সুনামগঞ্জ , শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ , ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
গণশিক্ষা উপদেষ্টার সাথে সুবিপ্রবি স্থায়ী ক্যাম্পাস বাস্তবায়ন আন্দোলন কমিটির সাক্ষাৎ বইমেলা আমাদের সংস্কৃতি আর জ্ঞানের প্রতীক- জেলা প্রশাসক ২০১৮ সালে নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা ৩৩ ডিসিকে ওএসডি বিএনপির বর্ধিত সভা এবার সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে জেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের পরিকল্পনা সভা আল-আকসা কিন্ডারগার্টেন উদ্বোধন সাবেক কাউন্সিলর আবুল হাসনাত কাওসার গ্রেফতার শিক্ষকের মারধরে ছাত্র আহত অ্যাড. নূরুল ইসলামের সমর্থনে প্রচার সভা ডাচ্-বাংলা ব্যাংক পিএলসির উদ্যোগে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ এখনো অনেক কাজ বাকি এবারও হাওরের মাটি কাটা হচ্ছে কলমে! জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন জগন্নাথপুরে ৩ দোকান থেকে নগদ অর্থসহ অর্ধকোটি টাকার মোবাইল চুরি মৎস্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টোল আদায় বন্ধের দাবি জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে রাণীগঞ্জ মাদ্রাসায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে অত্যাধুনিক এক্স-রে মেশিন চালু : স্বল্প মূল্যে সেবা পাবেন রোগীরা ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে মাদ্রাসা সুপারের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেনকে প্রত্যাহার
নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে অপর্যাপ্ত খাদ্য গ্রহণ করছে ৩০ শতাংশ মানুষ : ডব্লিউএফপি

২০ শতাংশ মানুষ খাদ্যনিরাপত্তাহীনতায়, সবচেয়ে বেশি সিলেট ও বরিশাল বিভাগে

  • আপলোড সময় : ১৪-১০-২০২৪ ০১:২৭:৩০ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৪-১০-২০২৪ ০১:২৭:৩০ পূর্বাহ্ন
২০ শতাংশ মানুষ খাদ্যনিরাপত্তাহীনতায়, সবচেয়ে বেশি সিলেট ও বরিশাল বিভাগে
সুনামকণ্ঠ ডেস্ক :: বাংলাদেশে খাদ্যনিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ২০ শতাংশ মানুষ। সিলেট ও বরিশাল অঞ্চলে এ হার সবচেয়ে বেশি, ২৪ শতাংশ। আর নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাবে প্রয়োজনের চেয়ে কম খাদ্য গ্রহণ করছে দেশের ৩০ শতাংশ মানুষ। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) প্রকাশিত এক নিয়মিত প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে। দেশের আট বিভাগের ১ হাজার ২০০ মানুষের ওপর পরিচালিত জরিপের ভিত্তিতে নিয়মিত প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে ডব্লিউএফপি। সেপ্টেম্বর শেষে দেশে খাদ্যনিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে গত সপ্তাহেই এটি প্রকাশ করা হয়। এতে দেখা যায়, দেশের সাম্প্রতিক বন্যায় কৃষি ও সামগ্রিক অর্থনীতির ওপর চাপ তৈরি হয়েছে। এর প্রভাবে প্রয়োজনীয় খাদ্য সংস্থান করতে পারছে না প্রতি ১০ জনের মধ্যে তিনজন বা ৩০ শতাংশ। নি¤œ আয়ের মানুষের ক্ষেত্রে এ হার প্রায় ৩৬ শতাংশ। খাদ্য ব্যয় সংকোচনমূলক ব্যবস্থার মাধ্যমে বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে ২৯ শতাংশ মানুষ। আর সার্বিক জীবন-জীবিকায় ব্যয় সমন্বয়ের মাধ্যমে পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে ৭১ শতাংশ মানুষ। খাদ্যনিরাপত্তাহীনতার ধারাবাহিকতায় দেশে অপুষ্টি ও রোগব্যাধির প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য হলো কম খাবার গ্রহণের ফলে শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। পুষ্টিহীনতা বেড়ে যায়। এমনকি প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রেও কমে যায় রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা। ফলে নানাবিধ রোগ-ব্যাধির প্রকোপও বাড়ে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেনিন চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, খাদ্য কম গ্রহণ করলে মানুষের ওজন কমে যায়। তখন রোগ-ব্যাধি তীব্রতর হয়। গর্ভবতী নারীদের স্বাস্থ্য খারাপ হয়। জন্ম নেয়া শিশুও খর্বকায় হয়। রুগ্ণ শিশুর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি ব্যাহত হয় তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ। শহরের চেয়ে গ্রামাঞ্চলে খাদ্যনিরাপত্তাহীনতার হার তুলনামূলক বেশি বলে বিভিন্ন সময় সরকারি-বেসরকারি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। সর্বশেষ সরকারি তথ্য অনুযায়ী দেশে ১৮ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে। তাদের ওপরই মূল্যস্ফীতির চাপ ও খাদ্যনিরাপত্তাহীনতার সংকট সবচেয়ে মারাত্মক আকারে জেঁকে বসেছে। আবার দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থানকারীদের হারের চেয়ে খাদ্যনিরাপত্তাহীনতায় ভুক্তভোগীর হার বেশি। এর অর্থ হলো দারিদ্র্যসীমার ওপর অবস্থানরতরাও উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে ভুগছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাদ্যের জোগান থাকার পরও প্রয়োজনীয় খাদ্য গ্রহণ করতে না পারার পরিস্থিতিকেই বলা হয় খাদ্যনিরাপত্তাহীনতা। মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়তে থাকায় চাপে পড়েছে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতাও। আয় করার পরও বাড়তি দামের কারণে প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় করতে পারছেন না অনেকেই। ডব্লিউএফপির প্রতিবেদন বলছে, সিন্ডিকেটের কারণে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। ফলে নি¤œ আয়ের প্রায় ৩৬ শতাংশ মানুষ খাদ্যনিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। ৫৪ শতাংশ পরিবার খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ার কথা বলছে। যার প্রভাবে ৫৯ শতাংশ পরিবারের ব্যয় বেড়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে আবার ৩৭ শতাংশ পরিবারের আয় কমে গেছে। বন্যা ও বন্যা-পরবর্তী পরিস্থিতিতে অনেকে কর্মহীন হয়ে পড়েছে, যার প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে শ্রমজীবী মানুষের ওপর। তবে এর মধ্যেও আশাবাদী অর্থনীতিবিদদের অনেকে। তাদের ভাষ্যমতে, সাম্প্রতিক বন্যার প্রকোপ কমে আসার পাশাপাশি বাজার নিয়ন্ত্রণে এলে খাদ্যনিরাপত্তাহীনতা কমে আসবে বলে প্রত্যাশা তাদের। অর্থনীতিবিদ ও ইকোনমিক রিসার্চ গ্রুপের (ইআরজি) পরিচালক ড. এ কে এনামুল হক বলেন, খাদ্যনিরাপত্তাহীনতা বেড়ে যাওয়ার কারণ হলো সাম্প্রতিক বন্যা ও নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি। তবে আশা করছি আগামী মাস থেকে হয়তো তা কমে আসবে। কারণ নভেম্বরে আমাদের দেশে ধান কাটা হয়। নতুন ধান বাজারে এলে পরিস্থিতির হয়তো উন্নতি ঘটবে। জরিপে দেখা যায়, খাদ্য কেনার জন্য ঋণ করতে হচ্ছে ৪২ শতাংশ মানুষকে। আর খাদ্য ব্যয় মেটাতে গিয়ে স্বাস্থ্য ব্যয় কাটছাঁট করছে ২৬ শতাংশ। ১৭ শতাংশ বাধ্য হচ্ছে সঞ্চয় ভাঙতে। আর নানা ধরনের সহায়তার ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে ১৫ শতাংশ মানুষকে। সার্বিক বিষয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব মো. মাসুদুল হাসান বলেন, নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে টিসিবির মাধ্যমে ১ কোটি পরিবার এবং ওএমএসের মাধ্যমে ৫০ হাজার পরিবারের মধ্যে সুলভ মূল্যে চাল ও আটা বিক্রি করা হচ্ছে। জেলায় জেলায় নতুন নীতিমালার আলোকে ওএমএস ডিলার নিয়োগ করা হচ্ছে। নতুনভাবে ডিলার নিয়োগ দিয়ে প্রান্তিক পর্যায়ে জনগণের চাল ও আটার প্রাপ্তি নিশ্চিত করার জোর প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। -বণিক বার্তা

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
গণশিক্ষা উপদেষ্টার সাথে সুবিপ্রবি স্থায়ী ক্যাম্পাস বাস্তবায়ন আন্দোলন কমিটির সাক্ষাৎ

গণশিক্ষা উপদেষ্টার সাথে সুবিপ্রবি স্থায়ী ক্যাম্পাস বাস্তবায়ন আন্দোলন কমিটির সাক্ষাৎ