সুনামগঞ্জ , শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪ , ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
লুটপাট ও অগ্নিসংযোগকারীদের গ্রেফতারের দাবি আ.লীগের ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে ৬৬৬ কোটি টাকার কর পরিশোধের রায় প্রত্যাহার বাংলাদেশ পুলিশের সংস্কারে সহায়তা করবে ইতালি ফিরলেন মেসি, চমক রেখে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দল ঘোষণা আর্জেন্টিনার আমাদের সামনে যে সম্ভাবনা, সেটি কাজে লাগাতে হবে : ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ছুরিকাঘাতে বৃদ্ধ খুন ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল আহমদ গ্রেফতার জগন্নাথপুর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মুন্না গ্রেফতার সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানের জামিন সংস্কার শেষ করে দ্রুত সুষ্ঠু নির্বাচন দিন : অন্তর্বর্তী সরকারকে রিজভী জনজীবনে স্বস্তি ফেরাতে কার্যকর উদ্যোগ জরুরি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় টাস্কফোর্সের অভিযান : বিপুল পরিমাণ বালু ও নৌকা জব্দ অগ্নিকান্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেন জেলা প্রশাসক ১৫ দফা দাবিতে বিভিন্ন উপজেলায় শিক্ষকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি বিশ্বম্ভরপুরে ৭ দোকান পুড়ে ২০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি আ.লীগসহ ১৪ দলের বিচার চেয়ে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ ছাত্র-জনতার মানববন্ধন অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ ২ বছর বা তার কম চান ৫৩ শতাংশ ভোটার নবম শ্রেণিতে বিভাগ বিভাজন নয়, শিক্ষা কমিশন করতে হবে
মোয়াজ্জমপুর উচ্চ বিদ্যালয়

প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম-দুর্নীতির তদন্ত শুরু

  • আপলোড সময় : ০১-১০-২০২৪ ০৮:১৫:০৭ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০১-১০-২০২৪ ০৮:১৫:০৭ পূর্বাহ্ন
প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম-দুর্নীতির তদন্ত শুরু
স্টাফ রিপোর্টার :: তাহিরপুর উপজেলার মোয়াজ্জমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিছবাহুল আলমের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। গত ১৪ আগস্ট সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক বরাবরে এই অভিযোগ দাখিল করেছিলেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি হিমাংশু রঞ্জন তালুকদার এবং সদস্য মো. আবুল খায়ের। অনুলিপি দিয়েছিলেন সুনামগঞ্জের জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের নিকট। এরই প্রেক্ষিতে সোমবার সকালে দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের জয়শ্রী বাজার সংলগ্ন মোয়াজ্জমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে সরেজমিনে যান তিনি। পরে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ও অভিযোগকারীর উপস্থিতিতে মৌখিকভাবে বিভিন্ন বিষয়ের নিয়ে অভিযোগের কথা শুনেন। এ সময় উপস্থিত বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির একাধিক সাবেক সভাপতি ও সদস্যরা প্রধান শিক্ষক মিছবাহুল আলমের অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করেন। অভিযোগকারীরা জানান, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর মাসিক বেতন, ভাতা, বাৎসরিক সেশন ফি, পরীক্ষার ফি, উপবৃত্তির টাকা ও অন্যান্য আয় বাবদ বাৎসরিক প্রায় ৮/১০ লক্ষ টাকা বিদ্যালয়ের তহবিলে নিয়মিত জমা হয়। কিন্তু প্রধান শিক্ষক মিছবাহুল আলম কোনো ধরনের হিসাব নিকাশ ব্যতিরেকে বছরের পর বছর এই টাকা আত্মসাত করে চলেছেন। এই বিষয়ে চলতি বছরের জুলাই মাসে মাসিক মিটিংয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি, শিক্ষকগণ ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিগণের উপস্থিতিতে বিদ্যালয়ের সার্বিক আয়-ব্যয়ের হিসাব নিরূপণের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু ওই কমিটির নিকট প্রধান শিক্ষক কোনো ধরনের হিসাব নিকাশ বা আয় ব্যয়ের নথিপত্র উপস্থাপন করতে চাননি। এই প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০ (পঞ্চাশ) লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উপস্থাপন করা হয়। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী উপস্থিত অভিযোগকারীদের বক্তব্য এবং অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মিছবাহুল আলমের বক্তব্য মনোযোগ সহকারে শুনেন। এ সময় অভিযোগকারীরা প্রধান শিক্ষক দ্বারা এসএসসি শিক্ষার্থীদের নামের অংশে ভুল সংশোধনের কথা বলে ৩ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করছেন বলেও অভিযোগ করেন তারা। তারা আরও অভিযোগ করেন যে, তিনি মাসের পর মাস বিদ্যালয়ে আসেন না। কিন্তু রেজিস্ট্রারে তাকে উপস্থিতি দেখানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তকালে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি হিমাংশু রঞ্জন তালুকদার, সদস্য মো. আবুল খায়ের, মো. গোলাম নুর, আনাছ মিয়া, মো. নিজাম উদ্দিন, আবুল খায়ের (২), নজরুল ইসলাম, মো. শামীম মিয়া, আমীর হামজা, জুলফিকার আলী, মামুনুর রশিদ ফকির, মো. মনির হোসেনসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। বিকালে প্রাথমিক তদন্ত কার্যক্রম শেষে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, তিনি যে অভিযোগ পেয়েছেন, এরমধ্যে প্রধান শিক্ষক মিছবাহুল আলমের অনুপস্থিতির অভিযোগ অনেকটা সত্য বলে তিনি নিশ্চিত হয়েছেন। বিভিন্ন খাতে অর্থ আত্মসাত বিষয়ে সঠিক তদন্তের স্বার্থে ৪ জনকে দায়িত্ব দেয়া হয়। তারা ব্যাংক স্টেটম্যান্ট, ভাউচার ও অন্যান্য প্রমাণাদি সংগ্রহ করে তা খতিয়ে দেখে রিপোর্ট করার পরামর্শ দেন। এসব কাজ স¤পন্ন করে আগামী ৭ অক্টোবরের মধ্যে জানানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে প্রত্যেকে যারা অভিযোগ করেছেন বা অভিযোগকারী হিসাবে যুক্ত আছেন, তারা সকলেই সকলের মতো করে লিখিতভাবে বক্তব্য দেওয়ার পরামর্শ দেন। এতে দুর্নীতি বা অনিয়মের সঠিক চিত্র বেরিয়ে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, এসব কাজ শেষ হলে আরও এক সপ্তাহের মধ্যে আমার ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পেশ করতে পারবো।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
সংস্কার শেষ করে দ্রুত সুষ্ঠু নির্বাচন দিন : অন্তর্বর্তী সরকারকে রিজভী

সংস্কার শেষ করে দ্রুত সুষ্ঠু নির্বাচন দিন : অন্তর্বর্তী সরকারকে রিজভী