দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিন : কয়ছর এম আহমেদ
- আপলোড সময় : ৩০-১০-২০২৪ ১২:৪১:২২ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ৩০-১০-২০২৪ ১২:৪১:২২ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য ও যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমেদ বলেছেন, সম্মিলিত আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা সফল হয়েছি। কিন্তু সাফল্যে আমরা আংশিক সফলতা পেয়েছি। আমরা এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাধ্যমে একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলবো- যত দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে নির্বাচন দিন এবং সেই নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সরকার গঠন করবে।
মঙ্গলবার বিকেলে সুনামগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা বিএনপির উদ্যোগে তাকে দেয়া গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি নেতা কয়ছর এম আহমেদ দীর্ঘ এক যুগ পর দেশে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে এই গণসংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।
সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্যে কয়ছর এম আহমেদ বলেন, দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় দেশে আসতে পারিনি। দেশে আপনারাও নির্যাতিত ছিলেন। আমরা নির্যাতিত ছিলাম প্রবাসে থেকেও। দেশ নায়ক তারেক রহমান তার বক্তব্যে বলেছিলেন- টেইক ব্যাক বাংলাদেশ, বলেছিলেন ফয়সালা হবে রাজপথে। সত্যি সত্যি দীর্ঘ আন্দোলনের পরে ফয়সালা রাজপথে হয়েছে। তারেক রহমান বলেছিলেন- যদি তুমি ভয় পাও, তবে তুমি শেষ; যদি তুমি রুখে দাঁড়াও, তুমি বাংলাদেশ। আবু সাঈদ সেদিন রুখে দাঁড়িয়েছিল। আবু সাঈদ বাংলাদেশ।
কয়ছর এম আহমেদ আরও বলেন, আমার মা বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন- দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও। আজ থেকে দশ থেকে বারো বছর আগে আমরা সেদিন বুঝতাম না, কেন ‘দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও’। কেন দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আমরা বুঝতে পারি নাই। তিলে তিলে পরে আমরা বুঝতে পেরেছি। কিন্তু মা বেগম খালেদা জিয়া আগেই বুঝতে পেরেছিলেন- জালিম মাফিয়া খুনি হাসিনার কাছে দেশ নিরাপদ নয়। সে দেশ বিক্রি করে দিবে। সে এই দেশের মানুষকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করেছে।
কয়ছর এম আহমেদ বলেন, আমি আপনাদের সন্তান। আমি দেশেও ছাত্রদল করেছি। যুক্তরাজ্যে গিয়েও আমি দলের সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম। অতীতের মতো আপনারা আমাকে সহযোগিতা করবেন। আমি আপনাদের সহযোগিতা চাই, আপনাদের ভালোবাসা চাই, আপনাদের মনের ভিতরে থাকতে চাই। আপনাদেরকে সাথে নিয়ে এই সুনামগঞ্জের, দক্ষিণ সুনামগঞ্জের রাজনীতি করতে চাই। আমাকে আপনারা সেই সুযোগ করে দিবেন। আমি আশা করি এই সুযোগটুকু পাবো। আমি আপনাদের সাথে আছি এবং শেষ পর্যন্ত থাকবো।
গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন। জেলা বিএনপির সাধারণ স¤পাদক অ্যাড. নূরুল ইসলাম নূরুলের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির অন্যতম সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাড. মল্লিক মঈন উদ্দিন সোহেল, শামসুল হক নমু, আ ত ম মিসবাহ, অ্যাড. শেরেনূর আলী, আকবর আলী, অ্যাড. আব্দুল হক, অ্যাড. আব্দুল মোতালেব খান, আবুল কালাম আজাদ, আব্দুল লতিফ জেপি, অ্যাড. মাসুক আলম, রেজাউল হক, নাদের আহমদ, সেলিম উদ্দিন আহমেদ, ফারুক আহমেদ, আনসার উদ্দিন, জেলা বিএনপি’র যুগ্ম সম্পাদক ড. অ্যাড. জিয়াউর রহিম শাহীন, জেলা যুবদলের সভাপতি আবুল মনসুর শওকত, জেলা মহিলা দলের সভাপতি লুৎফা আনোয়ার, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক আনিসুল হক, যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মামুনুর রশিদ কয়েস, জাসাস সাধারণ সম্পাদক মোনাজ্জির হোসেন সুজন, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইকবাল হোসেন, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম, সদস্য সচিব তারেক মিয়া প্রমুখ।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ