জয়ন্ত সেন::
শাল্লায় পুনঃনির্মাণাধীন দিরাই-শাল্লা মহাসড়কে হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রকল্পে জরিপ সম্পন্ন করা হয়েছে। যেখানে পিআইসি’র কোনও প্রয়োজন নেই বলে জানান একালাবাসী। সরেজমিনে দেখা যায়, ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরে হাওরের বোরো ফসলরক্ষায় উপজেলার হবিবপুর ইউপির আনন্দপুর শাহআরপিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বাহাড়া ইউপির সুখলাইন গ্রাম পর্যন্ত হাওররক্ষা বাঁধের ভাঙাবন্ধকরণ ও মেরামতের জন্য ৯০ নং পিআইসির জরিপ কাজ স¤পন্ন করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। যেখানে মহাসড়ক নির্মাণকাজের মাটির কাজ শেষ করে বালু ও পাথর ফেলে সাবব্যাজের কাজ চলছে। ফলে দিরাই-শাল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কে পাউবো’র এমন অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণের যৌক্তিকতা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। অথচ আনন্দপুর বাজার সংলগ্ন সেচ প্রকল্প ও কবরস্থানের অংশটি নিচু। কিন্তু সেখানে সার্ভেই করা হয়নি। অন্যদিকে বাহাড়া ইউপির নোয়াগাঁও গিরিধর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠের উত্তর অংশের সেচ প্রকল্পের অংশটি সার্ভে করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গিরিধর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ বর্ষা মৌসুমেও পানি উঠেনি। আবার সুখলাইন গ্রামের কালভার্টের পূর্বের অংশটিতেও গত বছরের পিআইসির মাটিই অক্ষত রয়েছে। তাহলে মহাসড়কে এভাবে পিআইসির নামে প্রকল্প দিয়ে সরকারের টাকা অপচয় ও দুর্নীতির ক্ষেত্র তৈরি করা ছাড়া আর কিছুই নয় বলে জানান স্থানীয়রা। এ নিয়ে আনন্দপুর গ্রামের কালাই মিয়া তালুকদার বলেন, আনন্দপুর বাজার সংলগ্ন কবরস্থানের অংশটি গিরিধর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠের চেয়েও নিচু। অথচ এখানে জরিপ করা হয়নি। ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বাবলু রায় বলেন, আনন্দপুর কবরস্থান থেকে খেলার মাঠের উত্তর অংশ ও খেলার মাঠের দক্ষিণ অংশ থেকে মহাসড়ক পর্যন্ত নিচু। এঅংশটি দিয়ে ছায়ার হাওরে পানি ঢুকার সম্ভাবনা আছে। এখানে মাটি না দিলে শাহআরপিন থেকে সুখলাইন পর্যন্ত মহাসড়কে প্রকল্প দেয়াটা হাস্যকর বলে জানান তিনি। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাখা কর্মকর্তা (এসও) ওবায়দুল রহমান বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি শাল্লায়। আপনি যে স্থানের কথা বলেছেন সে স্থানটি আমার মনে পড়ছে না। তবে ভুল হলে সংযোজন, বিয়োজন করার সুযোগ আছে বলে জানান তিনি। এ ব্যাপারে উপজেলা কাবিটা স্কীম প্রণয়ন ও প্রকল্প বাস্তবায়ন মনিটরিং কমিটির সভাপতি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিয়াস চন্দ্র দাস বলেন, আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাখা কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানাচ্ছি এবং প্রয়োজনে সংশোধন করা হবে। উল্লেখ্য, ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরে শাল্লা উপজেলার ৬টি হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের জন্য ১১৬টি পিআইসির জরিপ কাজ চলমান রয়েছে। ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে ৮০ কিলোমিটার বাঁধ মেরামতে ১১৭টি পিআইসির বিপরীতে বরাদ্দ ছিল প্রায় ২৪ কোটি টাকা। তবে ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরের বরাদ্দ এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি বলে জানিয়েছেন শাখা কর্মকর্তা (এসও) ওবায়দুল রহমান।
শাল্লায় পুনঃনির্মাণাধীন দিরাই-শাল্লা মহাসড়কে হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রকল্পে জরিপ সম্পন্ন করা হয়েছে। যেখানে পিআইসি’র কোনও প্রয়োজন নেই বলে জানান একালাবাসী। সরেজমিনে দেখা যায়, ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরে হাওরের বোরো ফসলরক্ষায় উপজেলার হবিবপুর ইউপির আনন্দপুর শাহআরপিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বাহাড়া ইউপির সুখলাইন গ্রাম পর্যন্ত হাওররক্ষা বাঁধের ভাঙাবন্ধকরণ ও মেরামতের জন্য ৯০ নং পিআইসির জরিপ কাজ স¤পন্ন করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। যেখানে মহাসড়ক নির্মাণকাজের মাটির কাজ শেষ করে বালু ও পাথর ফেলে সাবব্যাজের কাজ চলছে। ফলে দিরাই-শাল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কে পাউবো’র এমন অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণের যৌক্তিকতা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। অথচ আনন্দপুর বাজার সংলগ্ন সেচ প্রকল্প ও কবরস্থানের অংশটি নিচু। কিন্তু সেখানে সার্ভেই করা হয়নি। অন্যদিকে বাহাড়া ইউপির নোয়াগাঁও গিরিধর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠের উত্তর অংশের সেচ প্রকল্পের অংশটি সার্ভে করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গিরিধর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ বর্ষা মৌসুমেও পানি উঠেনি। আবার সুখলাইন গ্রামের কালভার্টের পূর্বের অংশটিতেও গত বছরের পিআইসির মাটিই অক্ষত রয়েছে। তাহলে মহাসড়কে এভাবে পিআইসির নামে প্রকল্প দিয়ে সরকারের টাকা অপচয় ও দুর্নীতির ক্ষেত্র তৈরি করা ছাড়া আর কিছুই নয় বলে জানান স্থানীয়রা। এ নিয়ে আনন্দপুর গ্রামের কালাই মিয়া তালুকদার বলেন, আনন্দপুর বাজার সংলগ্ন কবরস্থানের অংশটি গিরিধর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠের চেয়েও নিচু। অথচ এখানে জরিপ করা হয়নি। ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বাবলু রায় বলেন, আনন্দপুর কবরস্থান থেকে খেলার মাঠের উত্তর অংশ ও খেলার মাঠের দক্ষিণ অংশ থেকে মহাসড়ক পর্যন্ত নিচু। এঅংশটি দিয়ে ছায়ার হাওরে পানি ঢুকার সম্ভাবনা আছে। এখানে মাটি না দিলে শাহআরপিন থেকে সুখলাইন পর্যন্ত মহাসড়কে প্রকল্প দেয়াটা হাস্যকর বলে জানান তিনি। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাখা কর্মকর্তা (এসও) ওবায়দুল রহমান বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি শাল্লায়। আপনি যে স্থানের কথা বলেছেন সে স্থানটি আমার মনে পড়ছে না। তবে ভুল হলে সংযোজন, বিয়োজন করার সুযোগ আছে বলে জানান তিনি। এ ব্যাপারে উপজেলা কাবিটা স্কীম প্রণয়ন ও প্রকল্প বাস্তবায়ন মনিটরিং কমিটির সভাপতি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিয়াস চন্দ্র দাস বলেন, আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাখা কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানাচ্ছি এবং প্রয়োজনে সংশোধন করা হবে। উল্লেখ্য, ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরে শাল্লা উপজেলার ৬টি হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের জন্য ১১৬টি পিআইসির জরিপ কাজ চলমান রয়েছে। ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে ৮০ কিলোমিটার বাঁধ মেরামতে ১১৭টি পিআইসির বিপরীতে বরাদ্দ ছিল প্রায় ২৪ কোটি টাকা। তবে ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরের বরাদ্দ এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি বলে জানিয়েছেন শাখা কর্মকর্তা (এসও) ওবায়দুল রহমান।