স্টাফ রিপোটার ::
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার রঙ্গারচর ইউনিয়নের বনগাঁওয়ে শ্রমিক সর্দার কবির মিয়া (২৫)কে কুপিয়ে জখমের প্রতিবাদে এবং হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এলাকাবাসীর উদ্যোগে স্থানীয় বনগাঁও বাজারে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
মানববন্ধনে ছিদ্দিক আলী, ইদ্রিস আলী, জাহেদ আলী, হান্দু মিয়া, রাশিদ আলী, ইউসুফ আলী, বুলবুল আহমদ, নুরুল ইসলাম, সুরুজ মিয়া, রেনু মিয়া, তালেব আলী, হানিফ মিয়া, সামির হোসেন, সত্তার মিয়া, আবু তাহের, নজরুল ইসলাম, মানিক মিয়া বলেন, ফারুক মিয়া, আব্দুল কাদির, জলিল মিয়া, সলু মিয়া, মঙ্গল মিয়া গংরা অন্যায়ভাবে নিরীহ শ্রমিক সর্দার কবির হোসেনকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে। সে বর্তমানে সদর হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। আমরা হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও গ্রেফতারের জোর দাবি জানাই। মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাবুল মিয়া, হেলাল মিয়া, রফিক ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, ফয়জুল ইসলাম, আজিজুল ইসলাম, তাসলিমা বেগম, জহুরা বেগম, নুর মিয়া, শুক্কুর আলী প্রমুখ।
অপরদিকে আহত কবির মিয়া জানান, ছমেদনগর গ্রামের সাধন আলীর ছেলে ফারুক মিয়ার কাছে নীরব মিয়া পাওনা টাকা চাইলে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে আমার ভাই শুক্কুর আলী পাওনা টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য ফারুক মিয়াকে অনুরোধ করলে সে উত্তেজিত হয়ে তাকে রড হাতে দৌড়ে বাজার থেকে তাড়িয়ে দেয়। খবর পেয়ে আমি বনগাঁও বাজারে পৌঁছে ফারুক মিয়াকে জিজ্ঞেস করি, আপনি আমার ভাই শুক্কুর আলীকে বাজার থেকে দৌড়ে তাড়িয়ে দেওয়ার কারণ কি। এই কথা বলার সঙ্গে সঙ্গেই তার হাতে থাকা রামদা দিয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। আমি ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়ি। এ সময় ফারুকের ভাই আব্দুল কাদির, আব্দুল জলিল ও সলু মিয়া, মঙ্গল মিয়া গংরা রড দিয়ে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। পরে আমার পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আমাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে আমার পরিবারের সদস্যরা হামলাকারীদের ভয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। আমি এর বিচার চাই।
দিকে, অভিযোগের বিষয়ে জানতে ফারুক মিয়ার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি