সুনামগঞ্জ , বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪ , ৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
দেশ পুনর্গঠনে দ্রুত নির্বাচন প্রয়োজন : সেলিমা রহমান অধ্যক্ষের অপসারণ দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন দোয়ারাবাজারে আ.লীগ নেতা গ্রেফতার বিশ্ব ইজতেমা আগামী জানুয়ারিতে জনগণ যেন কুয়াশার মধ্যে আছে : রিজভী শিক্ষা কর্মকর্তার অফিস ঘেরাও করলেন ছাত্র-জনতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা হবে : কয়ছর এম আহমদ আর্থসামাজিক ব্যবস্থাটাই বদলে দিন ২৫২ এসআই’কে অব্যাহতি রাজনৈতিক কারণে নয় : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নভেম্বরের শুরুতে লন্ডন যেতে পারেন খালেদা জিয়া খালেদা জিয়ার নাইকো মামলায় আরও ৩ জনের সাক্ষ্য ব্যারিস্টার সুমন ৫ দিনের রিমান্ডে মধ্যনগরে যুবলীগ নেতা গ্রেফতার শহীদ সোহাগ মিয়ার পরিবারের পাশে বন্ধুসভা রাস্তায় জমে থাকে ড্রেনের নোংরা পানি: চরম ভোগান্তিতে মানুষ শহরে মুদি দোকানে চুরি বালু-পাথরখেকোদের প্রতিরোধ করুন সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমনে একমত ভারত-চীন রাষ্ট্রপতির বিষয়ে ছাত্রসমাজই নির্ধারক, জাপা বিবেকহীন : সারজিস আলম দীর্ঘদিন পর দেশে ফিরছেন যুক্তরাজ্য বিএনপি’র নেতারা

৪ বছরেও মেরামত হয়নি সেতু, সীমাহীন ভোগান্তি

  • আপলোড সময় : ১৭-১০-২০২৪ ১২:৪০:২৩ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৭-১০-২০২৪ ১২:৪০:২৩ অপরাহ্ন
৪ বছরেও মেরামত হয়নি সেতু, সীমাহীন ভোগান্তি
আশিস রহমান :: প্রায় চার বছর ধরে ধসে পড়ে আছে দোয়ারাবাজার উপজেলার মান্নারগাঁও ইউনিয়নের পুটিপুশি ব্রিজ। এখন পর্যন্ত এই ব্রিজটি মেরামত না করায় প্রতিনিয়তই সীমাহীন ভোগন্তির সম্মুখীন হচ্ছেন মানুষজন। ২০২০ সালের ২৯ জুলাই বন্যার পানির পানিতে পুটিপুশি ব্রিজটি সম্পূর্ণভাবে ধসে যায়। এরপর থেকে আজোবধি এটি আর মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পুটিপুশি ব্রিজটি সুরমা নদীর পাড় সংলগ্ন নূরপুর সিএনজি স্টেশনের সাথে আমবাড়িবাজার ও সুনামগঞ্জ জেলা সদরের সংযোগ স্থাপন করেছে। এই সড়ক পথ দিয়ে দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা, বোগলাবাজার, লক্ষ্মীপুর ও মান্নারগাঁও ইউনিয়নের একাংশের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ জেলা সদরে আসা যাওয়া করে থাকে। সরেজমিনে দেখা যায়, ধসে পড়া ব্রিজের উপর নির্মিত নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে সিএনজি চালিত যানবাহনসহ শিক্ষার্থী, নারী, শিশু, বয়োবৃদ্ধ ও সাধারণ পথচারীদের পারাপার হচ্ছেন। এতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ নির্মাণকাজের সময় ব্রিজটি টেকসইভাবে নির্মাণ করা হয়নি এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের যথাযথ তদারকির অভাব ছিল। যেকারণে নির্মাণের অল্পদিনের মধ্যেই সামান্য বন্যার পানির পানিতে ব্রিজটি ধসে পড়ে যায়। পথচারী মাসুক নাইম বলেন, এই ব্রিজ মেরামত না হওয়ায় এদিক দিয়ে যাতায়াত করা যে কতো কষ্ট তা বলে বুঝানো যাবেনা। সবসময় ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। স্থানীয় বাসিন্দা লিটন দাস জানান, ব্রিজটি ধসে পড়ে আছে চার বছর ধরে, অথচ দেখার কেউ নেই! সিএনজি চালক লিটন দাস ও রাসেল মিয়া বলেন, ব্রিজ ধসে পড়ার পর থেকে বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে সিএনজি পারাপার করছি। কখন জানি কোন দুর্ঘটনা ঘটে, সবসময় আতঙ্কে থাকি। আমাদের এই দুর্দশা দেখার কেউ নেই। এই ব্রিজটি দ্রুত নির্মানের দাবি জানাই। দোয়ারাবাজার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আম্বিয়া আহমদ জানান, ধসে পড়া পুটিপুশি ব্রিজের নির্মাণকাজ খুব শিঘ্রই শুরু হবে। ইতোমধ্যে ব্রিজটির টেন্ডার সম্পন্ন হয়েছে। পিসি গার্ডার সম্বলিত এই ব্রিজের বরাদ্দ ব্যয় ধরা হয়েছে ৮০ লাখ টাকা।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স