সুনামগঞ্জ , বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪ , ১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
টাঙ্গুয়ার হাওরে অবৈধ জাল জব্দ, আটক ১৬ জামালগঞ্জে বিআরডিবি’র সভাপতি পদে নির্বাচন সম্পন্ন এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন উপলক্ষে প্রেস কনফারেন্স ডিমের নতুন দাম নির্ধারণ সরকারি ঘরের জামানতের কথা বলে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাসের হারে সিলেটের চমক যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সফরে গেলেন সেনাপ্রধান সাগর-রুনি হত্যা : ১১২ বার পেছাল তদন্ত প্রতিবেদন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ভিডিও ও স্থিরচিত্র জমা দেওয়ার আহ্বান ঘর দেয়ার কথা বলে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক গ্রেফতার বাজারে সবজি সংকট, ডিম ‘উধাও’ কাঁচামরিচের কেজি ৬০০ টাকা! মানবিক ভিসা চালু করতে যাচ্ছে পর্তুগাল তারেক রহমানের সব মামলা প্রত্যাহার না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি সালমান-আনিসুল-পলক-মামুন আরও ৪৭ মামলায় গ্রেফতার শান্তিগঞ্জে যাত্রীছাউনির অভাবে মানুষের ভোগান্তি আজ এইচএসসি’র ফল প্রকাশ নাইকো মামলা: খালেদা জিয়াসহ আট জনের সাক্ষ্য গ্রহণ ২২ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে পুরুষদের বয়সসীমা ৩৫, নারীদের ৩৭ করার সুপারিশ ১৫ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট অভ্যুত্থানে সক্রিয় ছাত্র-জনতাকে হয়রানি করা হবে না

সড়ক-সেতুতে দুর্নীতি হয়েছে ৫০ হাজার কোটি টাকা

  • আপলোড সময় : ১০-১০-২০২৪ ০১:১৪:৫৪ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১০-১০-২০২৪ ০১:১৪:৫৪ অপরাহ্ন
সড়ক-সেতুতে দুর্নীতি হয়েছে ৫০ হাজার কোটি টাকা
সুনামকণ্ঠ ডেস্ক :: গত দেড় দশকে সড়ক ও সেতু খাতে সরকারের মোট বরাদ্দ ছিল প্রায় ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ২৯ হাজার থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে জানিয়েছে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। বুধবার সকালে ধানমন্ডির সংস্থাটির নিজস্ব কার্যালয়ে ‘সড়ক ও মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক গবেষণার ফল উপস্থাপনের সময় এ তথ্য জানানো হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, ২০০৯-১০ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে অর্থাৎ গত ১৪ বছরে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অধীনে বাস্তবায়িত উন্নয়ন প্রকল্পের প্রাক্কলিত দুর্নীতির পরিমাণ ২৯ হাজার ২৩০ কোটি থেকে ৫০ হাজার ৮৩৫ কোটি টাকা। উন্নয়ন প্রকল্পের নির্মাণ কাজে সার্বিক দুর্নীতির হার ২৩-৪০ শতাংশ। এর মধ্যে নির্মাণ কাজের কার্যাদেশ প্রাপ্তি ও ঠিকাদারের বিল প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ঘুষ, দুর্নীতির হার ১১-১৪ শতাংশ ও নির্মাণ কাজে রাজনীতিবিদ, ঠিকাদার ও উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ত্রিপক্ষীয় আঁতাতের মাধ্যমে দুর্নীতির হার ১০-২০ শতাংশ; দরপত্র লাইসেন্স ভাড়া, কার্যাদেশ বিক্রয়, সমঝোতা, স্থানীয় পর্যায়ের রাজনৈতিক চাঁদাবাজি ইত্যাদি ক্ষেত্রে দুর্নীতির হার ২-৬ শতাংশ। এই গবেষণাটিতে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অধীনে বাস্তবায়িত উন্নয়ন প্রকল্পগুলো আওতাভুক্ত করা হয়েছে। গবেষণায় দেশীয় অর্থায়নে বাস্তবায়িত প্রকল্পগুলো গুরুত্ব দিয়ে এক হাজার কোটি টাকার নিচের প্রকল্পগুলো নির্বাচন করা হয়েছে। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, জনস্বার্থে নেওয়া প্রকল্পগুলোতে রাজনীতিবিদ, আমলা ও ঠিকাদারদের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় আঁতাত রয়েছে। একেবারে নি¤œ পর্যায় থেকে শুরু করে উচ্চপর্যায় পর্যন্ত এসব দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করেছে। সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের ঘুষ লেনদেনে ৪০-৪৩ শতাংশ অর্থ লোপাট হয়। এখন ত্রিপক্ষীয় সিন্ডিকেট যদি আমরা ভাঙতে না পারি, তাহলে দুর্নীতিবিরোধী কোনো কার্যক্রম সফল হবে না। এক প্রশ্নের জবাবে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক মো. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আমাদের গবেষণা প্রতিবেদন শুধু দেশীয় অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্প নিয়ে হয়েছে। তবে বিদেশি অর্থায়নের প্রকল্পগুলোতেও কম বেশি দুর্নীতি হয়েছে। এতে আমরা দেশীয় আমলাতন্ত্রের সঙ্গে বিদেশি আমলাতন্ত্রের যোগসাজশ হয়েছে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স