সুনামগঞ্জ , বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪ , ৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
দেশ পুনর্গঠনে দ্রুত নির্বাচন প্রয়োজন : সেলিমা রহমান অধ্যক্ষের অপসারণ দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন দোয়ারাবাজারে আ.লীগ নেতা গ্রেফতার বিশ্ব ইজতেমা আগামী জানুয়ারিতে জনগণ যেন কুয়াশার মধ্যে আছে : রিজভী শিক্ষা কর্মকর্তার অফিস ঘেরাও করলেন ছাত্র-জনতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা হবে : কয়ছর এম আহমদ আর্থসামাজিক ব্যবস্থাটাই বদলে দিন ২৫২ এসআই’কে অব্যাহতি রাজনৈতিক কারণে নয় : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নভেম্বরের শুরুতে লন্ডন যেতে পারেন খালেদা জিয়া খালেদা জিয়ার নাইকো মামলায় আরও ৩ জনের সাক্ষ্য ব্যারিস্টার সুমন ৫ দিনের রিমান্ডে মধ্যনগরে যুবলীগ নেতা গ্রেফতার শহীদ সোহাগ মিয়ার পরিবারের পাশে বন্ধুসভা রাস্তায় জমে থাকে ড্রেনের নোংরা পানি: চরম ভোগান্তিতে মানুষ শহরে মুদি দোকানে চুরি বালু-পাথরখেকোদের প্রতিরোধ করুন সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমনে একমত ভারত-চীন রাষ্ট্রপতির বিষয়ে ছাত্রসমাজই নির্ধারক, জাপা বিবেকহীন : সারজিস আলম দীর্ঘদিন পর দেশে ফিরছেন যুক্তরাজ্য বিএনপি’র নেতারা

বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের হাতেই থাকছে

  • আপলোড সময় : ২১-১০-২০২৪ ১১:৫৩:২০ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২১-১০-২০২৪ ১১:৫৩:২০ পূর্বাহ্ন
বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের হাতেই থাকছে
সুনামকণ্ঠ ডেস্ক :: বিচারপতিদের অপসারণসংক্রান্ত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় রিভিউ চেয়ে করা আবেদন পর্যবেক্ষণসহ নি®পত্তি করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। শুনানি শেষে রোববার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন। এর ফলে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের হাতেই থাকল বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের কাছে ফিরিয়ে নিতে ২০১৪ সালে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী আনা হয়। এর বৈধতা নিয়ে রিট করলে চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ৫ মে হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। একই বছরের ৩ জুলাই তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের সাত সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সর্বসম্মতিতে আপিলটি খারিজ করে রায় দেন। ২০১৭ সালের ১ আগস্ট আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। পরে একই বছরের ২৪ ডিসেম্বর ওই রায় রিভিউ চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। ১৯৭২ সালের সংবিধানে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের কাছে ছিল। ১৯৭৫ সালে চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে এই ক্ষমতা দেওয়া হয় রাষ্ট্রপতিকে। ১৯৭৭ সালে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলকে এই ক্ষমতা দেওয়া হয়, যা পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হয়। খন্দকার দেলোয়ার হোসেন বনাম ইটালিয়ান মার্বেল ওয়ার্কস মামলায় ২০০৫ সালে হাইকোর্ট সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী বাতিল করেন। ২০১০ সালে আপিল বিভাগ তা বহাল রাখেন। তবে অধিকতর স্বচ্ছতা ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতার রক্ষাকবচ বিবেচনায় সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের বিধান বলবৎ রাখেন আপিল বিভাগ। ২০১১ সালে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বিধান অপরিবর্তিত রেখে জাতীয় সংসদে পঞ্চদশ সংশোধনী পাস হয়। ২০১৪ সালে ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা আবারও সংসদের হাতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে তা অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স