শহীদনূর আহমেদ::
তাহিরপুরের পর্যটন এলাকা ট্যাকেরঘাটে পর্যটকদের ফেলে যাওয়া প্লাস্টিক বর্জ্য, পলিথিন ও কাঁচের বোতলের কারণে হুমকির মুখে পড়েছে স্থানীয় কৃষিকাজ।
পর্যটক ও হাউসবোট মালিকদের উদাসীনতা এবং কার্যকর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাবে হাওরের বিশাল একটি অংশ মারাত্মক প্লাস্টিক দূষণে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। কৃষিজমিতে ছড়িয়ে থাকা কাঁচের ভাঙা বোতলে আহত হচ্ছেন কৃষকরা, ব্যাহত হচ্ছে বোরো ধানের প্রস্তুতিমূলক কাজ। পরিবেশবাদীদের আশঙ্কা- দূষণ নিয়ন্ত্রণে না আনা হলে হাওরের পরিবেশ-প্রতিবেশ স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি কৃষি উৎপাদনেও বিপর্যয় নেমে আসবে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বর্ষা মৌসুমে শত শত পর্যটকবাহী হাউসবোট টাঙ্গুয়ার হাওরসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে প্রতিদিন ট্যাকেরঘাটে নোঙর করে। এসময় পর্যটক ও নৌশ্রমিকরা নির্বিচারে পানির বোতল, চিপস-বিস্কুটের প্যাকেট, পলিথিনসহ নানা ধরনের প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলে দেন হাওরের পানিতে। অনেক পর্যটক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে ভারতীয় মদ-বিয়ার ও অন্যান্য কোমল পানীয় গ্রহণ করেন এবং খালি বোতলগুলো হাওরে নিক্ষেপ করেন। পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এসব বর্জ্য জমিজুড়ে দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে।
রবিবার সরেজমিনে ট্যাকেরঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, অন্তত ২০০ একর বোরো জমি প্লাস্টিক ও কাঁচের বোতলের দূষণে অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। বীজতলা তৈরির এই মৌসুমে কৃষকেরা প্রতিনিয়ত কাঁচের ভাঙা বোতলে আহত হচ্ছেন।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, প্লাস্টিক বর্জ্যরে কারণে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে অন্তত ২শ একর বোরো জমি। কিছুদিন পরই হাওরজুড়ে বোরো মৌসুম শুরু হবে। এখন চলছে বীজতলা তৈরির কাজ। ট্যাকেরঘাট এলাকায় হাওরে বীজতলা তৈরি করতে গিয়ে প্রতিদিনই কাঁচের বোতলে আঘাত পেয়ে আহত হচ্ছেন কৃষকরা। এ কারণে ফসল আবাদ করতে আতঙ্কগ্রস্ত হচ্ছেন তারা।
সুরুজ মিয়া নামের স্থানীয় এক কৃষক বলেন, বর্ষায় পর্যটকরা নৌকা থেকে প্লাস্টিক, কাঁচের বোতল, পলিথিন ফেলেছে। হাওরের বোরো জমি মদের বোতলে ভর্তি। টাক্টর দিয়ে হাল চাষ করা যায় না। হাতে কাজ করতে গিয়ে অনেকেই হাত-পা কাটছে। আমরা বড় সমস্যা আছি। জমি চাষাবাদ করতে পারবো কিনা এই দুশ্চিন্তায় রয়েছি।
কৃষিশ্রমিক রুবেল মিয়া বলেন, কাঁচের বোতলে আমার পা কেটে গেছে। আমি কয়েকদিন ধরে ঘরে বসে আছি। কৃষকরা জমিতে নামতে চায়না এই বোতলের ভয়ে।
টাঙ্গুয়ার হাওরপাড়ের বাসিন্দা ও পরিবেশ কর্মী এন্ড্রো সলোমার বলেন, তাহিরপুরে যে পর্যটকরা আসছেন তারা প্লাস্টিক দূষণের সাথে জড়িত। হাউস বোট কর্তৃপক্ষও যথাযথভাবে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রতিপালন করছেন না। এভাবে চলতে থাকলে হাওরের পরিবেশে-প্রতিবেশ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বলেন, শীঘ্রই ট্যাকেরঘাট এলাকায় প্লাস্টিক বর্জ্য অপসারণে অভিযান পরিচালনা করা হবে। পর্যটন এলাকায় প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতে জেলা প্রশাসন জনসচেতনতামূলক কাজ অব্যাহত রাখবে।
তাহিরপুরের পর্যটন এলাকা ট্যাকেরঘাটে পর্যটকদের ফেলে যাওয়া প্লাস্টিক বর্জ্য, পলিথিন ও কাঁচের বোতলের কারণে হুমকির মুখে পড়েছে স্থানীয় কৃষিকাজ।
পর্যটক ও হাউসবোট মালিকদের উদাসীনতা এবং কার্যকর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাবে হাওরের বিশাল একটি অংশ মারাত্মক প্লাস্টিক দূষণে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। কৃষিজমিতে ছড়িয়ে থাকা কাঁচের ভাঙা বোতলে আহত হচ্ছেন কৃষকরা, ব্যাহত হচ্ছে বোরো ধানের প্রস্তুতিমূলক কাজ। পরিবেশবাদীদের আশঙ্কা- দূষণ নিয়ন্ত্রণে না আনা হলে হাওরের পরিবেশ-প্রতিবেশ স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি কৃষি উৎপাদনেও বিপর্যয় নেমে আসবে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বর্ষা মৌসুমে শত শত পর্যটকবাহী হাউসবোট টাঙ্গুয়ার হাওরসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে প্রতিদিন ট্যাকেরঘাটে নোঙর করে। এসময় পর্যটক ও নৌশ্রমিকরা নির্বিচারে পানির বোতল, চিপস-বিস্কুটের প্যাকেট, পলিথিনসহ নানা ধরনের প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলে দেন হাওরের পানিতে। অনেক পর্যটক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে ভারতীয় মদ-বিয়ার ও অন্যান্য কোমল পানীয় গ্রহণ করেন এবং খালি বোতলগুলো হাওরে নিক্ষেপ করেন। পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এসব বর্জ্য জমিজুড়ে দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে।
রবিবার সরেজমিনে ট্যাকেরঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, অন্তত ২০০ একর বোরো জমি প্লাস্টিক ও কাঁচের বোতলের দূষণে অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। বীজতলা তৈরির এই মৌসুমে কৃষকেরা প্রতিনিয়ত কাঁচের ভাঙা বোতলে আহত হচ্ছেন।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, প্লাস্টিক বর্জ্যরে কারণে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে অন্তত ২শ একর বোরো জমি। কিছুদিন পরই হাওরজুড়ে বোরো মৌসুম শুরু হবে। এখন চলছে বীজতলা তৈরির কাজ। ট্যাকেরঘাট এলাকায় হাওরে বীজতলা তৈরি করতে গিয়ে প্রতিদিনই কাঁচের বোতলে আঘাত পেয়ে আহত হচ্ছেন কৃষকরা। এ কারণে ফসল আবাদ করতে আতঙ্কগ্রস্ত হচ্ছেন তারা।
সুরুজ মিয়া নামের স্থানীয় এক কৃষক বলেন, বর্ষায় পর্যটকরা নৌকা থেকে প্লাস্টিক, কাঁচের বোতল, পলিথিন ফেলেছে। হাওরের বোরো জমি মদের বোতলে ভর্তি। টাক্টর দিয়ে হাল চাষ করা যায় না। হাতে কাজ করতে গিয়ে অনেকেই হাত-পা কাটছে। আমরা বড় সমস্যা আছি। জমি চাষাবাদ করতে পারবো কিনা এই দুশ্চিন্তায় রয়েছি।
কৃষিশ্রমিক রুবেল মিয়া বলেন, কাঁচের বোতলে আমার পা কেটে গেছে। আমি কয়েকদিন ধরে ঘরে বসে আছি। কৃষকরা জমিতে নামতে চায়না এই বোতলের ভয়ে।
টাঙ্গুয়ার হাওরপাড়ের বাসিন্দা ও পরিবেশ কর্মী এন্ড্রো সলোমার বলেন, তাহিরপুরে যে পর্যটকরা আসছেন তারা প্লাস্টিক দূষণের সাথে জড়িত। হাউস বোট কর্তৃপক্ষও যথাযথভাবে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রতিপালন করছেন না। এভাবে চলতে থাকলে হাওরের পরিবেশে-প্রতিবেশ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বলেন, শীঘ্রই ট্যাকেরঘাট এলাকায় প্লাস্টিক বর্জ্য অপসারণে অভিযান পরিচালনা করা হবে। পর্যটন এলাকায় প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতে জেলা প্রশাসন জনসচেতনতামূলক কাজ অব্যাহত রাখবে।