
দিরাই প্রতিনিধি ::
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শোয়াইব আহমেদ খান বলেছেন, আমি হাওরপাড়ের সন্তান। আমরা অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া করেছি। আমাদের সময় এতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিলনা। আজ অনেক নতুন বিদ্যালয় গড়ে উঠেছে। বিশেষ করে দেশের অসহায়, এতিম মেয়েদের উচ্চশিক্ষার পথ সুগম করতে হাওরের পাড়াগাঁয়ে বাংলাদেশ ফিমেইল একাডেমির মতো বিশাল প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে যা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।
তিনি ফিমেইল একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা জামিল চৌধুরীর ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, ধনের সাথে মনের মিল আছে বলেই নিজের কষ্টার্জিত অর্থ, শ্রম আর মেধা দিয়ে বিশাল এ প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। একাডেমির মনোরম পরিবেশে ও এতিম শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার পারফরম্যান্স আমাকে অভিভূত করেছে। উপযুক্ত পরিবেশ পেলে এতিম, অসহায়, বঞ্চিত নারীরা যে শিক্ষা, কারিগরি, সংস্কৃতি ও খেলাধুলায় সফলতার স্বাক্ষর রাখতে পারে বাংলাদেশ ফিমেইল একাডেমির এতিম মেয়েরাই তার বাস্তব উদাহরণ। ইতিমধ্যে সরকার একাডেমির উন্নয়নে অনেক কাজ করেছে। আগামীতে আমাদের সহায়তা অব্যাহত থাকবে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় হাওরাঞ্চলের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়নে করণীয় শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক জামিল চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও প্রিন্সিপাল নাজমা বেগমের পরিচালনায় সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব দুরে শাওয়াজ, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিজিৎ সূত্রধর, দিরাই প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সামছুল ইসলাম সরদার খেজুর। বক্তব্য রাখেন শিক্ষক ছাত্রী ও এলাকার সুধীজন।