সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
দেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে গোষ্ঠীস্বার্থ নয়, জনগণের আকাক্সক্ষার প্রতিনিধিত্ব করতে হবে। কিন্তু নতুন বাংলাদেশে যে দলবাজি, দখলবাজি ও চাঁদাবাজির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে, তাতে শঙ্কা ও উদ্বেগের কারণ রয়েছে। অতীত থেকে শিক্ষা গ্রহণ না করলে বর্তমান ক্ষমতাসীনেরা ফ্যাসিবাদের জায়গায় যাবে। তাদেরও পতন হবে।
‘নতুন বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও সুশাসন : তরুণদের প্রত্যাশা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। রোববার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
আলোচনা সভাটি সঞ্চালনা করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান। স্বৈরাচারের পতনের মাধ্যমে উন্নততর জায়গায় যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বহুমত থাকা খুবই স্বাভাবিক। বহুমত কীভাবে সমন্বিতভাবে ঐকমত্যে পৌঁছাবে; সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠরা তাদের প্রত্যাশা অন্যদের ওপর চাপিয়ে দেবে নাকি সমঝোতা করবে - এসব বিষয়ে আলোচনার দরকার আছে।
ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, ইতিমধ্যে দলবাজি, দখলবাজি, চাঁদাবাজি ও আমলাতন্ত্র দখলবাজি শুরু হয়েছে। এসব যদি নতুন বাংলাদেশের লক্ষণ হয়, তাহলে অনেক শঙ্কা ও উদ্বেগের কারণ রয়েছে। তিনি বলেন, এই জায়গা মনে রাখতে হবে। তাদের (সংখ্যাগরিষ্ঠ) বলব, আপনারা শিক্ষা গ্রহণ করুন। না করলে কিন্তু আপনারা নিজেদের ওই ফ্যাসিবাদের জায়গায় উপস্থাপন করবেন এবং একইভাবে আপনাদের পতন হতে হবে।
রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি সামরিক ও বেসামরিক আমলাতন্ত্র, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা - সবাইকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে বলেও উল্লেখ করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক।
টিআইবির প্রতিনিধি হিসেবে নয়, ব্যক্তিগত মত তুলে ধরে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের চেতনার ধারক হিসেবে একটি রাজনৈতিক শক্তি বিকাশের অপরিহার্যতা রয়েছে। এটা কখন হবে, কীভাবে হবে, সেটা দেখার বিষয়।