ধর্মপাশা প্রতিনিধি :: ধর্মপাশা উপজেলার সদর ইউনিয়নের লংকাপাথারিয়া গ্রামে দেবর তোফাজ্জল মিয়ার (২৬) এলোপাতাড়ি কিলঘুষি ও লাথিতে ভাবি (৩৩) আহত হয়েছেন। সংসার খরচের জন্য ভাবীর কাছে ১০হাজার টাকা চেয়ে না পেয়ে শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে ওই নারীর বসতঘর লাগোয়া রান্নাঘরের ভেতরে এই ঘটনা ঘটে। আহত ওই নারী ওইদিন স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। দেবরের মারধরে শিকার ওই নারী বলেন, আমার স্বামী দীন ইসলাম (৪০) দেড়বছর ধরে মালয়েশিয়া রয়েছেন। আমার স্বামীর সাত ভাই ও শ্বশুর-শাশুড়ির পরিবারসহ সবাই আলাদাভাবে বসবাস করে আসছেন। স্বামীকে পাঁচলাখ টাকা ঋণ করে আমি বিদেশ পাঠিয়েছি। তিনি আমার নামে বিদেশ থেকে টাকা পাঠান। আমি সাধ্যমতো শ্বশুর-শাশুড়িকে খরচ দিই। আমার নামে বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর কারণে শ্বশুর আবুল কাশেম (৬০) ও দেবর তোফাজ্জল আমার প্রতি খুবই ক্ষুব্ধ ছিল। দুই সপ্তাহ আগে দেবর তোফাজ্জল খরচের জন্য আমার কাছে ১০ হাজার টাকা চান। শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে টাকা চাওয়ার বিষয়টি তিনি আমাকে মনে করিয়ে দেন। আমার হাতে টাকা নেই, এখন দিতে পারব না বলায় আমার শ্বশুর ও আমার তিন মেয়ে ও দুই ছেলের সামনে আমাকে কিল-ঘুষি ও লাথি মেরে ঘর থেকে বের করে দিয়েছেন। এ ঘটনায় আমি ওইদিন বিকেলে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি। দেবর তোফাজ্জল মিয়া বলেন, আমার বড় ভাইয়ের স্ত্রীর কাছে সংসার খরচের জন্য আমি ১০ হাজার টাকা চাইনি। কিল-ঘুষি ও লাথি মেরে ঘর থেকে বের করে দেওয়ার কোনো ঘটনাই ঘটেনি। ধর্মপাশা থানার এএসআই সাইফুল ইসলাম বলেন, দেবরের বিরুদ্ধে ভাবীকে কিল-ঘুষি ও লাথি মেরে ঘর থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগটি সরেজমিনে গিয়ো তদন্ত করেছি। নিজেদের মধ্যে ঘটনাটি হওয়ায় বিষয়টি দুই পক্ষের লোকজন মিটমাট করে দিয়েছেন।