স্টাফ রিপোর্টার ::
পুত্রবধূর নির্যাতনের শিকার প্রতিবন্ধী শাশুড়ি জীবনের নিরাপত্তা চেয়েছেন। তিনি জানান, দিন দিন নির্যাতনের মাত্রা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। আদালতে যৌতুক নির্যাতনের মামলা দিয়ে তার পুত্রকে পাঠানো হয়েছে জেলহাজতে। এখন এই নির্যাতিত শাশুড়ির বসতবাড়ি জবর দখলের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, ঘর থেকে ২/৩ বার জোরপূর্বক শাশুড়িকে বের করে দিয়েছে পুত্রবধূ ও তার সহযোগীরা। ঘটনাটি ঘটেছে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের পূর্ব সুলতানপুর আবাসিক এলাকায়।
জানা যায়, দীর্ঘ প্রায় ৫ বছর আগে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার রঙ্গারচর ইউনিয়নের চানপুর গ্রামের মেয়ে (৩০)-কে বিয়ে করেন সুনামগঞ্জ শহরের পূর্ব সুলতানপুর গ্রামের মৃত নুর মিয়ার ছেলে ওয়াসকুরুনি (৩৫)। সংসারে প্রতিবন্ধী মা রোকিয়া বেগম (৫০) আছেন।
প্রতিবন্ধী মা রোকিয়া বেগম জানান, আমার ছেলে লুকিয়ে বিয়ে করেছে। বিয়ের আগে এবং পরে সে সৌদিতে থাকতো। পর্যায়ক্রমে ওই মেয়ের আরও দুই ছেলের সাথে সংসার করার পর ৮ বছরের ছেলেসহ তৃতীয় বিয়ে হয় আমার ছেলে ওয়াসকুরুনির সাথে। আমার আপন নাতি আছে ৪ বছরের আরও ১টি। নাতির এক বছর হতে না হতেই পুনরায় সৌদিতে গিয়ে আরও ১৭ মাস কাটিয়ে এসেছে আমার পুত্রবধূ। এসময় আমি নাতিদের ভরনপোষণ করেছি। সে সৌদি থেকে দেশে এসেই শুরু করে পারিবারিক কলহ। আমার ছেলে অটোরিকসা চালিয়ে যা পেতো তা সবই দিতো। তবুও তার চাহিদা মিটতো না। এক পর্যায়ে সুনামগঞ্জের আদালতে যৌতুক নির্যাতনের মামলা দায়ের করে। এই মামলায় আমার ছেলে ওয়াসকুরুনি এখন জেলহাজতে আছে। এহেন অবস্থায় আমার বসতভিটা দখলে নিতে আমার পুত্রবধূ বহিরাগত ছেলেদের নিয়ে আমার বাড়িতে গিয়ে ভয়ভীতি ও হুমকিধমকি দিয়ে চলেছে। অপরদিকে, আমার সন্দেহ হচ্ছে, আমার নাতির ক্ষতি করে সে আমার ও আমার ছেলের উপর ফেলে দেবে। এমন অবস্থায় আমি মারাত্মক দুশ্চিন্তায় দিনযাপন করে আসছি। আমার জীবনের নিরাপত্তার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে ওই পুত্রবধূর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।