
স্টাফ রিপোর্টার ::
তাহিরপুরে শ্রীশ্রী অদ্বৈত জন্মধাম (পণাতীর্থ) কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে সাধারণ পরিষদের সভায় দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল বাগবিত-া ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের রাজারগাঁও গ্রামে কেন্দ্রীয় মন্দির প্রাঙ্গণে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সভায় বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে মন্দির এলাকায় উন্নয়ন কার্যক্রম নিয়ে বক্তব্যের এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও বিএনপি সমর্থিত হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সদস্যদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। পরে তা হাতাহাতিতে রূপ নেয়। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে তিন দফায় হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস.আই হাফিজ উদ্দিন ও স্থানীয়রা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে পুনরায় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সুনামগঞ্জ জেলা হিন্দু বৌদ্ধ কল্যাণ ফ্রন্টের আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অশোক রায়। সাধারণ স¤পাদক অদ্বৈত রায়ের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন কমিটির সভাপতি করুণাসিন্ধু চৌধুরী বাবুল, সদস্য স্মৃতিরতœ দাস, শিক্ষক কাননবন্ধু রায়, ব্যবসায়ী জয়ন্ত রায়, বিশ্বম্ভরপুরের পরিমল দাস, স্বপন কুমার বর্মণ, জামালগঞ্জের অঞ্জন পুরকায়স্থসহ বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
সভায় বক্তারা বিগত ১৭ বছরের হিসাব-নিকাশ ও মন্দির উন্নয়ন তহবিলের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সিলেট মহানগর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের আহ্বায়ক সমিরন পুরকায়স্থ বলেন, হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের অর্থ কোথায় ব্যয় হয়েছে, তার জবাব পাওয়া দরকার।
সভা শেষে অশোক রায় বলেন, কিছু বক্তা ফ্যাসিস্টবাদের কথা উল্লেখ করে বিতর্কিত মন্তব্য করায় সভায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস.আই হাফিজুর রহমান জানান, আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। বর্তমানে পরিবেশ শান্ত রয়েছে।
এদিকে কমিটির বর্তমান সভাপতি করুণাসিন্ধু চৌধুরী বাবুল বলেন, মন্দিরের উন্নয়ন কাজে প্রায় ২৫ কোটি টাকার প্রকল্প চলমান রয়েছে। কিন্তু সিনিয়র সহ-সভাপতি মধুসুদন রায় ও কাননবন্ধু রায়ের নেতৃত্বে একটি স্বার্থন্বেষী মহল কমিটির মেয়াদ নিয়ে অযথা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে।
সভায় রাজারগাঁও গ্রামের নিরদ রায়, শ্রীবাস রায়, সুসেন রায়, অধীর রায়, মহেশ রায়, সুবল রায়, মনিন্দ্র রায়, লিটন রায়সহ ৩ শতাধিক ভক্ত ও স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।