সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থীদের বিসিএসে অংশ নেওয়ার সুযোগ না দেওয়া চরম বৈষম্য বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম। তিনি বলেন, একজন কওমির ছাত্র বিসিএসে অংশ নেওয়ার পর উত্তীর্ণ না হলে আপত্তি নেই। কিন্তু তাকে কেন বিসিএসে অংশ নিতে দেওয়া হবে না? দেশের সাধারণ শিক্ষার ক্ষেত্রে নৈতিকতা শিক্ষা দেওয়া হয় না। কওমি মাদরাসার ছেলেরা বিসিএসে সরাসরি অংশ নিতে পারে না। আমরা চাই সবক্ষেত্রে কওমি মাদরাসার ছাত্ররা প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে।
বৃহ¯পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে আয়োজিত সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি। বৈষম্য নিরসনে কওমি সনদের যথাযথ মূল্যায়ন ও বাস্তবায়নের দাবিতে সেমিনার আয়োজন করে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, মডেল মসজিদে সবচেয়ে যোগ্য হওয়ার পরও কওমি মাদরাসার ছাত্র হওয়ায় তারা মডেল মসজিদে খেদমত করতে পারে না। নৈতিক শিক্ষা না থাকায় দেশে দুর্নীতি বাড়ছে। কাজী হিসেবে কওমি মাদরাসার ছাত্রদের নিয়োগ দিতে হবে। কওমি মাদরাসার স্বতন্ত্রতা ঠিক রেখে তাদের সনদের মান নিশ্চিত করতে হবে।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সভাপতি আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজী। এতে আলোচনা করেন শায়খ জাকারিয়া ইসলামী রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, মাওলানা আবদুল আউয়াল, মাওলানা মুশতাকুন্নবী, মাওলানা হাসান জামিল, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, মাওলানা গাজী ইয়াকুব, হাফেজ মাওলানা হামজা শহিদুল ইসলাম, মুফতি হেমায়েতুল্লাহ প্রমুখ। সেমিনার পরিচালনা করেন জাতীয় ওলামা মশায়েখ আইম্মা পরিষদের সেক্রেটারি জেনারেল মুফতি রেজাউল করীম আবরার ও জয়েন্ট সেক্রেটারি শামসুদ্দোহা আশরাফী।
শায়খ জাকারিয়া ইসলামী রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ বলেন, হায়াতুল উলিয়া ও বেফাককে বাদ দিয়ে পৃথক কোনো বৈঠক ফলপ্রসূ হবে না। অনৈক্য, কাদা ছোড়াছুড়ি না করে ধর্ম উপদেষ্টাকে কাজ করতে সহযোগিতা করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে নুরুল হুদা ফয়েজী পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করে বলেন, ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত কওমি সনদের যথাযথ মূল্যায়নের দাবিতে সেমিনার ও জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবরে স্মারকলিপি দেওয়া হবে। অক্টোবর মাসের শেষের দিকে একই দাবিতে ঢাকায় মহাসমাবেশ করা হবে।