আ.লীগ, জাপাসহ ১১ দলকে রাজনৈতিক কার্যক্রম ও নির্বাচন থেকে বিরত রাখতে রিট
- আপলোড সময় : ২৯-১০-২০২৪ ০৮:০৭:৩৩ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ২৯-১০-২০২৪ ০৮:০৭:৩৩ পূর্বাহ্ন

সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
নির্বিচারে মানুষ হত্যা, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা, বেআইনি প্রক্রিয়ায় অসাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলের জন্য আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকা- নিষিদ্ধ এবং ভবিষ্যতে নির্বাচনে অংশ নেওয়া থেকে বিরত রাখতে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। সোমবার (২৮ অক্টোবর) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. সারজিস আলমসহ তিনজন এ রিট করেন। অপর দুইজন আবুল হাসনাত ও হাসিবুল আলম।
পরে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, দুটি রিট করেছি। এক. আওয়ামী লীগের বিগত তিনটি নির্বাচনকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং অবৈধভাবে প্রাপ্ত সুবিধাগুলো কেন ফিরিয়ে দিবে না সে বিষয়ে প্রথম রিট। দুই. এই মামলার রায় না হওয়া পর্যন্ত কেন তাদেরকে পলিটিক্যাল সকল অ্যাকটিভিটি থেকে বিরত রাখা হবে না সে বিষয়ে দ্বিতীয় রিট। দল হিসেবে নিষিদ্ধ কিংবা নিবন্ধন নিষিদ্ধের কোনো কথা রিটে নেই।
রিট আবেদনে নির্বিচারে মানুষ হত্যা, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা, বেআইনি প্রক্রিয়ায় অসাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের জন্য আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকা- নিষিদ্ধের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, এ মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
একইসঙ্গে ১১টি দলের সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকা- নিষিদ্ধের পাশাপাশি ভবিষ্যতে সব ধরনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে দলগুলোকে বিরত রাখতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, সে বিষয়েও রুল জারির আবেদন করা হয়েছে রিটে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ছাড়াও যাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম ও নির্বাচন থেকে বিরত রাখার আবেদন করা হয়েছে, সে দলগুলোর মধ্যে আছে জাতীয় পার্টি (এরশাদ), জাতীয় পার্টি (মঞ্জু), গণতন্ত্রী দল, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), বিকল্পধারা বাংলাদেশ, তরিকত ফেডারেশন, কমিউনিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশ, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি ইত্যাদি। এছাড়া রিটের বাকি বিবাদীরা হলেন আইনসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, নির্বাচন কমিশন ও পুলিশের মহাপরিদর্শক।
এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতাকে নির্বিচারে হত্যার দায়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও দলটির নিবন্ধন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছিল।
মানবাধিকার সংগঠন সারডা সোসাইটির পক্ষে আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়ার করা সেই রিট বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ খারিজ করে দেন।
ওই রিটের শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো উদ্দেশ্য নেই কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ বা নিবন্ধন বাতিল করা। সংবিধানে সংগঠন ও রাজনৈতিক দল পরিচালনার যে স্বাধীনতা রয়েছে, এই সরকার সেটিতে বিশ্বাস করে। আর বিগত কর্তৃত্ববাদী সরকারের সঙ্গে জড়িতদের অন্যায় অবিচারের বিচার আইন আদালতের মাধ্যমে হবে। সেটার জন্য কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা সমীচীন নয়।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ