শহীদনূর আহমেদ ::
সুনামগঞ্জে ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়ছে প্রাণঘাতী নেশা ইয়াবা। ভারত-মিয়ানমার রুট হয়ে এই মাদক অনায়াসে প্রবেশ করছে সীমান্ত এলাকায়, ছড়িয়ে পড়ছে জেলা শহর থেকে গ্রামাঞ্চল-সর্বত্র। দীর্ঘদিন গাঁজা ও মদের চোরাচালানই ছিল সক্রিয়; এখন তা ছাপিয়ে গেছে ইয়াবার ভয়ংকর দখল।
জানা গেছে, সুনামগঞ্জ শহরের বিভিন্ন মহল্লায় গড়ে উঠেছে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের গোপন আস্তানা। ভ্রাম্যমাণ সেলসম্যানদের মাধ্যমে এসব ট্যাবলেট পৌঁছে যাচ্ছে জেলার প্রত্যন্ত গ্রামেও। ফলে শহর-গ্রামের উঠতি বয়সী তরুণদের জীবনযাপনে নেমে এসেছে ভয়াবহ অস্থিরতা। স্কুল-কলেজ পড়ুয়া, নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান, এমনকি বিভিন্ন পেশার মানুষও জড়িয়ে পড়ছে এই নেশায়। ইয়াবার টাকা জোগাড় করতে চুরি ও নানা অপরাধে লিপ্ত হয়ে পড়ছে অনেকে।
সূত্র বলছে, সুনামগঞ্জ পৌর শহরে একাধিক ডিলারের মাধ্যমে মাসিক বিশাল অঙ্কের ইয়াবা ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। পিসপ্রতি ২৫০-৩০০ টাকায় নির্দিষ্ট সেলসম্যানদের মাধ্যমে তা বিক্রি হচ্ছে। আরপিননগর, বড়পাড়া, কালিপুর, তেঘরিয়া, সরকারি পুকুরপাড়, উকিলপাড়া, বাঁধনপাড়া, বনানীপাড়া, ধোপাখালি, হাছননগর ও সুলতানপুর - এ সব এলাকায় রয়েছে মাদকের এক বা একাধিক আস্তানা।
অনুসন্ধানে জানাযায়, শহরের ‘মাদক সম্রাট’ হিসেবে পরিচিত আসাদুজ্জামান ওরফে পঙ্কজ। তার নামে রয়েছে ১৮টি মামলা। বহুবার গ্রেফতার হলেও জামিনে বেরিয়ে আবারও আগের মতো চালিয়ে যায় ইয়াবা ব্যবসা। আরপিননগর ও বড়পাড়ায় রয়েছে তার একাধিক বিক্রয়কেন্দ্র ও ডিলার নেটওয়ার্ক। রাতারাতি বাড়ি-গাড়ির মালিক হয়ে ওঠা পঙ্কজ বর্তমানে গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকা সত্ত্বেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধরাছোঁয়ার বাইরে।
গত রবিবার রাতে ডিবি পুলিশের অভিযানে পঙ্কজের আরপিননগরস্থ বাসা থেকে ১,২৫০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় সে।
জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিসের উপ-পরিচালক আবুল হোসেন বলেন, সুনামগঞ্জে মাদকের বিস্তার হচ্ছে। আমরা প্রতি মাসেই অভিযান পরিচালনা করছি। গত মাসেও ৭টি মামলা হয়েছে। গাঁজা, মদ, ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়েছে। তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
এদিকে, মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণার কথা জানিয়েছেন সুনামগঞ্জের নবাগত পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেন। তিনি বলেন, মাদককে কোনোভাবে প্রশ্রয় দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, পুলিশের কোনো সদস্য মাদকের দালালদের সাথে হাঁটলে সাথে সাথে ছবি তুলে পাঠান। আমি ব্যবস্থা নিবো। খুব শিগগিরই মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান শুরু হবে।
সুনামগঞ্জে ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়ছে প্রাণঘাতী নেশা ইয়াবা। ভারত-মিয়ানমার রুট হয়ে এই মাদক অনায়াসে প্রবেশ করছে সীমান্ত এলাকায়, ছড়িয়ে পড়ছে জেলা শহর থেকে গ্রামাঞ্চল-সর্বত্র। দীর্ঘদিন গাঁজা ও মদের চোরাচালানই ছিল সক্রিয়; এখন তা ছাপিয়ে গেছে ইয়াবার ভয়ংকর দখল।
জানা গেছে, সুনামগঞ্জ শহরের বিভিন্ন মহল্লায় গড়ে উঠেছে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের গোপন আস্তানা। ভ্রাম্যমাণ সেলসম্যানদের মাধ্যমে এসব ট্যাবলেট পৌঁছে যাচ্ছে জেলার প্রত্যন্ত গ্রামেও। ফলে শহর-গ্রামের উঠতি বয়সী তরুণদের জীবনযাপনে নেমে এসেছে ভয়াবহ অস্থিরতা। স্কুল-কলেজ পড়ুয়া, নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান, এমনকি বিভিন্ন পেশার মানুষও জড়িয়ে পড়ছে এই নেশায়। ইয়াবার টাকা জোগাড় করতে চুরি ও নানা অপরাধে লিপ্ত হয়ে পড়ছে অনেকে।
সূত্র বলছে, সুনামগঞ্জ পৌর শহরে একাধিক ডিলারের মাধ্যমে মাসিক বিশাল অঙ্কের ইয়াবা ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। পিসপ্রতি ২৫০-৩০০ টাকায় নির্দিষ্ট সেলসম্যানদের মাধ্যমে তা বিক্রি হচ্ছে। আরপিননগর, বড়পাড়া, কালিপুর, তেঘরিয়া, সরকারি পুকুরপাড়, উকিলপাড়া, বাঁধনপাড়া, বনানীপাড়া, ধোপাখালি, হাছননগর ও সুলতানপুর - এ সব এলাকায় রয়েছে মাদকের এক বা একাধিক আস্তানা।
অনুসন্ধানে জানাযায়, শহরের ‘মাদক সম্রাট’ হিসেবে পরিচিত আসাদুজ্জামান ওরফে পঙ্কজ। তার নামে রয়েছে ১৮টি মামলা। বহুবার গ্রেফতার হলেও জামিনে বেরিয়ে আবারও আগের মতো চালিয়ে যায় ইয়াবা ব্যবসা। আরপিননগর ও বড়পাড়ায় রয়েছে তার একাধিক বিক্রয়কেন্দ্র ও ডিলার নেটওয়ার্ক। রাতারাতি বাড়ি-গাড়ির মালিক হয়ে ওঠা পঙ্কজ বর্তমানে গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকা সত্ত্বেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধরাছোঁয়ার বাইরে।
গত রবিবার রাতে ডিবি পুলিশের অভিযানে পঙ্কজের আরপিননগরস্থ বাসা থেকে ১,২৫০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় সে।
জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিসের উপ-পরিচালক আবুল হোসেন বলেন, সুনামগঞ্জে মাদকের বিস্তার হচ্ছে। আমরা প্রতি মাসেই অভিযান পরিচালনা করছি। গত মাসেও ৭টি মামলা হয়েছে। গাঁজা, মদ, ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়েছে। তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
এদিকে, মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণার কথা জানিয়েছেন সুনামগঞ্জের নবাগত পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেন। তিনি বলেন, মাদককে কোনোভাবে প্রশ্রয় দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, পুলিশের কোনো সদস্য মাদকের দালালদের সাথে হাঁটলে সাথে সাথে ছবি তুলে পাঠান। আমি ব্যবস্থা নিবো। খুব শিগগিরই মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান শুরু হবে।