স্টাফ রিপোর্টার
সুনামগঞ্জে শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি ও শিক্ষক-শিক্ষার্থী মূল্যায়নের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ‘মেধা যাচাই বৃত্তি পরীক্ষা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়।
জেলার ইতিহাসে এই উদ্যোগকে শিক্ষার মানোন্নয়নের ক্ষেত্রে এক অনন্য পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন শিক্ষক ও অভিভাবকরা। তারা বলেন, এমন উদ্যোগ শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন প্রাণ সঞ্চার করবে এবং শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ আরও বৃদ্ধি পাবে।
২৯ অক্টোবর বুধবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এই পরীক্ষায় জেলার ১৪৭৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। পুরো জেলায় পরীক্ষাকেন্দ্র ছিল ৩০৪টি।
পরীক্ষার দিন সকাল থেকেই শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকেরা উৎসবমুখর পরিবেশে কেন্দ্রে উপস্থিত হন। তাদের মুখে ছিল আনন্দ ও প্রত্যাশার উচ্ছ্বাস। যেন শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন কিছু ঘটতে যাচ্ছে।
সুনামগঞ্জ সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ে আসা অভিভাবক আব্দুল ওয়াহিদ বলেন, সম্ভবত সারাদেশে সুনামগঞ্জেই প্রথমবারের মতো এমন মেধা যাচাই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলো। এতে অংশ নিতে পেরে আমার ছেলে ওয়াজেদ মিয়া খুবই খুশি।
শিক্ষিকা রাছমিন বেগম চৌধুরী জানান, এই মেধা যাচাই পরীক্ষা জেলায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। লেখাপড়ার প্রতি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের নতুন উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে। জেলা প্রশাসনের এমন উদ্যোগে আমরা কৃতজ্ঞ।
শিক্ষক নেতা হারুনুর রশিদ বলেন, জেলা প্রশাসকের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে একযোগে সারা জেলায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী উভয়ের মূল্যায়নের সুযোগ তৈরি হয়েছে। এটি নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় উদ্যোগ।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহন লাল দাস বলেন, এই মেধা যাচাই পরীক্ষা জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিনি সরাসরি তদারকি করেছেন। এর মাধ্যমে সুনামগঞ্জে শিক্ষার মান আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আমরা আশাবাদী।
জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বলেন, সুনামগঞ্জে শিক্ষার মানোন্নয়নে মেধা যাচাই পরীক্ষার উদ্যোগ একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা আরও মনোযোগী হবেন। ফলে শ্রেণিকক্ষে উপস্থিতি বাড়বে এবং সামগ্রিকভাবে শিক্ষার মান উন্নত হবে। তিনি আরও বলেন, মেধা যাচাই পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করলে শিক্ষার্থীরা এসএসসি পর্যন্ত নয়, এইচএসসিতেও ভালো করবে, এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা।