জলমহালে মাছ ও মাছের খাবার লুট, খলাঘরে আগুন, মারধরে আহত ৪
- আপলোড সময় : ২৭-১০-২০২৪ ০৯:০৭:০৮ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ২৭-১০-২০২৪ ০৯:০৭:০৮ পূর্বাহ্ন
ধর্মপাশাা প্রতিনিধি ::
ধর্মপাশা উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ও সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নের ধানকুনিয়া জলমহালে অবৈধভাবে দেশীয় অস্ত্রসহ ৬০ থেকে ৭০জন জেলে ঢুকে বিষ ঢেলে মাছ নিধন, মাছের খাবার লুট, ও খলাঘরে আগুন দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে ওই জলমহালটির পাঁচ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া ওই জলমহালটির চারজন জেলেকে মারধর করা হয়েছে। শুক্রবার রাত নয়টা থেকে ১০টা পর্যন্ত এই ঘটনা ঘটে।
উপজেলা প্রশাসন, ধর্মপাশা থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ধান কুনিয়া জলমহালটি ১৪৩১ বঙ্গাব্দ থেকে ১৪৩৬ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত ছয় বছরের জন্য বাৎসরিক ৩৪লাখ টাকা ইজারামূল্যসহ অন্যান্য পাওনাদি পরিশোধ সাপেক্ষে এটি ইজারা পায় উপজেলার ধানকুনিয়া মৎস্যজীবী সমবায় লিমিটেড।
জলমহালটির ইজারাদার ও ধানকুনিয়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি জনি মিয়া (২৯) বলেন, আমরা জলমহালটির যাবতীয় পাওনাদি পরিশোধ করে এটিতে পাহাদার নিয়োজিত করে জলমহালটি দল, বাঁশ ও কাটা স্থাপন করে রক্ষণাবেক্ষণ করে আসছি। জলমহালটি উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের মাহমুদনগর গ্রামের সামনে অবস্থিত। ওই ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শাস্তু মিয়ার (৬০) নির্দেশে ও তাঁর উপস্থিতিতে শুক্রবার রাত নয়টার দিকে ১২টি ইঞ্জিন চালিত নৌকা ও ৬০ থেকে ৭০জন জেলে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমাদের জলমহালটিতে বিষ ঢেলে মাছ নিধন শুরু করে। খবর পেয়ে রাত সাড়ে নয়টার দিকে আমাদের নিয়োজিত পাহারাদার আবু তালহা (১৮), শাকিল মিয়া (২৫), আবদুল্লাহ (২৫) ও ফেরদৌস মিয়া (২৭) এতে বাধা দিলে তাঁদেরকে ধারালো অস্ত্র ও লাঠি দিয়ে মারধর করে আহত করা হয়। আহতদের চারজনকে রাত ১১টার দিকে ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। এদের মধ্যে আবু তালহা ও শাকিলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাতেই ওই দুজনকে সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসাপাতালে নেওয়া হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ওই দুজনকে শনিবার সকালে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এছাড়া আহত আবদুল্লাহকে ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ও আহত ফেরদৌস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, জেলেরা রাত ১০টার দিকে চলে যাওয়ার আগে তারা খলাঘরে থাকা মাছের খাবার, চিড়া, কুড়া নিয়ে যাওয়াসহ খলাঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে পাঁচ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।
সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শাস্তু মিয়া জানান, আমাদের গ্রামের জেলেরা এই জলমহালে মাছ শিকার করে এটা ঠিক। তবে ঘটনার সময় আমি এলাকায় ছিলাম না। এতে আমার কোনো স¤পৃক্ততা নেই।
ধর্মপাশা থানার ওসি মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ আমি পেযেছি। অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ