শান্তিগঞ্জ প্রতিনিধি ::
ময়দা ও ডিমের সংমিশ্রণে তৈরী টোপ দিয়ে পুকুরে বড়শি ফেলেছেন সৌখিন মাছ শিকারী। বড়শি দিয়ে বড় মাছ ধরার দীর্ঘ প্রতিক্ষা শিকারীদের। সোমবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের পুকুরে এভাবেই আনন্দ-উল্লাসের মাধ্যমে চলে মাছ ধরার প্রতিযোগিতা।
তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত ব্যতিক্রমী এই প্রতিযোগিতায় রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে অংশ নেন উপজেলার ২৪ জন তরুণ ও প্রবীণ।
‘ফিশিং কনটেস্ট’ নামে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় সর্বোচ্চ ৯ কেজি ৭৬০ গ্রাম ওজনের ১৩টি মাছ ধরে প্রথম স্থান অর্জন করেন ডুংরিয়া গ্রামের জুবায়ের আহমদ জনি। ২ কেজি ৪২০ গ্রাম ওজনের সর্ববৃহৎ মাছ ধরার রেকর্ডও তার দখলে। প্রতিযোগিতায় ৪ কেজি ৫১০ গ্রাম ওজনের ১১টি মাছ ধরে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন সদরপুর গ্রামের ছালিক মিয়া। এছাড়া ৪ কেজি ২৮৮ গ্রাম ওজনের ৫টি মাছ ধরে তৃতীয় হন সুলতানপুর গ্রামের আবুল হোসেন।
এরপর বিকেল ৫টায় শান্তিগঞ্জ উপজেলার ঝিলমিল অডিটোরিয়ামে জেলা প্রশাসক ড. মো. ইলিয়াস মিয়ার উপস্থিতিতে বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়। এসময় ৩টি ও ১টি করে মাছ ধরায় আরও ৪ জনকে বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুকান্ত সাহা বলেন, সুনামগঞ্জ জেলা হাওর অধ্যুষিত অঞ্চল হওয়ায় শুধুমাত্র জালের মাধ্যমে মাছ ধরায় অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন এই এলাকার বাসিন্দারা। কিন্তু বড়শির মাধ্যমে যে উল্লাস করেও মাছ ধরা যায় সেটা তরুণদের মাঝে ছড়িয়ে দিতেই এমন আয়োজন। এছাড়া বড়শি দিয়ে মাছ ধরা ধৈর্য্যশক্তিও বাড়ায়। সর্বোপরী প্রতিযোগিতার মোড়কে মাছ ধরার একটি উৎসব আয়োজন করাই এর মূল লক্ষ্য।