জামালগঞ্জ প্রতিনিধি ::
গত ৪ আগস্ট জামালগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রদের সংঘর্ষের ঘটনায় গত ২৫ আগস্ট ১৬ জনের নাম উল্লেখ ও ৬০ জনকে অজ্ঞাতনামা করে মোট ৭৬ জনের নামে নয়াহালট গ্রামের মৃত আমিরুল ইসলামের ছেলে মো. শহিদুল ইসলাম দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এতে জামালগঞ্জ উপজেলা কমিটির সাবেক শ্রমিকদল সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপি নেতা মো. খোরশেদ আলমকে আসামি করা হয়। অথচ যে অভিযোগে তাকে মামলায় আসামি করা হয়েছে তিনি সেদিন এলাকাতেই ছিলেন না বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা। উপজেলার দায়িত্বশীল একাধিক বিএনপির নেতাকর্মী সাথে কথা বললে, তারা বিস্ময় প্রকাশ করেন।
এদিকে, জামালগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে খোরশেদ আলমের পরিবারের দাবি ছিলো হামলার ভিডিও ফুটেজ দেখে পর্যালোচনা করে চার্জশিট দেয়ার জন্য। যদি তিনি হামলায় জড়িত থাকেন তবেই যেন তাকে আসামি করা হয়। অন্যথায় মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়ার অনুরোধ জানানো হয়।।
এ ব্যাপারে খোরশেদ আলম বলেন, আমি আ.লীগের শাসনামলে হামলা ও মামলার শিকার হয়েছি। আমি রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের একজন সক্রিয় কর্মী হয়ে কাজ করে যাচ্ছি। কোটা আন্দোলনে ছাত্রদের যৌক্তিক দাবির সাথে আমিও একমত পোষণ করেছি এবং আমার ছেলে, মেয়ে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে। সেই আন্দোলনে সিলেট ও জামালগঞ্জে তারা অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। গত ৪ আগস্ট জামালগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী লীগের সাথে ছাত্রদের সাথে যে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে, সেখানে আমি উপস্থিত ছিলাম না। ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকেই আমাকে মামলায় জড়ানো হয়েছে। আমি এই হয়রানিমূলক মামলা থেকে নিষ্কৃতি চাই।