সুনামগঞ্জ , শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫ , ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
৬৭ পশুর হাট জমে ওঠেছে ধানের হাসি মুখে, ঈদ এসেছে সুখে হাওরে আতঙ্কের নাম বজ্রপাত, ১০ বছরে ১৮২ জনের মৃত্যু সুরমা ইউনিয়নে ১৭ প্রকল্পের কাজ শেষ : ব্যয় হয়েছে প্রায় ৩৯ লক্ষ টাকা শাল্লায় সাংবাদিকদের ঈদে টাকা দিলেন পিআইও ধর্মপাশায় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে বিদায় সংবর্ধনা মহাসিং নদীতে ডুবে জেলের মৃত্যু সীমান্তের একাধিক পয়েন্ট দিয়ে আসছে ভারতীয় গরু-মহিষসহ অবৈধ পণ্য অবশেষে শান্তিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বসানো হলো বিশুদ্ধ পানির ফিল্টার সুরমা’র পানি বাড়ছে এগ্রোভোল্টাইক্স প্রযুক্তি বিষয়ে জাতীয় নীতিমালা প্রণয়নের দাবিতে কৃষক সমাবেশ জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত চুরির অপবাদ দিয়ে যুবলীগ নেতাকে হাত-পা বেঁধে মারধর জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ দ্রুত ঘোষণা করতে হবে : এ জেড এম জাহিদ হোসেন প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে শান্তিগঞ্জ ইউএনও’র উদ্যোগ : বেসিক নলেজ যাচাই পরীক্ষা সম্পন্ন জামালগঞ্জে উত্তম কৃষি চর্চা প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত ইজিবাইকের যৌক্তিক ভাড়া নির্ধারণের দাবিতে যাত্রীদের মানববন্ধন হাওর ভাতায় বৈষম্যের অবসান, খুশি স্থানীয় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ৩০৫ পিস ইয়াবাসহ যুবক আটক পথে যেতে যেতে : পথচারী

প্রশাসন, পুলিশের অ্যাকশনে ধোপাজানে বন্ধ বালু লুট

  • আপলোড সময় : ২৪-১০-২০২৪ ১২:৩৬:৪৭ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৪-১০-২০২৪ ১২:৩৬:৪৭ পূর্বাহ্ন
প্রশাসন, পুলিশের অ্যাকশনে ধোপাজানে বন্ধ বালু লুট
শহীদনূর আহমেদ :: প্রশাসন ও পুলিশ কঠোর অ্যাকশনে যাওয়ার পর বন্ধ হয়েছে ইজারাবিহীন ধোপাজান-চলতি নদীর বালুমহালে লুটপাট। সম্প্রতি সংঘবদ্ধ বালু লুণ্ঠনকারী চক্রের বেপরোয়া লুটপাটে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসে ধোপাজান-চলতি নদী। বালু লুট বন্ধে নদীর উৎসমুখে বাঁশের বেড়া নির্মাণ, পুলিশের টহল জোরদার এবং যৌথবাহিনীর অভিযানের পরও বন্ধ হচ্ছিল না ধোপাজান নদীতে বালু লুট। সংঘবদ্ধ লুটকারীদের বাগে আনতে ব্যর্থ হতে থাকে পুলিশ ও প্রশাসনের নেয়া সকল কৌশল। পরে এ নিয়ে প্রশাসন, পুলিশ ও সেনাবাহিনী নদীর উৎসমুখে অভিযান চালানোর পর গত দুই দিন ধরে স¤পূর্ণরূপে বন্ধ রয়েছে বালু লুট। এর আগে পুলিশ সুপার আ ফ ম আনোয়ার হোসেন খান মধ্যরাতে নদী পরিদর্শন করে বালু লুট বন্ধে পুলিশকে কঠোর নির্দেশনা দেন। বাড়ানো হয় পুলিশি তৎপরতা। শক্ত অবস্থানে যায় প্রশাসন ও সেনাবাহিনী। এর প্রেক্ষিতে যৌথবাহিনীর অভিযানে বালু লুটে জড়িত শতাধিক নৌকা জব্দ করা হয়। দুই দিন ধরে বালু লুট করে একটি নৌযানও বের হয়নি ধোপাজান-চলতি নদী থেকে। পুলিশ সুপার আ ফ ম আনোয়ার হোসেন খান বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে সীমিত জনবল থাকার পরও ধোপাজান-চলতি নদীতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পুলিশ দায়িত্ব পালন করে আসছে। কিন্তু বালু লুটের সঙ্গে জড়িতরা সংঘবদ্ধ থাকায় অনেক সময় তাদের রোধ করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে এই লুট বন্ধে পুলিশ জিরো টলারেন্স অবস্থান নিয়েছে। প্রশাসন ও সেনাবাহিনীও শক্ত অবস্থানে রয়েছে। ফলে সরকারি সম্পত্তি লুট বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। বালু লুট চক্র যতই শক্তিশালী ও সংঘবন্ধ হোক না কেন, তাদের কোনপ্রকার ছাড় দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন পুলিশ সুপার। এদিকে, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন ও স্থানীয়রা মনে করেন, ধোপাজান-চলতি নদীর বালু লুট ঠেকাতে পুলিশকে এতো বেশি সময় ব্যয় করতে হয়, যাতে করে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে তাদের নিয়মিত কাজগুলোতে প্রভাব পড়ে। বালু মহালটি বৈধভাবে ইজারা বন্দোবস্ত দিলে - এই সমস্যা থেকে উত্তরণ সম্ভব। সেইসাথে সরকারও মোটা অংকের রাজস্ব পাবে এবং বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স