
সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
আগামী ১২ অক্টোবর থেকে সারা দেশে শুরু হতে যাচ্ছে জাতীয় টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন। স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নয় মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী কোনো শিশু বা ভাসমান জনগোষ্ঠী এ কার্যক্রমের বাইরে থাকবে না।
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটে আয়োজিত কর্মশালায় জানানো হয়, টাইফয়েড প্রতিরোধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত টিসিভি টিকা নিরাপদ ও কার্যকর। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানবহির্ভূত শিশুদের ইপিআই কেন্দ্র থেকে টিকা দেওয়া হবে। দুই বছরের কম বয়সী শিশুদের ঊরুর মাংসপেশিতে এবং দুই বছরের বেশি বয়সী শিশুদের বাহুর উপরিভাগে ০.৫ এম. এল. (মিলিলিটার) ইনজেকশন দেওয়া হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, বাংলাদেশে নয় মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী শিশুরাই টাইফয়েডে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকে। তাই এই বয়সী শিশুদের এক ডোজ টিকা দিয়ে দীর্ঘমেয়াদি সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ আলতাফ-উল-আলম কর্মশালায় বলেন, জনস্বাস্থ্য রক্ষায় গণমাধ্যমের সক্রিয় ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি শিশু-কিশোরদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ।
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মুহম্মদ হিরুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশ ইতিমধ্যে সংক্রামক রোগ প্রতিরোধে যে সাফল্য দেখিয়েছে, তার পেছনে গণমাধ্যমের অবদান রয়েছে। এবারও গণমাধ্যমের সহযোগিতায় টিসিভি টিকাদান কর্মসূচি সফল হবে।
আয়োজকদের মতে, কোনো শিশু বা ভাসমান জনগোষ্ঠী যেন টিকাদানের বাইরে না থাকে, সে বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। সচেতনতা বাড়লে শিশু-কিশোরদের মধ্যে টাইফয়েড সংক্রমণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসবে বলে তাঁরা আশা প্রকাশ করেন।
কর্মশালায় আরও জানানো হয়, বেদে সম্প্রদায়সহ দেশের কোনো প্রান্তিক জনগোষ্ঠীও এই কার্যক্রমের বাইরে থাকবে না। আয়োজকেরা আশা করেন, গণমাধ্যমের সহযোগিতায় সচেতনতা ছড়িয়ে পড়লে শিশু-কিশোরদের মধ্যে টাইফয়েড সংক্রমণ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে।