স্টাফ রিপোর্টার :: সুনামগঞ্জ পৌর শহরের হাসননগর এলাকার কুতুব হযরত ডংকাশাহ (র.) মোকামে ভাঙচুর ও দানবাক্স ভেঙে টাকা-পয়সা লুটে নিয়েছে দুষ্কৃতকারীরা। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং মোকামের নিরাপত্তা জোরদার করে। মোকাম পরিচালনা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী মো. আলী হোসেন জানান, কুতুব হযরত ডংকাশাহ (র.) প্রায় ২৫০-৩০০শত বছর পূর্বে সুনামগঞ্জে আগমন করেন। ১৯৬৪ইং হতে বর্তমানকাল পর্যন্ত মোকামের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। দেশ-বিদেশের ভক্তবৃন্দ মোকামে এসে তাদের মনের বাসনা পূর্ণ করে তবারক বিতরণসহ মোকাম উন্নয়নের জন্য দানবাক্সে টাকা-পয়সা দিয়ে যান। সাবেক সংসদ সদস্য ড. মোহাম্মদ সাদিক ও সাবেক মেয়র নাদের বখতের তত্ত্বাবধানে সরকারি বরাদ্দ দ্বারা মোকামের উন্নয়নের সময়কালে মাবিয়া, আকবর, শ্যামল, মাওলানা জিয়াউল হক, হাফিজ সাদিকুর রহমান গংরা গত ১৭/৬/১৬ইং মোকাম ভাঙচুর করে উন্নয়নে বাঁধা সৃষ্টি করে। পরে তাদের বিরুদ্ধে আমল গ্রহণকারী জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সদর জোনে মামলা দায়ের করেছি। জি আর মামলা নং ২৫৪-২০১৬। এবারও মাবিয়া, আকবর, শ্যামলের নেতৃত্বে মোকাম ভাঙচুর করে মোকামের পবিত্রতা নষ্ট করা হয়। আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও দ্রুত গ্রেফতারের জোর দাবি জানাই। মোকামের খাদেম শাহ আছদ আলী চিশতি জানান, মোকামে ভক্তবৃন্দ তাদের মনের বাসনা পূর্ণ করার জন্য দর্শন করলে মাবিয়া আকবর শ্যামল গংরা দর্শনার্থীদের ভুল বুঝিয়ে আমার বিরুদ্ধে অহেতুক ক্ষেপিয়ে তুলে। শ্যামল নিজে আমাকে অনেকবার হুমকি দিয়েছে মোকামে না আসার জন্য। শুক্রবার সকালে দেশের বর্তমান পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে তার নেতৃত্ব মোকাম ভাংচুর হয়েছে। মোকাম পরিচালনা কমিটির সাধারণ স¤পাদক আইনজীবী সহকারী হুমায়ুন কবির জানান, কুতুব হযরত ডংকাশাহ (র.) প্রায় ২৫০-৩০০শত বছর পূর্বে আগমন করেন। দেশ-বিদেশে অবস্থানরত অসংখ্য ভক্তবৃন্দ তার মোকামে এসে তাদের মনের বাসনা পূর্ণ করেন। কিন্তু মাবিয়া আকবর শ্যামল, মাওলানা জিয়াউল হক, হাফিজ সাদিকুর রহমান গংরা মোকামের আশপাশে সার্বক্ষণিক ঘুরাফেরা করে। দর্শনার্থীরা মোকামে প্রবেশ করা মাত্রই তাদেরকে ভুল বুঝিয়ে মোকামে না আসার জন্য নিষেধ করে। তারা অনেক বার চেষ্টা করেছে মোকাম উচ্ছেদ করার, কিন্তু পারেনি। বিশিষ্ট ফুটবলার বাবলু মিয়া জানান, বর্তমান সরকার মোকাম এবং মাজার ভাঙচুরের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। মোকাম ভাঙচুরকারীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদানের দাবি জানাই। সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল আহাদ বলেন, মোকাম ভাঙচুরের খবর পেয়ে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। পরে পুলিশের একটি টিম দিনব্যাপী মোকাম পাহারা দিয়েছে।