আকরাম উদ্দিন::
তাহিরপুর উপজেলার ১নং শ্রীপুর (উত্তর) ইউনিয়নের ড্যাম্পের বাজার এলাকায় পাটলাই নদীর উপর নির্মাণাধীন গুরুত্বপূর্ণ সেতুর কাজ দেড় বছর ধরে বন্ধ রয়েছে।
প্রায় ৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন সেতুটি স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন হলেও নির্মাণকাজ থমকে যাওয়ায় হতাশা বিস্তার করেছে জনমনে। সেতুর আশেপাশে রয়েছে বাজারগাঁও গ্রাম, ড্যাম্পের বাজার, দুধের আউটা গ্রাম ও বালিয়াঘাটা গ্রাম। উপজেলার লক্ষ মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা হয়ে উঠার কথা ছিল এই সেতুটি।
সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্রে জানা যায়, সেতুটির দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৪৫০ ফুট এবং প্রস্থ ৩২ ফুট। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে নির্মাণকাজ শুরু হলেও ২০২৪ সালের শুরুতে এসে প্রায় ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হওয়ার পর হঠাৎ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ ফেলে এলাকা ছেড়ে চলে যায়। ফলে সেতুর সংযোগ সড়কের মাটি বর্ষায় ধসে খালে-বিলে ভরাট হয়ে যাচ্ছে এবং অসমাপ্ত কাঠামোর রডে মরিচা ধরে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে ঝুঁকিপূর্ণ সংযোগ সড়ক দিয়ে মোটরবাইক ও পথচারীদের চলাচল করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ফজর আলী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সংযোগ সড়কের মাটি ঢলে পড়ায় ঠিকমতো হাঁটা-চলাও যায় না। দুর্ঘটনা লেগেই আছে। সেতুর কাজ দ্রুত শেষ করা খুবই প্রয়োজন।
কাউকান্দি গ্রামের কলেজ শিক্ষার্থী আলী বাদশা বলেন, দেড় বছর ধরে সেতুর কাজ বন্ধ থাকায় আমাদের চলাচলে মারাত্মক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। পাটলাই নদীর উপর নির্মাণাধীন এই সেতুটির কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাই।
বালিয়াঘাটা গ্রামের অপর কলেজ ছাত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, এই সুদীর্ঘ সেতুটির নির্মাণকাজ দ্রুত শেষ করে বিদ্যুৎবাতি সংযুক্ত করা হলে সেতুটি হবে এলাকার দৃষ্টিনন্দন একটি স্থাপনা। এতে মানুষ নিরাপদে চলাচল করতে পারবে এবং সেতুর সৌন্দর্য উপভোগ করেও আনন্দ পাবে।
মেন্দিআতা গ্রামের মোহাম্মদ আলী রেজা বলেন, এই সেতু আমাদের স্বপ্ন ছিল। স্বপ্ন পূরণের আগেই কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমরা হতাশ। স্থানীয় ইছাক আলী জানান, কাজ শেষ হলে এটি হবে অঞ্চলের দৃষ্টিনন্দন সেতু। কিন্তু দেড় বছর ধরে কাজ বন্ধ থাকায় উদ্বেগ বাড়ছে।
মুজরাই গ্রামের পটল বর্মণ বলেন, সেতুটি হলে আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হবে। কিন্তু কাজ বন্ধ থাকায় কষ্ট বেড়েছে। ১নং শ্রীপুর (উত্তর) ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আলী হায়দার বলেন, অনেক আগেই কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু প্রায় দেড় বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। কাজ শেষ হলে এলাকার মানুষের চলাচল বড় সুবিধা হবে।
তাহিরপুর উপজেলা এলজিইডি’র প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম বলেন, পাটলাই নদীর উপর প্রায় ৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণাধীন। ঠিকাদারের সাথে আলোচনা করে দ্রুত কাজ চালুর ব্যবস্থা করা হবে। সুনামগঞ্জ
এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, তাহিরপুরের পাটলাই নদীর উপর নির্মাণাধীন সেতুর মূল কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। উপরের আরও কিছু কাজ বাকি আছে। তবে সেতুর দুই দিকের সংযোগ সড়কের কাজ এখনো সম্পূর্ণভাবে বাকি রয়েছে। এ বিষয়ে ঠিকাদারকে তাগাদা দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ঠিকাদার বিল পাওয়ার কথা বলছেন, কিন্তু বরাদ্দ না থাকায় তা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মেহেদী হাসান মানিক বলেন, তাহিরপুর উপজেলার ১নং শ্রীপুর (উত্তর) ইউনিয়নের পাটলাই নদীর ওপর নির্মাণাধীন সেতুটির কাজ বন্ধ রয়েছে বলে জানতে পেরেছি। সেতুটি দ্রুত সম্পন্ন হলে এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের যাতায়াত ভোগান্তি দূর হবে। কাজটি দ্রুত শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ইতোমধ্যে আলোচনা চলছে। আশাকরি শিগগিরই কাজ পুনরায় শুরু হবে।
তাহিরপুর উপজেলার ১নং শ্রীপুর (উত্তর) ইউনিয়নের ড্যাম্পের বাজার এলাকায় পাটলাই নদীর উপর নির্মাণাধীন গুরুত্বপূর্ণ সেতুর কাজ দেড় বছর ধরে বন্ধ রয়েছে।
প্রায় ৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন সেতুটি স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন হলেও নির্মাণকাজ থমকে যাওয়ায় হতাশা বিস্তার করেছে জনমনে। সেতুর আশেপাশে রয়েছে বাজারগাঁও গ্রাম, ড্যাম্পের বাজার, দুধের আউটা গ্রাম ও বালিয়াঘাটা গ্রাম। উপজেলার লক্ষ মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা হয়ে উঠার কথা ছিল এই সেতুটি।
সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্রে জানা যায়, সেতুটির দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৪৫০ ফুট এবং প্রস্থ ৩২ ফুট। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে নির্মাণকাজ শুরু হলেও ২০২৪ সালের শুরুতে এসে প্রায় ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হওয়ার পর হঠাৎ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ ফেলে এলাকা ছেড়ে চলে যায়। ফলে সেতুর সংযোগ সড়কের মাটি বর্ষায় ধসে খালে-বিলে ভরাট হয়ে যাচ্ছে এবং অসমাপ্ত কাঠামোর রডে মরিচা ধরে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে ঝুঁকিপূর্ণ সংযোগ সড়ক দিয়ে মোটরবাইক ও পথচারীদের চলাচল করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ফজর আলী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সংযোগ সড়কের মাটি ঢলে পড়ায় ঠিকমতো হাঁটা-চলাও যায় না। দুর্ঘটনা লেগেই আছে। সেতুর কাজ দ্রুত শেষ করা খুবই প্রয়োজন।
কাউকান্দি গ্রামের কলেজ শিক্ষার্থী আলী বাদশা বলেন, দেড় বছর ধরে সেতুর কাজ বন্ধ থাকায় আমাদের চলাচলে মারাত্মক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। পাটলাই নদীর উপর নির্মাণাধীন এই সেতুটির কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাই।
বালিয়াঘাটা গ্রামের অপর কলেজ ছাত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, এই সুদীর্ঘ সেতুটির নির্মাণকাজ দ্রুত শেষ করে বিদ্যুৎবাতি সংযুক্ত করা হলে সেতুটি হবে এলাকার দৃষ্টিনন্দন একটি স্থাপনা। এতে মানুষ নিরাপদে চলাচল করতে পারবে এবং সেতুর সৌন্দর্য উপভোগ করেও আনন্দ পাবে।
মেন্দিআতা গ্রামের মোহাম্মদ আলী রেজা বলেন, এই সেতু আমাদের স্বপ্ন ছিল। স্বপ্ন পূরণের আগেই কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমরা হতাশ। স্থানীয় ইছাক আলী জানান, কাজ শেষ হলে এটি হবে অঞ্চলের দৃষ্টিনন্দন সেতু। কিন্তু দেড় বছর ধরে কাজ বন্ধ থাকায় উদ্বেগ বাড়ছে।
মুজরাই গ্রামের পটল বর্মণ বলেন, সেতুটি হলে আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হবে। কিন্তু কাজ বন্ধ থাকায় কষ্ট বেড়েছে। ১নং শ্রীপুর (উত্তর) ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আলী হায়দার বলেন, অনেক আগেই কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু প্রায় দেড় বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। কাজ শেষ হলে এলাকার মানুষের চলাচল বড় সুবিধা হবে।
তাহিরপুর উপজেলা এলজিইডি’র প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম বলেন, পাটলাই নদীর উপর প্রায় ৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণাধীন। ঠিকাদারের সাথে আলোচনা করে দ্রুত কাজ চালুর ব্যবস্থা করা হবে। সুনামগঞ্জ
এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, তাহিরপুরের পাটলাই নদীর উপর নির্মাণাধীন সেতুর মূল কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। উপরের আরও কিছু কাজ বাকি আছে। তবে সেতুর দুই দিকের সংযোগ সড়কের কাজ এখনো সম্পূর্ণভাবে বাকি রয়েছে। এ বিষয়ে ঠিকাদারকে তাগাদা দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ঠিকাদার বিল পাওয়ার কথা বলছেন, কিন্তু বরাদ্দ না থাকায় তা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মেহেদী হাসান মানিক বলেন, তাহিরপুর উপজেলার ১নং শ্রীপুর (উত্তর) ইউনিয়নের পাটলাই নদীর ওপর নির্মাণাধীন সেতুটির কাজ বন্ধ রয়েছে বলে জানতে পেরেছি। সেতুটি দ্রুত সম্পন্ন হলে এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের যাতায়াত ভোগান্তি দূর হবে। কাজটি দ্রুত শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ইতোমধ্যে আলোচনা চলছে। আশাকরি শিগগিরই কাজ পুনরায় শুরু হবে।