সুনামগঞ্জ , শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ , ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
খেলাফত মজলিসের জেলা কমিটি গঠন গণশিক্ষা উপদেষ্টার সাথে সুবিপ্রবি স্থায়ী ক্যাম্পাস বাস্তবায়ন আন্দোলন কমিটির সাক্ষাৎ বইমেলা আমাদের সংস্কৃতি আর জ্ঞানের প্রতীক- জেলা প্রশাসক ২০১৮ সালে নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা ৩৩ ডিসিকে ওএসডি বিএনপির বর্ধিত সভা এবার সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে জেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের পরিকল্পনা সভা আল-আকসা কিন্ডারগার্টেন উদ্বোধন সাবেক কাউন্সিলর আবুল হাসনাত কাওসার গ্রেফতার শিক্ষকের মারধরে ছাত্র আহত অ্যাড. নূরুল ইসলামের সমর্থনে প্রচার সভা ডাচ্-বাংলা ব্যাংক পিএলসির উদ্যোগে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ এখনো অনেক কাজ বাকি এবারও হাওরের মাটি কাটা হচ্ছে কলমে! জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন জগন্নাথপুরে ৩ দোকান থেকে নগদ অর্থসহ অর্ধকোটি টাকার মোবাইল চুরি মৎস্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টোল আদায় বন্ধের দাবি জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে রাণীগঞ্জ মাদ্রাসায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে অত্যাধুনিক এক্স-রে মেশিন চালু : স্বল্প মূল্যে সেবা পাবেন রোগীরা ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে মাদ্রাসা সুপারের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ

শিল্পকলায় মাঝপথে নাটক বন্ধের বিষয়ে যা বললেন মহাপরিচালক

  • আপলোড সময় : ০৪-১১-২০২৪ ০৬:৩৫:২৮ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৪-১১-২০২৪ ০৬:৩৫:২৮ পূর্বাহ্ন
শিল্পকলায় মাঝপথে নাটক বন্ধের বিষয়ে যা বললেন মহাপরিচালক
সুনামকণ্ঠ ডেস্ক :: বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ বলেছেন, ‘গতকাল (শনিবার) যে পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে নাটক বন্ধ করে দিতে হয়েছে, সেটা কোনো অশনিসংকেতের বিষয় নয়। দর্শকের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে নাটকের প্রদর্শনী মাঝপথে বন্ধের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।’ গত শনিবার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় একদল ব্যক্তির বিক্ষোভের মুখে দেশ নাটক আয়োজিত ‘নিত্যপুরাণ’ নাটকের প্রদর্শনী মাঝপথে বন্ধ করে দেন আয়োজকেরা। এরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার মুখে পড়ে শিল্পকলা একাডেমি। রোববার সকালে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে নাটক বন্ধের কারণ, ওই সময়ের পরিস্থিতি এবং করণীয় নিয়ে কথা বলেন শিল্পকলার মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ। মহাপরিচালক বলেন, এই ফেসবুক পোস্টটা একটা ভয়ানক উত্তেজনা তৈরি করেছে কিছু মানুষের মনের মধ্যে এবং আমার কাছে অন্যদিকে এটাও মনে হয় যে, আওয়ামী লীগের দোসররাও এ রকম উসকানিমূলক কিছু কথা বলে সমস্যাগুলো তৈরি করার চেষ্টা করছে। এখন আমাদের সবার উচিত শান্ত হওয়া, ঠান্ডা হওয়া। যেন আমরা শান্ত মনে বিবেচনা করতে পারি। জানা গেছে, গত শনিবার বিকেল থেকে নাটকের টিকিট বিক্রি শুরু হয়। এরপর সন্ধ্যা ৬টার দিকে একদল লোক শিল্পকলার প্রধান ফটকের সামনে দেশ নাটকের সদস্য এহসানুল আজিজ বাবুকে ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ আখ্যা দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে একাডেমির মহাপরিচালক গিয়ে বিক্ষোভকারীদের শান্ত করলে যথারীতি নাটকের প্রদর্শনী শুরু হয়। কিন্তু পরে বিক্ষোভকারীরা ফের সংগঠিত হয়ে নাট্যশালার গেটের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে মহাপরিচালক দেশ নাটকের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে প্রদর্শনী বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন। নাট্যাঙ্গনের কয়েকজন কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় কিংবা পরে বিভিন্ন নাট্যদলের একাধিক কর্মী শেখ হাসিনার পক্ষ নিয়ে কথা বলেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বর্তমান সরকারকে নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্য করেছেন। দেশ নাটকের সদস্য এহসানুল আজিজ বাবুর দেওয়া একটি ফেসবুক পোস্টকে ঘিরে এ ঘটনার সূত্রপাত। সংবাদ সম্মেলনে মহাপরিচালক ওই পোস্টের বিষয়ে বলেন, এই পোস্ট আমি আগেই দেখেছিলাম। আমাকে দেখানো হয়েছিল। আরও পোস্ট আছে, আরও কথা আছে, আরও মানুষের কথা আছে, এগুলো দেখানো হয়েছে। দেখানোর পরেও নাট্যকলার পরিচালক ফয়েজ জহির বলেছিলেন, এ রকম হওয়া উচিত না। শিল্পকলা একাডেমি আমাদের সবার জন্য খুলে দেওয়া উচিত। সবার সঙ্গে আলোচনা করে আমরা খুলে দিয়েছি। তিনি আরও বলেন, এটা কোনো অশনিসংকেতের বিষয় নয়। আমি আশা করব আপনারা সবাই আমার সঙ্গে থাকবেন। এখন পোস্টের বিষয়ে কথা বলছি এ জন্য যে, এই পোস্টটা একটা ভয়ানক উত্তেজনা তৈরি করেছে কিছু মানুষের মনের মধ্যে। জামিল আহমেদ বলেন, এই পোস্টের ওপর বিবেচনা করে কিন্তু আমরা নাটক বন্ধ করব, এমন সিদ্ধান্ত নিইনি। কারণ আমরা আগে থেকেই দলগুলোকে হল দেওয়া শুরু করেছি। আমরা চাই, সবাই এখানে নাটক করুক। অনেক প্রশ্নবিদ্ধ দল আছে, তারা কিন্তু নাটক করে চলে গেছে। আমি এখন হিসাব দিচ্ছি না। তাতে সমস্যা আরও ঘোলাটে হবে। গতকাল সমস্যা হয়েছে বাবুর (এহসানুল আজিজ বাবু) পোস্ট নিয়ে। আমি বাবুকে বলেছি, আপনি যে কাজটা করেছেন, এটা খুব নিচু রুচিস¤পন্ন একটি কাজ। এ রকম কাজ না করে, যদি বুকের পাটা থাকে তাহলে একটা নাটক করে যুক্তি দিয়ে দেখান, এই সরকারের ব্যর্থতা কোথায়। মহাপরিচালক মনে করেন, শিল্পকলা একাডেমির দায়িত্ব সবার কথা বলার। সবাই এখানে এসে নাটক করবে। নাটক বন্ধ না করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা কেন নেননি, এমন প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক বলেন, আমি খুব দায়িত্ব নিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি মনে করি, এটা পুলিশ, সেনাবাহিনীর জায়গা না। এটা শিল্পকলা একাডেমির জায়গা। এর দায় একাডেমির মহাপরিচালকে মোকাবিলা করার। করেছি এ কারণে যে, বৃহৎ যুদ্ধে জিতব বলে, আপনার শুধু সঙ্গে থাকেন। তিনি আরও বলেন, আমার কাছে মনে হয়েছে, সেনাবাহিনী এ বিষয়ে ওয়াকিবহাল ছিল। আমি তাদের জড়াতে চাইনি। কারণ আমার মনে হয়েছে, এর সঙ্গে সেনাবাহিনীকে জড়ানোর প্রয়োজন নেই। এগুলো এ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার দরকার নাই। শুধু আমাদের একটু শান্ত হতে হবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
গণশিক্ষা উপদেষ্টার সাথে সুবিপ্রবি স্থায়ী ক্যাম্পাস বাস্তবায়ন আন্দোলন কমিটির সাক্ষাৎ

গণশিক্ষা উপদেষ্টার সাথে সুবিপ্রবি স্থায়ী ক্যাম্পাস বাস্তবায়ন আন্দোলন কমিটির সাক্ষাৎ