ধর্মপাশা সরকারি ডিগ্রি কলেজ

প্রভাষিকাকে নিয়ে প্রভাষকের অশালীন কটূক্তি, দেখে নেয়ার হুমকি

আপলোড সময় : ১৮-০৯-২০২৪ ০৯:৪৫:২৭ পূর্বাহ্ন , আপডেট সময় : ১৮-০৯-২০২৪ ০৯:৪৫:২৭ পূর্বাহ্ন
ধর্মপাশা প্রতিনিধি :: ধর্মপাশা উপজেলার ধর্মপাশা সরকারি ডিগ্রি কলেজের প্রভাষিকা আফরোজ মাহবুবা খান (৫১) কে অশালীন কটূক্তি, গালিগালাজ ও তাঁকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে। কলেজটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কক্ষে গত ১০ সেপ্টেম্বর বেলা ১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই কলেজের প্রভাষক মো. ফারুক হাসান ফয়সালের (৫৩) বিরুদ্ধে গত রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ওই প্রভাষিকা ধর্মপাশা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার ধর্মপাশা সরকারি ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কক্ষে গত ১০ সেপ্টেম্বর বেলা একটার দিকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, দুজন সহকারী অধ্যাপক ও ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক মো. ফারুক হাসান ফয়সল, দর্শন বিষয়ের প্রভাষিকা আফরোজ মাহবুবা খানসহ আরও দুজন প্রভাষক কলেজের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম নিয়ে নিজেরা আলাপ-আলোচনা করছিলেন। এক পর্যায়ে প্রভাষক মো. ফারুক হাসান ফয়সল প্রভাষিকা আফরোজ মাহবুবা খানকে লক্ষ্য করে বলেন, আপনি কী কী করেন সব রেকর্ড আমার কাছে আছে। এ সময় আফরোজ মাহবুবা খান পাল্টা জবাবে বলেন, আপনার অনৈতিক সব কার্যক্রমের রেকর্ডও আমার কাছেও আছে। দুই জনের মধ্যে বাকবিত-া শুরু হলে ওই নারী প্রভাষককে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ, বিভিন্ন কটূক্তি ও তাঁকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন প্রভাষক ফয়সল। এ বিষয়ে প্রভাষিকা আফরোজ মাহবুবা খান বলেন, ফারুক হাসান সাহেব অশ্লীল ভাষায় আমাকে গালিগালাজ ও বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য এবং কর্মস্থলে হয়রানি করাসহ তিনি আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। এ সময় দুজন প্রভাষক বাধা দিলেও এতে তিনি কর্ণপাত করেননি। এ ঘটনায় কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কোনো ভূমিকাই রাখেননি। ঘটনার পর থেকে আমি অসুস্থ হয়ে যাই। আমি রোববার বিকেলে থানায় জিডি করেছি। প্রভাষক মো. ফারুক হাসান ফয়সল বলেন, ওই নারী প্রভাষকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। আমার সম্পর্কে নানা অশালীন মন্তব্য এবং আমাকে নানাভাবে ক্ষতি করবেন বলে তিনি হুমকি দিয়েছেন। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো সঠিক নয়। প্রত্যক্ষদর্শী গণিত বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক বিমান কুমার তালুকদার বলেন, ওই নারী প্রভাষককে প্রভাষক ফয়সল সাহেব যে ধরনের কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন তা খুবই আপত্তিকর। আমি বিষয়টিকে কোনো অবস্থাতেই মেনে নিতে পারছি না। ধর্মপাশা সরকারি ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবদুল হামিদ তালুকদার বলেন, মুঠোফোনে রেকর্ড থাকা নিয়ে ওই দুইজন প্রভাষক একে অপরকে দোষারোপ করে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। আমরা দুজনকেই শান্ত করার চেষ্টা করেছি। ধর্মপাশা থানার ওসি মো. আকবর হোসেন বলেন, এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সম্পাদকীয় :

  • সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : মো. জিয়াউল হক
  • সম্পাদক ও প্রকাশক : বিজন সেন রায়
  • বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : মোক্তারপাড়া রোড, সুনামগঞ্জ-৩০০০।

অফিস :

  • ই-মেইল : [email protected]
  • ওয়েবসাইট : www.sunamkantha.com