ঢাকা , শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
শিক্ষক রথীন্দ্র কুমার দাস স্মরণে শোকসভা টিলা কেটে সরকারি জায়গায় ইউপি চেয়ারম্যানের বহুতল মার্কেট ছয় থানার ওসি বদলি কমিশনকে নজরে রাখবে রাজনৈতিক দলগুলো সালমান-আনিসুল হক ফের রিমান্ডে দেশের বিদেশি ঋণের পরিমাণ ১০৪ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি বাংলাদেশের সংস্কার উদ্যোগে সহায়তা দেবে জার্মানি হাওরকে বাঁচতে দিন আগস্টে সড়কে ঝরেছে ৪৭৬ প্রাণ কৃষি গুচ্ছের ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা ২৫ অক্টোবর “অন্তর্বর্তী সরকারকে যৌক্তিক সময় দিতে হবে, তবে তা সীমাহীন নয়” ইজারাকৃত সব জলমহালের সীমানা নির্ধারণের দাবিতে বিক্ষোভ পদ হারিয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরছেন আ.লীগ নেতারা সাবেক ৩ সিইসি’র বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা নিহতদের পরিবার পাবে ৫ লাখ টাকা হাওর উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে: মহাপরিচালক হাওর উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে: মহাপরিচালক অন্তর্বর্তী সরকারকে যেকোনও সহযোগিতা করতে প্রস্তুত ইউনেস্কো কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি প্রধান বিচারপতির ১২ নির্দেশনা চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর বিবেচনার অনুরোধ

​ঠেকানো যাচ্ছে না পাথরখেকোদের

  • আপলোড সময় : ০১-০৮-২০২৪ ০২:৪০:৫৭ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০১-০৮-২০২৪ ০২:৪০:৫৭ অপরাহ্ন
​ঠেকানো যাচ্ছে না পাথরখেকোদের
সুনামগঞ্জ সদর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ইজারাবিহীন পাথরমিশ্রিত ধোপাজান বালুমহালে চলছে সংঘবদ্ধ পাথরখেকোদের রমরমা ব্যবসা। আইনীভাবে পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকলেও প্রশাসনের নাকের ডগায় অবাধে চলছে পাথর উত্তোলন। অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হলেও ধোপাজান-চলতি নদীতে কোনোভাবেই থামছেনা পাথরখেকোদের তাণ্ডব।

স্থানীয় সচেতনমহলের অভিযোগ, পাথরখেকো সিন্ডিকেটের সাথে প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশ থাকায় বন্ধ করা যাচ্ছে না নদীতে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন। একদিকে বালুমহাল ইজারা না দেয়ায় বালু-পাথর উত্তোলনে শ্রমিকরা বঞ্চিত হচ্ছেন, অন্যদিকে সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব। এই সুযোগে অবৈধভাবে পাথর ব্যবসা করে অসাধু চক্র লুটে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা।

সরেজমিনে দেখা যায়, ধোপাজান-চলতি নদীর সদরগড় থেকে ডলুরা এলাকার দুই পাড়ের গ্রামগুলো নদী ভাঙনের কবলে। স্থানীয়রা জানান, রাতের আঁধারে স্থানীয় একটি চক্র ড্রেজার মেশিনের সাহায্যে পাথর উত্তোলন করে। পরবর্তীতে এই পাথর স্টিলবডি নৌকার মাধ্যমে অন্যত্র পাচার করা হয়। নদীর তীরে ড্রেজার বসানোতে নদী ভাঙনের হুমকিতে পড়েছে গ্রামগুলো। এছাড়া দিনের বেলায় সনাতন পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলন করেন কিছু শ্রমিক। উত্তোলিত পাথর ৪০-৫০ টাকা ফুট দরে স্থানীয় সিন্ডিকেটের কাছে বিক্রি করেন তারা। আর পাথরগুলো ডলুরা এলাকার নদীর দুই তীরে স্তূপ করে রেখে সুযোগ বুঝে ট্রাক বা ট্রলির সাহায্যে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়। এসব পাথর ১০০-১২০ টাকা ফুট দরে ক্রাসার মিল ব্যবসায়ী ও জেলা শহরের কিছু বাল্কহেড নৌকার ঠিকাদাররা কিনে থাকেন।

ডলুরা এলাকায় স্তূপ করে রাখা পাথরের মালিক ওই এলাকার কাজল, সবুজ, শামছুল, শাহল, দিলুসহ স্থানীয় একটি সিন্ডিকেটের বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।

ডলুরা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হাই বলেন, এলাকার গরিব মানুষ নদী থেকে পাথর তুলে ব্যবসায়ীদের কাছে ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকা ফুট দরে বিক্রি করেন। আর এই পাথর তারা অন্যত্র বিক্রি করে। আপনিও চাইলে কিনতে পারবেন। ডলুরা এলাকার মানুষই এই ব্যবসা করেন।
ডলুরা গ্রামের বাসিন্দা সবুজ মিয়া বলেন, আমি এখন পাথর ব্যবসা করি না, আগে করতাম। প্রশাসন এখন বেশি সমস্যা করে। অনেক টাকা ধরা খাইছি। স্থানীয়রা বলে স্তূপ করা পাথর আপনার - এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি সাদেকসহ অনেকেই পাথর কিনতাম। এখন কিনি না। 
সিন্ডিকেটের সদস্য কাজলের মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

এদিকে সুনামগঞ্জ শহরের ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ইজারাবিহীন মহাল থেকে অবাধে পাথর তোলায় চোরাইভাবে কেউ কেউ ফায়দা নিচ্ছেন। এতে সরকার যেমন রাজস্ব হারাচ্ছে, তেমনি ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন বন্ধে বিভিন্ন সময় মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দেয়া হলেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ হয়নি। ফলে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে পাথরখেকো চক্রটি। অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন বন্ধে ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন।

বালু-পাথর ব্যবসায়ী কবির মিয়া বলেন, ইজারা বন্ধ থাকলেও অবাধে পাথর উত্তোলন হচ্ছে। এতে অসাধু ব্যক্তিরা সুযোগ পাচ্ছে। এটি বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী মান্নান বলেন, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হয়। ইতোমধ্যে অনেকবার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। লোক পাঠিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, পাথরখেকোদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স