সুনামগঞ্জ , মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫ , ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
লক্ষ্য একটাই, ২৬ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন : মির্জা ফখরুল মাদকসহ গ্রেফতারের পর জামিনে এসে প্রতিবাদকারীর বিরুদ্ধে মামলা! ৭২-এর সংবিধানকে টিকিয়ে রাখতে চাচ্ছে বিএনপি : নাহিদ ইসলাম ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনারের শুল্ক স্টেশন পরিদর্শন পথে যেতে যেতে : পথচারী হাসন তোরণ থেকে আলফাত স্কয়ার শুরু হচ্ছে চার লেন সড়ক নির্মাণকাজ নতুন আঙ্গিকে ‘হোটেল নূরানী’র শুভ উদ্বোধন জনগণের সেবার দায়িত্ব আন্তরিকভাবে পালন করতে হবে : অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার সম্ভব-অসম্ভবে ভোটের প্রস্তুতি শাপলা প্রতীক কেউ পাবে না: বিবিসি বাংলাকে সিইসি সুনামগঞ্জে এনসিপি’র নেতৃত্বে সাজাউর রাজা সুমন এনসিপি’র কমিটিতে নাম আসা হারুনুর রশিদ বললেন- “তিনি বিএনপি’র রাজনীতিতে যুক্ত” পাসপোর্ট ইস্যু বেড়েছে চার গুণ শহর যানজটমুক্ত করতে ১৬ জুলাই থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ : জেলা প্রশাসক একটি মাত্র সেতুর অভাবে দুর্ভোগে কয়েক হাজার মানুষ পাঁচ গুণিজনকে সম্মাননা প্রদান ‘রাজসাক্ষী’ হিসেবে শর্তসাপেক্ষে চৌধুরী মামুনকে ক্ষমা করা যেতে পারে : ট্রাইব্যুনাল ষড়যন্ত্র এখনো শেষ হয়ে যায়নি, স্পষ্ট হচ্ছে অদৃশ্য শত্রু : তারেক রহমান চার উপজেলায় এসিল্যান্ড নেই, দুর্ভোগে সেবাপ্রত্যাশীরা শহরের খাল উদ্ধারে ফের শুরু হচ্ছে অভিযান

অগ্নিকন্যা মতিয়া চৌধুরী আর নেই

  • আপলোড সময় : ১৭-১০-২০২৪ ০৯:০৯:৫৭ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৭-১০-২০২৪ ০৯:০৯:৫৭ পূর্বাহ্ন
অগ্নিকন্যা মতিয়া চৌধুরী আর নেই
সুনামকণ্ঠ ডেস্ক :: অগ্নিকন্যা হিসেবে খ্যাত আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী মারা গেছেন। বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। মতিয়া চৌধুরীর মামা ও জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, মতিয়া চৌধুরীর মরদেহ এখন এভার কেয়ার হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। আমাদের পারিবারিক সিদ্ধান্ত, তাঁকে বৃহস্পতিবার মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাঁর স্বামী বজলুর রহমানের কবরে শায়িত করা হবে। দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন মতিয়া চৌধুরী। মাঝে তাঁকে বাসায় আনা হয়েছিল। কিন্তু শারীরিক জটিলতা দেখা দেওয়ায় আবার এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মতিয়া চৌধুরী ১৯৪২ সালের ৩০ জুন পিরোজপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন। ছাত্র রাজনীতি শেষে তিনি ন্যাপে যোগ দিয়েছিলেন। রাজনীতির মাঠে অগ্নিকন্যা হিসেবে খ্যাত ছিলেন মতিয়া। ১৯৭৯ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। দলটির কৃষি সম্পাদকসহ বিভিন্ন দায়িত্বে ছিলেন। সর্বশেষ সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ছিলেন। সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুর পর একাদশ জাতীয় সংসদের সংসদ উপনেতা নির্বাচিত হন মতিয়া চৌধুরী। দ্বাদশ জাতীয় সংসদেও একই দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ ও ২০১৪ সালে শেখ হাসিনার সরকারে কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন মতিয়া চৌধুরী। তার আগে ১৯৯৬ সালের সরকারেও মন্ত্রী ছিলেন তিনি। বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাসে নারী হিসেবে প্রথম কোনো সংগঠনের সভাপতির দায়িত্বে আসা মতিয়া গত শতকের ষাটের দশকে ‘অগ্নিকন্যা’ হিসেবে খ্যাত ছিলেন। ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি হওয়ার পাশাপাশি তখন ডাকসুর জিএসের দায়িত্বও পালন করেন তিনি। ১৯৬০-এর দশকে পাকিস্তানের সামরিক স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার যে আন্দোলন-সংগ্রাম শুরু হয়, তাতে মতিয়া চৌধুরী সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। আইয়ুব খানের আমলে চারবার কারাবরণ করেন। ১৯৬৫ সালে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নির্বাচিত হন। স্বাধীনতার পর মতিয়া চৌধুরী আওয়ামী লীগে যোগ দেন। এরপর তিনি দলটির হয়ে বিভিন্ন আন্দোলনে রাজপথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি সামরিক বিভিন্ন সরকারের সময় কারাবরণ করেন। একসময়ের বামপন্থী ছাত্রনেতা পরে রাজপথের লড়াইয়ে থাকেন সামনের কাতারে, হয়ে ওঠেন শেখ হাসিনার আস্থাভাজন। ২০০৭ সালে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জরুরি অবস্থার সময় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী কয়েকজন নেতা যখন শেখ হাসিনাকে বাদ দিয়ে দলে ‘সংস্কারের’ দাবি তোলেন, তখন যে কজন তাঁর পাশে শক্তভাবে দাঁড়ান, তাঁদের একজন মতিয়া। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সংস্কারপন্থীদের দলের নীতিনির্ধারণী পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে মতিয়া চৌধুরীর ওপর আস্থা রেখেছেন শেখ হাসিনা। ওই বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিডিআর বিদ্রোহের পরপর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা সেনানিবাসে স্বজন ও সহকর্মী হারানো বিক্ষুব্ধ সেনাসদস্যদের মুখোমুখি হয়েছিলেন। তখন তার সঙ্গী ছিলেন রাজপথের সাহসী রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত মতিয়া। মতিয়া চৌধুরী শেরপুর-২ (নালিতাবাড়ী-নকলা) আসন থেকে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেন। তাঁর স্বামী খ্যাতিমান সাংবাদিক বজলুর রহমান ২০০৮ সালে মারা যান।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
লক্ষ্য একটাই, ২৬ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন : মির্জা ফখরুল

লক্ষ্য একটাই, ২৬ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন : মির্জা ফখরুল