সুনামগঞ্জ , শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ , ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
খেলাফত মজলিসের জেলা কমিটি গঠন গণশিক্ষা উপদেষ্টার সাথে সুবিপ্রবি স্থায়ী ক্যাম্পাস বাস্তবায়ন আন্দোলন কমিটির সাক্ষাৎ বইমেলা আমাদের সংস্কৃতি আর জ্ঞানের প্রতীক- জেলা প্রশাসক ২০১৮ সালে নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা ৩৩ ডিসিকে ওএসডি বিএনপির বর্ধিত সভা এবার সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে জেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের পরিকল্পনা সভা আল-আকসা কিন্ডারগার্টেন উদ্বোধন সাবেক কাউন্সিলর আবুল হাসনাত কাওসার গ্রেফতার শিক্ষকের মারধরে ছাত্র আহত অ্যাড. নূরুল ইসলামের সমর্থনে প্রচার সভা ডাচ্-বাংলা ব্যাংক পিএলসির উদ্যোগে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ এখনো অনেক কাজ বাকি এবারও হাওরের মাটি কাটা হচ্ছে কলমে! জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন জগন্নাথপুরে ৩ দোকান থেকে নগদ অর্থসহ অর্ধকোটি টাকার মোবাইল চুরি মৎস্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টোল আদায় বন্ধের দাবি জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে রাণীগঞ্জ মাদ্রাসায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে অত্যাধুনিক এক্স-রে মেশিন চালু : স্বল্প মূল্যে সেবা পাবেন রোগীরা ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে মাদ্রাসা সুপারের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ

মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি কত দূর?

  • আপলোড সময় : ২০-১০-২০২৪ ০২:৪৫:২৬ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২০-১০-২০২৪ ০২:৪৫:২৬ পূর্বাহ্ন
মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি কত দূর?
সুনামকণ্ঠ ডেস্ক :: লেবানন, ফিলিস্তিন - দুই এলাকার চিত্র এখন একই। দুটি স্থানেই ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) অভিযান চালাচ্ছে। গণহত্যার অভিযোগও উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। এক বছর আগে গাজায় অভিযানের মধ্য দিয়ে যে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল, সেই যুদ্ধ এখন লেবাননে ছড়িয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, এসব যুদ্ধের শেষ কোথায় এবং মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফিরবে কবে? বৈশিষ্ট্য বিবেচনা করলে লেবানন ও গাজার যুদ্ধে একটি মিল আছে। দুটি স্থানেই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করছে হামাস ও হিজবুল্লাহ - দুটি সশস্ত্র সংগঠন ইরানের ঘনিষ্ঠ মিত্র। তাদের অস্ত্র, অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করে ইরান। এ যুদ্ধে আরেকটি সশস্ত্র সংগঠন জড়িয়ে আছে - ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। তারাও ইরানের ঘনিষ্ঠ। তাদেরও পৃষ্ঠপোষকতা আসে ইরান থেকে। গত বছরের ৭ অক্টোবর হঠাৎ ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এতে এক হাজারের বেশি ইসরায়েলি নিহত এবং দুই শর বেশি ইসরায়েলিকে অপহরণ করা হয়। ওই দিনই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের হামলায় সেখানে নিহত হয়েছে ৬২ জন। এ নিয়ে ৪২ হাজার ৫০০ জন ফিলিস্তিনি মারা গেল এই যুদ্ধে। এ ছাড়া আহত হয়েছে প্রায় ১ লাখ মানুষ। যখন ফিলিস্তিনের গাজায় অভিযান শুরু হয়, তখন হামাসের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছিল লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। আর লোহিতসাগরে পশ্চিমাদের জাহাজ লক্ষ্য করে হামলা শুরু করে হুতি বিদ্রোহীরা। এরপর পশ্চিমাদের অভিযানে হুতিরা খানিকটা শান্ত হয়ে আসে। তবে গত সপ্তাহেও হুতিদের স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া লেবাননে এখন পুরোদমে চলছে যুদ্ধ। আর গাজার যুদ্ধের মাঝেই ইসরায়েল হামাস ও হিজবুল্লাহর নেতাদের লক্ষ্য করে অভিযান চালাচ্ছে। এতে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া, ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া হামাসের শীর্ষ পর্যায়ের বেশ কয়েকজন নেতা প্রাণ হারিয়েছেন আইডিএফের হাতে। এখন হামাসের নেতৃত্বও দুর্বল হয়ে যাচ্ছে - এতে কোনো সন্দেহ নেই। গত শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা এক ভিডিওতে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, গাজায় যুদ্ধ শেষ হয়নি। এটি কেবল শেষের শুরু। অর্থাৎ গাজায় অভিযান এখনই শেষ হচ্ছে না। অন্তত নেতানিয়াহুর বক্তব্যে এটা স্পষ্ট। এদিকে লেবাননে স্থল অভিযান শুরুর দুই সপ্তাহ আগে থেকে নিয়মিত আকাশপথে হামলা শুরু করেছিল আইডিএফ। স্থল অভিযান ও বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতা হাসান নাসরুল্লাহসহ শীর্ষ অন্তত ২০ জন কমান্ডার ইতিমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন। এই সংগঠনও দুর্বল হয়ে পড়েছে। তাদের বিরুদ্ধেও অভিযান চালিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। আর লেবানন যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের কোনো মাথাব্যথা নেই। তারা চায়, ইসরায়েল এখন যেন ইরানে হামলা না চালায়। আর হামলা চালালেও পারমাণবিক ও তেলের স্থাপনায় যেন হামলা না চালায়। এদিকে গত শুক্রবার হামাস, হুতি ও হিজবুল্লাহ বলেছে, তারা সিনওয়ার হত্যার প্রতিশোধ নেবে। একই কথা বলেছে ইরানও। এরই মধ্যে সিরিয়ায়ও মাঝেমধ্যে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। হামলা হয়েছে ইরানেও। অর্থাৎ গাজা যুদ্ধ দিয়ে যে সংঘাতের সূত্রপাত হয়েছে, সেই তা ছড়িয়েছে লেবানন, ইয়েমেন, ইরান ও সিরিয়াতেও। আর ইরানপন্থী গোষ্ঠীগুলোর বক্তব্য এবং ইসরায়েলপন্থী পশ্চিমাদের তৎপরতায় এটা প্রতীয়মান হচ্ছে, যুদ্ধ শিগগির থামছে না। ফলে প্রশ্ন থাকছে, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি আসবে কবে? এই যুদ্ধ কি আরও বিস্তৃত হবে? হলে সেই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কোথায় গিয়ে ঠেকবে?

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
গণশিক্ষা উপদেষ্টার সাথে সুবিপ্রবি স্থায়ী ক্যাম্পাস বাস্তবায়ন আন্দোলন কমিটির সাক্ষাৎ

গণশিক্ষা উপদেষ্টার সাথে সুবিপ্রবি স্থায়ী ক্যাম্পাস বাস্তবায়ন আন্দোলন কমিটির সাক্ষাৎ