সুনামগঞ্জ , শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ , ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
গণশিক্ষা উপদেষ্টার সাথে সুবিপ্রবি স্থায়ী ক্যাম্পাস বাস্তবায়ন আন্দোলন কমিটির সাক্ষাৎ বইমেলা আমাদের সংস্কৃতি আর জ্ঞানের প্রতীক- জেলা প্রশাসক ২০১৮ সালে নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা ৩৩ ডিসিকে ওএসডি বিএনপির বর্ধিত সভা এবার সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে জেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের পরিকল্পনা সভা আল-আকসা কিন্ডারগার্টেন উদ্বোধন সাবেক কাউন্সিলর আবুল হাসনাত কাওসার গ্রেফতার শিক্ষকের মারধরে ছাত্র আহত অ্যাড. নূরুল ইসলামের সমর্থনে প্রচার সভা ডাচ্-বাংলা ব্যাংক পিএলসির উদ্যোগে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ এখনো অনেক কাজ বাকি এবারও হাওরের মাটি কাটা হচ্ছে কলমে! জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন জগন্নাথপুরে ৩ দোকান থেকে নগদ অর্থসহ অর্ধকোটি টাকার মোবাইল চুরি মৎস্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টোল আদায় বন্ধের দাবি জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে রাণীগঞ্জ মাদ্রাসায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে অত্যাধুনিক এক্স-রে মেশিন চালু : স্বল্প মূল্যে সেবা পাবেন রোগীরা ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে মাদ্রাসা সুপারের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেনকে প্রত্যাহার

আগুনে নিভে গেল ৬ প্রাণ

  • আপলোড সময় : ০২-১০-২০২৪ ০৮:২৩:৫৫ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০২-১০-২০২৪ ০৮:২৩:৫৫ পূর্বাহ্ন
আগুনে নিভে গেল ৬ প্রাণ
স্টাফ রিপোর্টার :: ধর্মপাশা উপজেলার আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরের ভিতরে অগ্নিদগ্ধ হয়ে স্বামী-স্ত্রী ও চার সন্তানসহ ৬ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। নিহতদের শরীর পোড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে। লাশ চেনার উপায় নেই। পোড়া ও ছিন্নভিন্ন মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল পুলিশ সুপারসহ প্রশাননের কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেছেন। অগ্নিকা-ের কারণ খুঁজে বের করতে সিআইডি পুলিশকে তলব করা হয়েছে। মর্মান্তিক এ ঘটনায় এলাকার মানুষ শোকে স্তব্ধ হয়ে গেছেন। তারা অগ্নিকা-ের কারণ উদঘাটনের দাবি জানিয়েছেন। পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী এলাকাবাসী ও স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা জানান, উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নের শিমেরখাল গ্রামে সরকার আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে ভূমিহীনদের জন্য ৩৪টি ঘর বানিয়ে দিয়েছে ২ বছর আগে। এর মধ্যে একটি ঘরে শিমেরখাল গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে এমরুল হক (৫০) স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন। তিনি পেশায় একজন দিনমজুর। সোমবার রাতে স্ত্রী পলি আক্তার (৪৫), ছেলে পলাশ মিয়া (৯), ফরহাদ মিয়া (৭), ফাতেমা আক্তার (৫) ও ওমর ফারুক (৩) কে নিয়ে ঘুমে ছিলেন তিনি। এলাকার লোকজন জানিয়েছেন, সোমবার শ্বশুর বাড়ির লোকজনকে নিমন্ত্রণও খাইয়েছেন এমরুল। রাতে স্ত্রী ও চার সন্তানসহ ঘুমিয়ে ছিলেন তিনি। রাত আনুমানিক ১টার দিকে আগুন লাগে বলে জানায় পুলিশ। আগুনে বসতঘর পুড়ে ভিতরেই মারা যান সবাই। গভীর রাতে আগুন লাগার প্রায় ঘণ্টাখানেক পরে প্রতিবেশীরা টের পেয়ে ছুটে এসে দেখেন আগুন জ্বলছে। তারা ভিতর থেকে দরোজা আটকানো দেখতে পান। দরোজা ভেঙে দেখেন সবাই পোড়ে মারা গেছে। কারো লাশ চেনার উপায় নেই। পরে গ্রামবাসী পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন ভোরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে। পুলিশ সুপার ও প্রশাসন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্থানীয় মানুষদের সঙ্গেও কথা বলেছেন। প্রশাসন পুলিশের সহায়তায় পোড়ে ছাই হয়ে যাওয়া লাশের অংশবিশেষ উদ্ধার করেছে। তবে কি কারণে আগুন লেগেছে বা আগুনের সূত্রপাত নিয়ে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলে তদন্তের জন্য সিআইডি পুলিশকে পাঠানা হয়েছে এবং সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট রওয়ানা দিয়েছে বলে জানা গেছে। জয়শ্রী বাজারের ব্যবসায়ী ও এলাকার বাসিন্দা যোসেফ আহমদ বলেন, সকালে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি প্রশাসনের লোকজন এসেছে। অনেকের সঙ্গে কথা বলেছি কেউই আগুন লাগার কারণ জানাতে পারেননি। তবে ভেতরে সিটিকিনি ছিল বলে আমাদেরকে অনেকে জানিয়েছেন। ঘরের ভিতরে স্বামী-স্ত্রীসহ ৪ সন্তান পোড়ে ছাই হয়ে গেছে। লাশগুলো চেনার উপায় নেই। আমরা এলাকাবাসী এ ঘটনায় মর্মাহত। জয়শ্রী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সঞ্জয় রায় চৌধুরী বলেন, খবর পেয়েই আমি ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। এর আগেই আগুনে পোড়ে ছাই হয়ে গেছে সবাই। আগুনে চালের টিন খসে পড়েছে। বসতঘরের উপকরণগুলোও পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। একটি লাশও চিনার উপায় নেই। আগুনের কারণ কেউ বলতে না পারলেও পাড়ার সবাই জানিয়েছেন ঘরের দরোজা ভিতর থেকে লাগানো ছিল। ওসি মো. এনামুল হক বলেন, আমরা খবর পেয়ে ভোরে এসেছি। এর আগেই সবাই পুড়ে মারা গেছে। ঘর ভিতর থেকে সিটিকিনি লাগানো ছিল। স্থানীয়রা আমরা আসার আগেই দরোজা ভেঙে উদ্ধারের চেষ্টা করেছেন। তবে এর আগেই সবাই পুড়ে মারা গেছে। বিষয়টি বিশদভাবে তদন্তের জন্য সিআইডি পুলিশকে ডাকা হয়েছে। আমরা লাশগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্যবস্থা নিয়েছি। ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমরা পুলিশের উপস্থিতিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আগুনের বিষয়ে একেকজন একেকরকম কথা বলছেন। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে। তবে মরদেহ উদ্ধার করে আমরা ময়নাতদন্তের মাধ্যমে দাফনের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা করবো। জেলা পুলিশ সুপার আ ফ ম আনোয়ার হোসেন খান বলেন, ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে সিআইডি পুলিশকে ডাকা হয়েছে। সিলেট থেকে ক্রাইম সিন ইউনিটকেও আনা হচ্ছে। কিভাবে আগুন লাগলো তারা তদন্ত করে জানাবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
গণশিক্ষা উপদেষ্টার সাথে সুবিপ্রবি স্থায়ী ক্যাম্পাস বাস্তবায়ন আন্দোলন কমিটির সাক্ষাৎ

গণশিক্ষা উপদেষ্টার সাথে সুবিপ্রবি স্থায়ী ক্যাম্পাস বাস্তবায়ন আন্দোলন কমিটির সাক্ষাৎ