সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
দেশের ৬৭ শতাংশ চিকিৎসক কর্মস্থলে নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হন। তাদের মধ্যে ১২-১৩ শতাংশ শারীরিকভাবে নির্যাতনের ও বাকি ৩৪ শতাংশ হুমকি-ধমকির শিকার হন। অন্যান্য পেশার তুলনায় চিকিৎসকদের ওপর এই নির্যাতনের হার চার গুণ বেশি।
গত শনিবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক গোলটেবিল বৈঠকে এই তথ্য জানান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যানসার রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. নাজিরুম মুবিন। ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম (এনডিএফ) ‘চিকিৎসকদের নিরাপদ কর্মস্থল : সংকট এবং করণীয়’ শীর্ষক এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।
সূচনা বক্তব্যে এনডিএফের যুগ্ম সাধারণ স¤পাদক অ্যানেসথেসিওলজিস্ট ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, চিকিৎসকদের নিরাপত্তা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা প্রতিদিন নিজেদের জীবনকে ঝুঁকিতে রেখে রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসকদের জন্য সুরক্ষিত ও সম্মানজনক কর্মস্থল গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি।
ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজের রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের অধ্যাপক ডা. হাবিবা চৌধুরী বলেন, এখনো কর্মস্থলে নারী চিকিৎসকদের খাটো করে দেখা হয়। অথচ দেশের মোট চিকিৎসকের ৭০ শতাংশই নারী। মেডিকেল কলেজে যারা ভর্তি হচ্ছেন, তাদের মধ্যেও নারী শিক্ষার্থী বেশি।
এনডিএফ সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এনডিএফ সাধারণ স¤পাদক অধ্যাপক ডা. মো. মাহমুদ হোসেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জাতীয় নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের নিউরোমেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. হুমায়ুন কবির সরকার।
বৈঠকে সংগঠনের প্রচার স¤পাদক ডা. আল কায়েস ঢাকা ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজসহ দেশ-বিদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসকদের ওপর হামলার ভিডিওচিত্র উপস্থাপন করেন।
আইনবিষয়ক স¤পাদক ডা. আবদুল কাদির নোমান দেশের হাসপাতালগুলোর শয্যার সীমাবদ্ধতা এবং চিকিৎসকদের কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার অভাব, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. আসাদুজ্জামান কাবুল কর্মস্থলে কীভাবে চিকিৎসকদের মানসিক স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, বিএসএমএমইউয়ের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. আতিয়ার রহমান নিজের প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসকদের নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন।