শহীদনূর আহমেদ ::
মহাসিং নদীর চন্ডিডহর এলাকায় একটি সেতুর অভাবে ভোগান্তিতে রয়েছেন দিরাই, শান্তিগঞ্জ ও জগন্নাথপুর উপজেলার ৫ লাখ মানুষ। এই তিন উপজেলার অর্ধশতাধিক গ্রামের মানুষজনকে এই নদী পারি দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছতে হয়। স্বাধীনতার পর থেকে বিভিন্ন সরকারের আমলে ওই নদীর উপর সেতু নির্মাণের আশ্বাস দিলেও ৫৪ বছরেও এর বাস্তবায়ন হয়নি। সেতুর অভাবে ব্যাহত হচ্ছে এসব উপজেলার শিক্ষা, চিকিৎসা, ব্যবসা-বাণিজ্যিসহ কৃষিপণ্য বিপণন।
এদিকে সড়কসহ মহাসিং নদীর তিন মোহনায় সেতুর নির্মাণে একটি প্রকল্প প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে অনুমোদন না হওয়ায় নতুন করে পত্র পাঠানোর কথা জানিয়েছে স্থানীয় প্রকৌশল বিভাগ।
স্থানীয়রা জানান, মহাসিং নদীর তিন মোহনায় সেতু নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের। বিগত সরকারের আমলে সেতু নির্মাণের আশ্বাস পেলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে দেশের অন্যান্য অঞ্চল যখন এগিয়ে যাচ্ছে, তখন একটি মাত্র সেতুর অভাবে থমকে রয়েছে জেলার দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা। এদিকে নদীর উপর সেতু না থাকার কারণে উন্নত যোগাযোগের সুবিধা থেকে বঞ্চিত তিন উপজেলার অন্তত ৫০টি গ্রামের মানুষ। বর্ষা কিংবা হেমন্ত সরাসরি সড়কপথে যাতায়াত না করতে পারায় বারোমাস খেয়া পারাপার ও নৌপথের উপর নির্ভর করতে স্থানীয়দের। জেলা কিংবা উপজেলা শহরে যেতে পোহাতে হয় সীমাহীন বিড়ম্বনায়। সেতুর অভাবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষিসহ সকল অর্থনৈতিক সূচকে পিছিয়ে রয়েছে বৃহৎ জনসংখ্যার এই জনপদটি।
দিরাই উপজেলার নগদীপুর গ্রামের শাহীনুর পাশা বলেন, আমরা ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি চন্ডিডহর এলাকায় ব্রিজ হবে। অনেকবার পরিমাপ নেয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো কাজের কাজ হয়নি। একটি মাত্র সেতুর অভাবে আমরা অবহেলিত রয়েগেছি।
দৌলতপুর গ্রামের শাহ আজিজ বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছর হয়ে গেলো। এরমধ্যে কত সরকার আসলো গেলো, আমাদের জন্য কেউ কিছু করলো না। সেতুর অভাবে আমাদের এলাকার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, কৃষি,অর্থনীতি সব ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে। আমাদের দুঃখ, কষ্ট নিয়ে কেউ ভাবে না।
নেহারুন আক্তার নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, নৌকা দিয়ে নদী পারাপারে নানা বিড়ম্বনায় পড়তে। অনেক ক্ষেত্রে সময়মতো বিদ্যালয়ে পৌঁছা যায় না। রোগীদের জেলা কিংবা উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যেতেও বাঁধে বিপত্তি। এদিকে মহাসিং নদীর তিন মোহনায় সেতু নির্মাণের দাবিতে সম্প্রতি নদী তীর এলাকায় মানববন্ধন করেছেন তিন উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দারা। সচেতন যুবকদের ডাকে এই মানববন্ধনে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন গ্রামের হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। এসময় তারা মহাসিং নদীর তিন মোহনায় সেতু নির্মাণে দাবি করেন। বহুল প্রতিক্ষিত মহাসিং নদীর সেতু নির্মাণে সরকারের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করে জগদল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ূন রশীদ লাভলু বলেন, এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি চন্ডিডহর সেতু। এই সেতুর জন্য আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন-সংগ্রাম করে আসছি। বিগত সরকারের সময়ে সেতু নির্মাণের আশ্বাস পেলেও কার্যকর অগ্রগতি দেখিনি। আমরা এবার সেতুর বাস্তবায়ন চাই। বিগত আওমালীগ সরকারের সময়ে জগদল টু চন্ডিডহর পর্যন্ত সড়কসহ মহাসিং নদীর তিন মোহনায় সেতু নির্মাণের জন্য ৬০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তুত করে প্রস্তাবনা পাঠায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। তবে ব্যয়বহুল এই প্রকল্প অনুমোদন অনীহা প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট দপ্তর।
তবে এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে আবারও পত্র পাঠানোর কথা জানিয়েছেন এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন। প্রসঙ্গত, মহাসিং নদীর তিন মোহনায় সেতু নির্মাণ হলে তিন উপজেলার যোগাযোগের মাইলফলক সৃষ্টির পাশাপাশি খুলে যাবে জেলার দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে দ্বার।
মহাসিং নদীর চন্ডিডহর এলাকায় একটি সেতুর অভাবে ভোগান্তিতে রয়েছেন দিরাই, শান্তিগঞ্জ ও জগন্নাথপুর উপজেলার ৫ লাখ মানুষ। এই তিন উপজেলার অর্ধশতাধিক গ্রামের মানুষজনকে এই নদী পারি দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছতে হয়। স্বাধীনতার পর থেকে বিভিন্ন সরকারের আমলে ওই নদীর উপর সেতু নির্মাণের আশ্বাস দিলেও ৫৪ বছরেও এর বাস্তবায়ন হয়নি। সেতুর অভাবে ব্যাহত হচ্ছে এসব উপজেলার শিক্ষা, চিকিৎসা, ব্যবসা-বাণিজ্যিসহ কৃষিপণ্য বিপণন।
এদিকে সড়কসহ মহাসিং নদীর তিন মোহনায় সেতুর নির্মাণে একটি প্রকল্প প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে অনুমোদন না হওয়ায় নতুন করে পত্র পাঠানোর কথা জানিয়েছে স্থানীয় প্রকৌশল বিভাগ।
স্থানীয়রা জানান, মহাসিং নদীর তিন মোহনায় সেতু নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের। বিগত সরকারের আমলে সেতু নির্মাণের আশ্বাস পেলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে দেশের অন্যান্য অঞ্চল যখন এগিয়ে যাচ্ছে, তখন একটি মাত্র সেতুর অভাবে থমকে রয়েছে জেলার দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা। এদিকে নদীর উপর সেতু না থাকার কারণে উন্নত যোগাযোগের সুবিধা থেকে বঞ্চিত তিন উপজেলার অন্তত ৫০টি গ্রামের মানুষ। বর্ষা কিংবা হেমন্ত সরাসরি সড়কপথে যাতায়াত না করতে পারায় বারোমাস খেয়া পারাপার ও নৌপথের উপর নির্ভর করতে স্থানীয়দের। জেলা কিংবা উপজেলা শহরে যেতে পোহাতে হয় সীমাহীন বিড়ম্বনায়। সেতুর অভাবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষিসহ সকল অর্থনৈতিক সূচকে পিছিয়ে রয়েছে বৃহৎ জনসংখ্যার এই জনপদটি।
দিরাই উপজেলার নগদীপুর গ্রামের শাহীনুর পাশা বলেন, আমরা ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি চন্ডিডহর এলাকায় ব্রিজ হবে। অনেকবার পরিমাপ নেয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো কাজের কাজ হয়নি। একটি মাত্র সেতুর অভাবে আমরা অবহেলিত রয়েগেছি।
দৌলতপুর গ্রামের শাহ আজিজ বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছর হয়ে গেলো। এরমধ্যে কত সরকার আসলো গেলো, আমাদের জন্য কেউ কিছু করলো না। সেতুর অভাবে আমাদের এলাকার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, কৃষি,অর্থনীতি সব ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে। আমাদের দুঃখ, কষ্ট নিয়ে কেউ ভাবে না।
নেহারুন আক্তার নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, নৌকা দিয়ে নদী পারাপারে নানা বিড়ম্বনায় পড়তে। অনেক ক্ষেত্রে সময়মতো বিদ্যালয়ে পৌঁছা যায় না। রোগীদের জেলা কিংবা উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যেতেও বাঁধে বিপত্তি। এদিকে মহাসিং নদীর তিন মোহনায় সেতু নির্মাণের দাবিতে সম্প্রতি নদী তীর এলাকায় মানববন্ধন করেছেন তিন উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দারা। সচেতন যুবকদের ডাকে এই মানববন্ধনে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন গ্রামের হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। এসময় তারা মহাসিং নদীর তিন মোহনায় সেতু নির্মাণে দাবি করেন। বহুল প্রতিক্ষিত মহাসিং নদীর সেতু নির্মাণে সরকারের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করে জগদল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ূন রশীদ লাভলু বলেন, এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি চন্ডিডহর সেতু। এই সেতুর জন্য আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন-সংগ্রাম করে আসছি। বিগত সরকারের সময়ে সেতু নির্মাণের আশ্বাস পেলেও কার্যকর অগ্রগতি দেখিনি। আমরা এবার সেতুর বাস্তবায়ন চাই। বিগত আওমালীগ সরকারের সময়ে জগদল টু চন্ডিডহর পর্যন্ত সড়কসহ মহাসিং নদীর তিন মোহনায় সেতু নির্মাণের জন্য ৬০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তুত করে প্রস্তাবনা পাঠায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। তবে ব্যয়বহুল এই প্রকল্প অনুমোদন অনীহা প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট দপ্তর।
তবে এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে আবারও পত্র পাঠানোর কথা জানিয়েছেন এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন। প্রসঙ্গত, মহাসিং নদীর তিন মোহনায় সেতু নির্মাণ হলে তিন উপজেলার যোগাযোগের মাইলফলক সৃষ্টির পাশাপাশি খুলে যাবে জেলার দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে দ্বার।