আশিস রহমান ::
দুই বছর পেরিয়ে গেলেও এখনোব্দি শেষ হয়নি খাসিয়ামারা নদীর সেতুর নির্মাণকাজ। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেতুর কাজ শেষ না হওয়ায় প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে রশি টেনে খেয়া পারাপার হতে হচ্ছে শিক্ষার্থী, নারী-শিশুসহ সাধারণ লোকজনদের। দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের আলীপুরে এই সেতুটির অবস্থান।
জানাযায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) মাধ্যমে ৫০০ মিটার চেইনেজে ৭৫ মিটার পিসি গার্ডারের খাসিয়ামারা সেতুর নির্মাণ বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৪ কোটি ২৬ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। ২০২২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের আলীপুর-টেংরাটিলা খেয়াঘাটে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দুই দিন কাজ করলে দুই মাস কাজ বন্ধ থাকে। কখনো আরো বেশি সময় ধরে কাজ বন্ধ থেকেছে। এভাবেই থেমে থেমে এতোদিন যাবৎ খাসিয়ামারা সেতুর নির্মাণকাজ চলছিল। কিন্তু এখন দীর্ঘদিন ধরে কাজ বন্ধ আছে। এসব দেখার কেউ নেই।
আলীপুর গ্রামের বাসিন্দা বজলুর রহমান মামুন বলেন, ঠিকাদারের অবহেলা এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের যথাযথ তদারকির অভাব আছে। না হয় সেতুর কাজ এতোদিন ধরে বন্ধ থাকে কিভাবে? গত শুকনো মৌসুমে পুরোদমে কাজ চললে একবছরেই সেতুর কাজ শেষ হয়ে যেতো।
একই গ্রামের মৎস্যচাষী দ্বীন ইসলাম, জাকির হোসেন, রফিক মিয়া ও ব্যবসায়ী মুন্তাজ মিয়া বলেন, সেতুর নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ায় মাছের খাদ্যসহ কৃষিপণ্য ও অন্যান্য মালামাল পরিবহন করতে আমাদেরকে বাড়তি টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে। এতে আমাদের লোকসান হচ্ছে।
আলীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রঞ্জিত দেব বলেন, প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে খেয়া পারাপারের মাধ্যমে বিদ্যালয়ে আসাযাওয়া করতে হচ্ছে। ¯্রােত বাড়লে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। সেতুটির নির্মাণকাজ দ্রুত শেষ করা উচিত।
খাসিয়ামারা সেতুর কাজ বন্ধ থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদার শংকর কুমার দেব বলেন, এখন নদীতে বেশি পানি থাকায় কাজ বন্ধ আছে। পানি কমলে আবার কাজ শুরু করব। চলতি বছরের মধ্যেই খাসিয়ামারা সেতুর স¤পূর্ণ নির্মাণকাজ স¤পন্ন করা হবে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) দোয়ারাবাজার উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল হামিদ বলেন, খাসিয়ামারা সেতুর নির্মাণকাজ দ্রুত শেষ করার জন্য ঠিকাদারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।