সুনামগঞ্জ , বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ , ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
আজ সশস্ত্র বাহিনী দিবস পলাশ ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল আহমদ কারাগারে মুজিববর্ষ উদযাপনে খরচ ১২৬১ কোটি টাকা পুলিশের নতুন আইজিপি বাহারুল আলম লাখে ২০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয় শিক্ষা কর্মকর্তাকে জামালগঞ্জে অগ্নিকান্ডে দুটি বসতঘর পুড়ে ছাই ধর্মপাশায় আসামি গ্রেফতার শহরে ফুটপাত দখল করে দোকানপাট: যানজটে জনভোগান্তি পিকনিক স্পটে দুর্বৃত্তদের হামলা ও ভাঙচুর ৭০ লাখ টাকার চোরাই পণ্য জব্দ তুমি যে চেয়ে আছ আকাশ ভরে আ.লীগের সঙ্গে কোনো সমঝোতা নেই : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জামালগঞ্জে এক পরিবারের ৩ বসতঘর পুড়ে ছাই ব্যাংকের সব শাখায় ১, ২ ও ৫ টাকার কয়েন লেনদেনের নির্দেশ সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ৮ দিনের রিমান্ডে সারদায় প্রশিক্ষণরত আরও তিন এসআইকে অব্যাহতি আ.লীগের পুনর্বাসনে চেষ্টাকারীরা গণশত্রু হিসেবে চিহ্নিত হবে : হাসনাত আবদুল্লাহ খেলাপি আদায়ে অর্থ ঋণ আদালতকে সক্রিয় করছে সরকার সংস্কার শেষে নির্বাচন কোনো যৌক্তিক কথা নয় : মঈন খান ফোকাস এখন একটাই- নির্বাচন : মির্জা ফখরুল

বিশ্বম্ভরপুরে ৭ দোকান পুড়ে ২০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি

  • আপলোড সময় : ০৩-১০-২০২৪ ০১:৩৭:৩২ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৩-১০-২০২৪ ০৯:৩১:৫৭ পূর্বাহ্ন
বিশ্বম্ভরপুরে ৭ দোকান পুড়ে ২০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি
পস্টাফ রিপোর্টার :: বিশ্বম্ভরপুরে ৭টি দোকানঘর আগুনে পুড়ে ২০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে ৫টি দোকান সম্পূর্ণ ভস্মিভূত হয়েছে। আর পাশের দুটি দোকানের মালামাল সরাতে গিয়ে আরও লক্ষাধিক টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাজার ব্যবসায়ীরা। বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল পৌনে ৯টার দিকে উপজেলার পলাশ ইউনিয়নের পলাশ বাজারের কাপড়পট্টিতে ঘটনাটি ঘটে। অগ্নিকা-ে ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন- শাহ নেওয়াজ, গিয়াস উদ্দিনের দুটি কাপড়ের দোকান ও মোহাম্মদ শাহ আলম (আকাশ জুয়েলার্স), অমর বাবু (আপন স্বর্ণ শিল্পালয়), মোহাম্মদ ইদ্রিস আলী (জাহিদুল স্বর্ণ শিল্পালয়)। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কাপড় ব্যবসায়ী বাচ্চু মিয়া ও আবু হানিফের দোকান। স্থানীয়রা জানান, বুধবার সকালে হঠাৎ করেই পলাশ বাজারের কাপড়পট্টির শাহ নেওয়াজ শাড়ি-কাপড়ের দোকান ও গিয়াস উদ্দিনের শাড়ি-কাপড়ের দোকানে ধোয়া দেখে বাজারের সবাই এগিয়ে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালান। পাশাপাশি বিশ্বম্ভরপুর ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারাও দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও ৫টি দোকান স¤পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। শাহ নেওয়াজ ও গিয়াস উদ্দিনের দোকানের পাশে ব্যবসায়ী বাচ্চু মিয়া ও আবু হানিফ জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে দ্রুত এসে আমার দোকানের মালামাল লোকজনকে নিয়ে সরানোর চেষ্টা করে রক্ষা পেয়েছি। সময় মতো ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা না আসলে আমার দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যেতো। এরপরও আমার লক্ষাধিক টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন জানান, আমার সব শেষ, একবারেই পথে বসে গেছি। ধারদেনা, এনজিও লোন ও জমি জমা বিক্রি করে এই কাপড়ের দোকান দিয়েছিলাম চোখের সামনেই সব শেষ হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত শাহ নেওয়াজ জানান, পলাশ বাজার মসজিদের টাকাও ছিল দোকানেই। সব টাকা ও কাপড় পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আগুনে পুড়ে যাওয়া ৫ টি দোকানগুলোসহ আমার দোকানও শেষ। কি করব বুঝতে পারছি না। ক্ষতিগ্রস্ত স্বর্ণের দোকান মালিক মোহাম্মদ শাহ আলম জানান, এক মাসও হল না দোকান দিলাম। এর মধ্যেই আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে দোকানের সব মালামাল। বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মফিজুর রহমান বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণের জন্য লোক পাঠানো হয়েছে। আগুন লাগার সঠিক কারণ জানা যায়নি। তবে ফায়ার সার্ভিস আগুন লাগার কারণ জানতে কাজ করছে। ক্ষতিগ্রস্তদের উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা করা হবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স