সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
বাংলাদেশের বিদেশি ঋণের পরিমাণ ১০৪ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি পৌঁছেছে। বাংলাদেশ সৃষ্টির পর বিদেশি ঋণের এটাই সর্বোচ্চ রেকর্ড।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুন শেষে বিদেশি ঋণের পরিমাণ ১০৩ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন (১০ হাজার ৩৭৯ কোটি) ডলারে পৌঁছেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে) ১২ লাখ ৪৫ হাজার ৪৭৮ কোটি টাকা।
এর মধ্যে শুধু শেখ হাসিনা সরকারের আমলেই বিদেশি ঋণ বেড়েছে ৫৩ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
২০০৯ সালের জুন শেষে সরকারের বিদেশি ঋণ ছিল ৫০ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ, ১৫ বছর ৮ মাসের ব্যবধানে বিদেশি ঋণ বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, সরকারি খাতের বিদেশি ঋণের মধ্যে সরকারের নিজস্ব, কেন্দ্রীয় ব্যাংক, রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক ও সরকারি সংস্থার ঋণ রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুন শেষে বাংলাদেশের বিদেশি ঋণের পরিমাণ ১০৩ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলার ঋণ। এর মধ্যে ৮৩ দশমিক ২১ বিলিয়ন (৯ লাখ ৯৮ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা) সরকারের নেওয়া। বাকি ২০ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলার বেসরকারি খাতের দায়। চলতি বছরের মার্চ মাস শেষে সরকার ও বেসরকারি খাতে বিদেশি ঋণের স্থিতি ছিল ৯৯ দশমিক ৩০ বিলিয়ন (৯ হাজার ৯৩ কোটি) ডলার। অর্থাৎ তিন মাসেই প্রায় ৪ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার বিদেশি ঋণ নিয়েছে সরকার।