স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের সিলুয়া বিলে নালার বাঁধ কেটে পানি ছেড়ে দেওয়ায় বিস্তীর্ণ জমি অনাবাদী হয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বৃহ¯পতিবার রাত আনুমানিক ১১টার দিকে দুর্বৃত্তরা এই বাঁধ কেটে দেয় বলে স্থানীয়রা জানান।
শুক্রবার সকাল ৯টায় সরেজমিনে দেখা যায়, সিলুয়া বিলের পানি নিষ্কাশনের নালা কেটে রাতের আঁধারে পানি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এতে বিলের হাজারো কৃষকের জমিতে চাষাবাদের প্রস্তুতি ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, প্রতি বছর একইভাবে দুর্বৃত্তরা রাতের বেলায় নালা কেটে পানি ছেড়ে দেয়, যার ফলে প্রচুর জমি অনাবাদী থেকে যায়। এ কারণে কৃষকরা প্রতিবছরই আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন।
বিলের নালা কেটে দেয়ার ঘটনার খবর পেয়ে সুরমা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. খুরশিদ মিয়ার নেতৃত্বে সৈয়দপুর ও আশপাশ এলাকার কৃষকেরা রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাটা অংশে পুনরায় মাটি ফেলে বাঁধ নির্মাণ করেন।
শুক্রবার সকালে এই প্রতিবেদকের কাছে কৃষক মানিক মিয়া, হযরত আলী, জহুর মিয়া, ইব্রাহীম মিয়া, জাহাঙ্গীর আলম, মরম আলী, দানু মিয়া, তাজুল ইসলাম, আব্দুল আলীম, আব্দুল মান্নান, আব্দুর রহমান ও জালাল মিয়াসহ উপস্থিত কৃষকেরা অভিযোগ করে বলেন, পূর্ব ইব্রাহীমপুর সমবায় সমিতির নামে তিন বছরের জন্য সিলুয়া বিল ইজারা নেওয়া হয়েছে। ইজারার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগ মুহূর্তে আগাম মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে ইজারাদার পক্ষ থেকেই নালা কেটে পানি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
সুরমা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. খুরশিদ মিয়া বলেন, ইজারাদারদের শেষ বছর চললেও তারা আগাম মাছ ধরার সুবিধার্থে নালা কেটে পানি ছেড়ে দেয়। এতে কৃষকেরা জমিতে চাষাবাদের জন্য প্রয়োজনীয় পানির সংকটে পড়েন এবং অনেক জমি অনাবাদী থেকে যায়। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িতদের শাস্তির দাবি জানাই।
স্থানীয় কৃষকদের দাবি, নালা কেটে পানি ছেড়ে দেওয়ার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা রোধে প্রশাসনের কঠোর ভূমিকা নিশ্চিত করা জরুরি।