এই ব্যানার কোনো রাজনৈতিক দলে রূপ নেবে না বলে জানান তিনি। তবে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে সরানোসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কিছুদিন ধরে জাতীয় নাগরিক কমিটির সঙ্গে যৌথভাবে নানা কর্মসূচি পালন করছে। জাতীয় নাগরিক কমিটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের লক্ষ্যে কাজ করছে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স