ঋণ পরিশোধের পরও বৃদ্ধার বসতঘরে সুদখোরের তালা

আপলোড সময় : ১৬-১০-২০২৫ ০৮:২১:৫১ পূর্বাহ্ন , আপডেট সময় : ১৬-১০-২০২৫ ০৮:২১:৫১ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার :: ধারে টাকা এনে চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ পরিশোধের পরও বৃদ্ধ নারীর বসতঘরে তালা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সুদের টাকা আনতে জমাকৃত দলিল ও স্বাক্ষরিত স্ট্যা¤পও ফেরত দেয়নি ‘সুদখোর’। এমন ঘটনা ঘটেছে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের জলালপুর গ্রামে দরিদ্র বৃদ্ধা নুরুল গণির স্ত্রী কেচরি বেগমের সাথে। অভিযোগ থেকে জানা যায়, গ্রামের বাসিন্দা সরাফত আলী ওরফে ধনাই মিয়ার ছেলে আশিদ আলী (৩৫) ও তার স্ত্রীর কাছ থেকে একই গ্রামের দরিদ্র বৃদ্ধা কেচরি বেগম জরুরি প্রয়োজনে নগদ ১ লাখ টাকা ধার আনেন। এই টাকা আনতে গিয়ে জমির দলিল জমা দেন এবং স্ট্যা¤েপ স্বাক্ষর করেন। পরবর্তীতে এই টাকা চক্রবৃদ্ধি হারে সুদে পরিণত হয়ে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা হয়। এমন হিসাবে কেচরি বেগম হতাশ হয়ে পড়েন। কিছুদিন সময় নিয়ে কোনোমতে টাকা যোগাড় করেন, পরে ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যের সামনে আশিদ আলীর হাতে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা বুঝিয়ে দিয়ে ঋণমুক্ত হন কেচরি বেগম। এসময় দলিল ও স্ট্যা¤প ফেরত চাইলে আশিদ আলী (৩৫) ও তার স্ত্রী ‘পরে দেবেন’ বলে জানান। কিন্তু কিছুদিন পর তাৎক্ষণিকভাবে কেচরি বেগমের বাড়ি এসে টাকা চেয়ে বসে এবং অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করতে থাকেন তারা। এক পর্যায়ে বসতঘরে তালা দেয় ‘সুদখোরের’ লোকজন। গত মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয়রা জানান, সুদখোর আশিদ আলীর স্ত্রী ওই বৃদ্ধ নারীকে হুমকি-ধমকি দিয়ে টেনেহিঁচড়ে ঘর থেকে বের করে এবং বসতঘর তালাবদ্ধ করে দেন। তখন ওই বৃদ্ধ মহিলা অন্যের ঘরে আশ্রয় নেন। পরে কেচরি বেগম নামের ওই বৃদ্ধ মহিলা সদর মডেল থানায় অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগ পেয়ে সদর মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ইউপি সদস্য হোসেন আলী বলেন, আমাদের সামনে আশিদ আলী ও তার স্ত্রীকে সুদে-আসলে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা সমজে দেয়া হয়। কেচরি বেগমের কাছে সুদের টাকার কোনো দেনা-পাওনা নেই। বরং দলিল ও স্ট্যা¤প ফেরত দেয়ার কথা ছিল। তারা এখনো দেয়নি। মোল্লাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নূরুল হক বলেন, আমরা সামনে থেকে টাকা দিয়েছি। আমরা সুদখোর আশিদ আলী ও তার স্ত্রীকে সুদে-আসলে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা সমজে দিয়েছি। দলিল ও স্ট্যা¤প ফেরত চাইলে তারা পরে দেবে বলে জানিয়ে চলে যায়। এসব সুদখোরের কঠিন শাস্তি হওয়া দরকার। সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার এস.আই আনিস বলেন, সদর উপজেলার মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের জলালপুর গ্রামে ঘটনাস্থলে গিয়ে সবকিছু বুঝেছি। আইনি প্রক্রিয়া চলমান আছে। আশাকরি ঘটনার সমাধান হবে।

সম্পাদকীয় :

  • সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : মো. জিয়াউল হক
  • সম্পাদক ও প্রকাশক : বিজন সেন রায়
  • বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : মোক্তারপাড়া রোড, সুনামগঞ্জ-৩০০০।

অফিস :

  • ই-মেইল : [email protected]
  • ওয়েবসাইট : www.sunamkantha.com