
জিয়াউর রহমান ::
প্রবাসে বাংলাদেশের নারীদের নেতৃত্ব একধাপ এগিয়ে নিলেন এনটিভি ইউরোপ এর সিইও সাবরিনা হোসেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক স্টেটে সেনেট ও এসেম্বলি থেকে দুটি বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। নারী ক্ষমতায়নে তিনি বাংলাদেশের গর্ব। তার এই বিশেষ অবদানে বাংলাদেশের সুনাম বিশ্বে আরো ছড়িয়ে পড়বে।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর, শনিবার সাবরিনা হোসেন প্রথমে নিউইয়র্ক স্টেটের সেনেটর লুইস আর. সেপুলভেদার পক্ষ থেকে মর্যাদাপূর্ণ “সার্টিফিকেট অফ রিকগনিশন” গ্রহণ করেন। এরপর নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলির সদস্য ইউডেলকা টাপিয়ার কাছ থেকেও আরেকটি সম্মাননা গ্রহণ করেন।
অ্যাসেম্বলি সদস্য ইউডেলকা টাপিয়া বলেন, “সাবরিনা হোসেনের অনুপ্রেরণাদায়ক নেতৃত্ব, ন্যায়বিচার ও ক্ষমতায়নের প্রতি তাঁর অঙ্গীকার এবং সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা প্রশংসনীয়।”
মিডিয়া, কমিউনিটি এনগেজমেন্ট ও নারী ক্ষমতায়নে তাঁর অগ্রণী ভূমিকার স্বীকৃতিস্বরূপ এ সম্মাননা প্রদান করা হয়। একই সঙ্গে প্রবাসী কণ্ঠস্বরকে বৈশ্বিক পরিসরে তুলে ধরা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে তাঁর অবদানও বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়।
দুটি সম্মাননা গ্রহণের পর আবেগঘন কণ্ঠে সাবরিনা হোসেন বলেন, “আমি ভীষণ আনন্দিত ও গর্বিত। এই স্বীকৃতি শুধু আমার নয়, বরং আমাদের পুরো প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির। আমার কাজকে যে এত গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়েছে, তা আমাকে নতুন উদ্যমে কাজ করার অনুপ্রেরণা দিচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “নারী ক্ষমতায়ন, প্রবাসীদের কণ্ঠস্বর তুলে ধরা এবং সমাজের উন্নয়নের জন্য কিছু করা - এটাই আমার মূল লক্ষ্য।”
সাবরিনা হোসেনের এই অর্জনে যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশি কমিউনিটি গভীর আনন্দ প্রকাশ করেছে। তাঁদের মতে, এটি শুধু তাঁর ব্যক্তিগত অর্জন নয়, বরং বিশ্বমঞ্চে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অবস্থানকে আরও সুদৃঢ় করবে।
স্বর্ণালী সিলমোহরখচিত এই বিশেষ সম্মাননা প্রবাসী বাংলাদেশিদের সংগ্রাম, সাফল্য ও স্বপ্নের প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে। সাবরিনা হোসেন নিজ প্রচেষ্টায় প্রমাণ করেছেন - প্রবাসে থেকেও মাতৃভূমির গৌরব বাড়ানো সম্ভব।
তাঁর গর্বিত পিতামাতা জানান, এ স্বীকৃতিগুলো নারী ও নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। তাঁদের বিশ্বাস, সাবরিনার মতো নেতৃত্ব সামনে এলে প্রবাসীদের কণ্ঠস্বর আরও জোরালোভাবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রতিধ্বনিত হবে।