শাল্লা প্রতিনিধি ::
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী শিশির মনির বলেছেন আমার শিক্ষাগুরু ছিলেন একজন হিন্দু মানুষ। সেখানে তাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়ে প্রসাদ খেতাম। আমাদের মধ্যে কখনো কোনো ভেদাভেদ ছিল না। সুতরাং কে হিন্দু কে মুসলমান এটা বড় বিষয় নয়। বড় বিষয় হলো আমরা মানুষ। যেমন কোনো জায়গায় নৌকাডুবির ঘটনা ঘটলে হিন্দু-মুসলমান না খুঁজে আগে তাদেরকে উদ্ধার করতে হবে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, রাজনীতি, সম্প্রীতি এগুলোতে কোন ধর্ম নেই। এগুলো সবার মধ্যেই ঘটে। কারো যদি স্বাস্থ্যের উন্নতি বা অবনতি হয় সেখানে হিন্দু-মুসলমান হিসেবে হয়ে থাকে না। কাজেই হিন্দু-মুসলমানের ধর্মীয় ভেদাভেদ ভুলে একযোগে দেশের সেবায় কাজ করতে হবে। প্রচলিত রাজনীতিকে কবর দিতে হবে, রাজনীতি করতে হলে মানুষকে সম্মান দিতে হবে, সময়কে প্রধান্য দিতে হবে। দেশ ও জাতির উন্নতির জন্য সবাই মিলেমিশে কাজ করতে হবে, সবাইকে ভাল মানুষ হতে হবে। কেননা, দুর্নীতিবাজ মানুষকে কেউ ভালবাসে না।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় শাল্লা উপজেলা পরিষদ গণমিলনায়তনে এক সম্প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
উপজেলার বলরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গঙ্গেশ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও মাওলানা সুহেল আহমেদ, সাগর আহমেদ এবং জগৎজ্যোতি রায়ের যৌথ সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলার ৪নং শাল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুস সাত্তার মিয়া, ৩নং বাহাড়া ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চৌধুরী নান্টু, ২নং হবিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুবল চন্দ্র দাস, গোবিন্দ চন্দ্র সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহিপাল দাস মিল্টন, শ্যামসুন্দর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নীহার চৌধুরী, জামায়াত ইসলামের শাল্লা শাখার সভাপতি হাফেজ নূরে আলম সিদ্দিকি, খালিয়াজুরী উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা রুহুল আমিন, গোবিন্দ চন্দ্র সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সজল চৌধুরী, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ শাল্লা শাখার সভাপতি অধ্যাপক তরুণ কান্তি দাস, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বিধান চন্দ্র চৌধুরী ও থানা মসজিদের ইমাম মাওলানা আবুল কাশেম, সংবাদকর্মী আমির হোসাইন প্রমুখ।
পরে বিকেল ৩টায় ডুমরা রামকৃষ্ণ গোসাঁই আখড়ায় হিন্দুধর্মের সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় ও কুশল বিনিময় করেন অ্যাডভোকেট শিশির মনির। এসময় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।