রাজনৈতিক সময় তরঙ্গে যারা ভাসে: মাহমুদ রেজা চৌধুরী

আপলোড সময় : ২৫-০৯-২০২৫ ১২:৩৩:৩৯ পূর্বাহ্ন , আপডেট সময় : ২৫-০৯-২০২৫ ১২:৩৩:৩৯ পূর্বাহ্ন
আমরা সবাই নির্দিষ্ট একটা সময়ে থাকি। সেটা মূলত, বর্তমান। এই বর্তমানটাকেই আমরা একভাবে নিজেদের ‘অস্তিত্বের সময়’ বলে মনে করি। অস্তিত্ব বলতে চলমান অবস্থান। অতীতে আমরা চলমান থাকি না। ভবিষ্যৎ, জানি না। তাই অনেকের কাছে বর্তমানটাই সময়। ‘সময়’-এর অনেক তরঙ্গ থাকে। কখনো সেটা দুর্বল, কখনো বা ভীষণ শক্তিশালী। নদীর দুর্বার ঢেউয়ের মতোই। নদীর ঢেউ কখনো দুর্বল, কখনো খুব শক্তিশালী হয়ে কোথাও কোথাও সুনামি তৈরি করে। তরঙ্গের সঙ্গে এক ধরনের ইলেক্ট্রিসিটি কাজ করে। ইলেক্ট্রিসিটির হঠাৎ ব্যবহারে আচমকা যেমন ‘শক’ সৃষ্টি হতে পারে, একইভাবে সময়ের তরঙ্গেও সেটা হয়। সময়ের কোনো ‘সুনামিতে’ ভেসে যাব কি-না, তা নির্ভর করে নদীর পাড়ে আমার ‘ভিত’ কতটা শক্ত বা শক্তিশালী। ভিত দুর্বল হলে ভেসে যাব, খরকুটোর মতো। একইভাবে নদী পাড়ের দুর্বল ভিটাবাড়ি বা জমিও ভেঙে যায়। তরঙ্গের শক্তি কতটা, নির্ভর করে সেই তরঙ্গ কী ভাঙবে কী গড়বে তার ওপর। গড়তে শক্তি বেশি লাগে, সেই তুলনায় কিছু ভাঙতে ততটা সময় লাগে না। আবার এটাও সত্যি যে, নদীর একূল ভাঙে তো ওকূল গড়ে! এমন করে সময়ের নানা তরঙ্গে, আমাদের সভ্যতা ও সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন সময়ে। সেই সভ্যতা, যেগুলোর ভিত শক্তিশালী সেটা বিকশিত হয়ে মানুষের ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করেছে যা এখনো করে। কিন্তু যেসব সভ্যতার ভীত দুর্বল, মানুষ দুর্বল, সমাজ দুর্বল সেইসব সভ্যতা যেকোনো সময় সময়ের যে কোনো নদী বা সমুদ্রের ঢেউয়ের সঙ্গে মিশে যায়। এ রকম অনেক সভ্যতা আছে পৃথিবীতে, এক সময় যা খুব শক্তিশালী ছিল কিন্তু পরে নিজের ভিত দুর্বল হওয়ার সঙ্গে সময়ের তরঙ্গে হারিয়ে গেছে। সে সবের ইতিহাস আছে, কিন্তু বর্তমান নেই। বর্তমান পরিবর্তনশীল। কোনো কিছু নিয়ে ভাবতে বা চিন্তা করতে গেলে, অনেক সময় ইতিহাসের দিনলিপির অনেক কিছু মনে হয়। কোন সময় কী ঘটেছিল! কতটা জানি! যেমন, পৃথিবীতে পদার্থ শক্তির উদ্ভব বা পদার্থবিদ্যার সূচনা হয়েছিল ১৩৫০ কোটি বছর আগে। অনেক ঐতিহাসিক মনে করেন, ‘পৃথিবী’ সৃষ্টি হয়েছিল ৪৫০ কোটি বছর আগে। প্রাণের আবির্ভাব, জীববিদ্যার সূত্রপাত আজ থেকে ৩৮০ কোটি বছর আগে। মানুষ ও শি¤পাঞ্জির পূর্বপুরুষ দেখা যায়, ৬০ লাখ বছর আগে। আফ্রিকায় আদি মানুষের বিকাশ বা পাথরের হাতিয়ারের উদ্ভাবন হয়, তাও প্রায় ২৫ লাখ বছর আগে। মানুষ আফ্রিকা থেকে ইউরেশিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে ২০ লাখ বছর আগে। মধ্যপ্রাচ্যে নিয়ানডারথাল মানুষের বিকাশ হয়, ৫ লাখ বছর আগে। প্রাত্যহিক কাজে আগুনের ব্যবহার ৩ লাখ বছর আগের ঘটনা। পূর্ব আফ্রিকায় আধুনিক মানুষের বিকাশ ২ লাখ বছর আগের। পৃথিবীতে বুদ্ধিভিত্তিক বিপ্লবের ইতিহাসের শুরু ৭০ হাজার বছর আগে। মানুষ অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ী আবাস গড়ে সেখানকার প্রাণিকুলকে ধ্বংস করে ৪৫ হাজার বছর আগে। নিয়াডারথালের বিলুপ্তি ঘটে ৩০ হাজার বছর আগে। মানুষ আমেরিকায় স্থায়ী আবাস গড়ে তোলে ১৬ হাজার বছর আগে। কৃষি বিপ্লব ঘটে ১২ হাজার বছর আগে। চীনে ‘হাম’ সা¤্রাজ্যের সূচনা হয় দুই হাজার বছর আগে। অনেক ঐতিহাসিকের মতে, ৫০০ বছর আগে বৈজ্ঞানিক বিপ্লবের শুরু। মানুষ তখন তার অজ্ঞতা বা অনভিজ্ঞতাকে বুঝতে এবং নজিরবিহীন শক্তি অর্জন করতে শুরু করে। পৃথিবীতে শিল্পবিপ্লব হয় ২০০ বছর আগে। ১৪০০ বছর আগে ইসলামের আবির্ভাব বা সূচনা। বর্তমান সময়ে মানুষ পৃথিবীর সীমা অতিক্রম করেছে। রাসায়নিক অস্ত্র মানবজাতির জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রযুক্তির নিত্যনতুন আবিষ্কার, নিত্যপরিবর্তন ও নতুন নতুন সংযোজন বলতে গেলে প্রতিদিনই হয় ও হচ্ছে। এই দীর্ঘ সময়ের তরঙ্গের কতটা দেখেছি বা জানি? তা নিয়ে ভাবি, আত্মজিজ্ঞাসাও হয়। পৃথিবীতে জানি না অনেক কিছু। সেই তুলনায় যা জানি, এক সরিষা বিন্দু পরিমাণ নয়। এতটুকু জানা নিয়েই আমাদের লম্বা লম্ফঝ¤প মাঝে মাঝে নির্বাক করে। এই কথাগুলো উল্লেখ করার কারণ, কথায় কথায় আমরা অনেকেই কথা বলি বা লিখি, যার যেভাবে খুশি সেভাবেই। অনেকের বলার মধ্যে একটা ‘দেহভঙ্গি’ থাকে এ রকম যে, আমিই অনেক কিছু জানি। হাজার বছরের সঙ্গে অনেক কিছুই তুলনা করে ফেলি নিমেষে। কিন্তু সেই হাজার বছর তো দূরের কথা, আমাদের জীবনকাল অধিকাংশের ১০০ বছরেরও না। পড়াশোনা? সেটাও খুব বেশি হলে কয়েকশো বইয়ের বেশি না। এর অন্যতম একটা কারণ, আমরা কিছু পড়তে যত না উৎসাহী তার চেয়ে বেশি ‘সিনেমা’ দেখতে ও ‘গান’ শুনতে আনন্দ পাই। হাজার পৃষ্ঠার বই পড়তে চাই না। এক মুখে ইতিহাসে হাজার বছরের ঐতিহ্যের কথা বলি। আবার স্বার্থে আঘাত লাগলেই সেই অতীতকে জীর্ণ, পুরাতন ও অপ্রগতিশীল বলি। তাই আমাদের যে কোনো কথার রেফারেন্সে একটা সীমারেখা থাকা দরকার। বর্তমান সময়ের অনেক সামাজিক মাধ্যম অধিকাংশ সময় সেই সীমারেখাকে অতিক্রম করে যায় আমাদের কথা এবং তার উপস্থাপনায়। তাই সামাজিক মাধ্যমগুলোও অসামাজিক হয়ে যাচ্ছে। মিথ্যা আর ইতিহাস বিকৃতির দুর্বার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত এরা একে অন্যের। আমাদের জ্ঞানের ভা-ার এত গভীর না যে, আমরা খুব দূর অতীত বা ভবিষ্যৎকে জানি বা দেখি। কথায় কথায় কোনো ব্যাপারে হতাশা ব্যক্ত করার আগেও সেই হতাশার ঐতিহাসিক কারণ ও তার বাস্তবতাকেও জানা দরকার। চারপাশের সবই মন্দ, আর আমি একাই সেখানে আলো বা ভালো তা তো নয়। সীমা বলতে আমাদের আচার-আচরণ ও তার উপস্থাপনায় বিনয় এবং অন্যের প্রতি সম্মান রেখে কথা বলা বা লেখায় ভিন্ন মানের গুরুত্ব আছে। যারা নিজেদের খুব শিক্ষিত বলে মনে করি, অন্তত তাদের বিষয়টা আরেকটু সযতেœ ভাবা উচিত তেমন কিছু লেখা বা বলার আগে। আমরা যারা মুর্খ, আমাদের শেখাবেন তারা। বর্তমান সময়ে আমাদের অনেক উচ্চ শিক্ষিতদের আচার-আচরণ কথাবার্তা এবং লেখালেখিতেও সবই ‘আমি’ জানি, মেসেজ দিই। অন্যরা যা জানে, সেটা ভুল! এমন একটা ‘মেসেজ’ দেওয়ার চেষ্টাও থাকে। এটা সমাজ ও রাষ্ট্রের কোনো ইতিবাচক কাজে আসে না। সমালোচনা তো ইচ্ছা করলেই করা যায়। কিন্তু সব সমালোচনার পেছনে, তারও যে একটা আলোচনা আছে এটাও মস্তিষ্কে থাকা চাই। প্রতি মুদ্রার যেমন দুই পিঠ, প্রতি গল্পেরও দুই দিক আছে। এর অসংখ্য দৃষ্টান্ত রয়েছে। যাই হোক, আমরা যদি আমাদের খুব সাম্প্রতিক সময়ের তরঙ্গের দিকেও তাকাই, সেই তরঙ্গের অনেক স্তর আছে। কেন জানি মনে হয়, আমরা ২০২৪-এর তরঙ্গ এবং সেই সময়ের গতিকে ধরে রাখতে পারছি না ইতিবাচক অর্থে। আমরা যেন একটা বিশেষ প্রয়োজনে, ২০২৪-কে সফলভাবে সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলাম। অনেক স্বপ্ন ছিল, এখনো আছে। কিন্তু ৫৩ বছরের আবর্জনা অনেকেই খুব অল্প সময়ে ধুয়েমুছে একটা নতুন কিছু দেখার স্বপ্নবিলাস ধারণ করি। আমরা ইতিহাসের দিনলিপি ভুলে যাই। যেভাবে ভুলে যাই, হাজার বছরের ইতিহাসের দিনলিপিকেও। একইভাবে আমরা ভুলে যাই বা ভুলে যাচ্ছি, মাত্র এক বছরের আগের ইতিহাসের দিনলিপি আমাদের দুর্ভাগ্যই এটা। ভুলে যাই একটা সভ্যতার পরে, আরেকটা সভ্যতার সূচনা শত বছরেও ঘটে না। বিপ্লব বা অভ্যুত্থান। এটা ঘটানো যতটা সহজ, রক্ষা করা বা এর মানকে ধরে রাখা তার চেয়ে অনেক বেশি কঠিন কাজ। সেই কঠিনের কাছে আমরা হেরে যাচ্ছি একটু একটু করে প্রতিদিন। হেরে যাচ্ছে রাষ্ট্র, প্রশাসন, তথাকথিত সুশীল সমাজ, রাজনীতি এবং রাজনীতিকরা। হেরে যাচ্ছে, সেই বিপ্লবের সাহসী যুবক ও তরুণ নেতৃত্ব। অভ্যুত্থানের যুব নেতৃত্বের সততা, সাহস এবং উদ্যমতা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলছেন। খুব পরিকল্পিতভাবে দূরে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে তাদের, নানা ধরনের লোভ ও দৃশ্যত প্রাপ্তি দিয়ে। এ ভাবে গণঅভ্যুত্থানকে হয়তো আমরা আবার হারাতে পারি। যার অনেক দৃষ্টান্ত আছে চারপাশে। সংক্ষেপে দুই-একটা বলি। যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘের প্রতিবছরের সাধারণ সভায় আমাদের কাজ কী? প্রতিবছর আমাদের এখানে হাজিরা দেওয়ার তেমন কোনো রাষ্ট্রীয় জনস্বার্থ আছে কি-না? এবারকার রাষ্ট্রীয় সফরে দেখা গেল, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সদস্যরা যুক্ত হয়েছেন ‘রাষ্ট্রীয় বহরের’ সঙ্গে। আমরা ইতিহাসকে সম্মুখ পথে চালাতে গিয়ে যদি বারবার পেছন দিকে নিয়ে যাই, তাহলে সেই গতি কি সামনের পথ এগোতে পারে নির্দিষ্ট একটা সময়ে? বিজ্ঞ রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বের দূরদৃষ্টির দুর্বলতা ও পরাজয় এই সময়ের তরঙ্গের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। এ সফরে যারা রাষ্ট্রীয় বহরের অতিথি হয়ে এসেছেন, এরা কেউ এসেছেন দলীয় কাজে, কেউ বা ব্যক্তিগত। রাষ্ট্রের বৃহত্তর স্বার্থে কী কাজ তাদের এখানে? কে, কাকে ও কেন সন্তুষ্ট করতে চাচ্ছি আমরা? সময়ের স্রোতের বিপরীতে দাঁড়াতে গিয়ে শক্তভাবে এবারও মনে হয় দাঁড়াতে পারছি না। এখানেও আমাদের শ্রেণি ও ব্যক্তিস্বার্থ অভিন্ন থেকে গেল আগের মতো। তবু আশাবাদী, সময় বা নদীর স্রোতে তীর ভাঙতে ভাঙতেই নতুন তীর সৃষ্টি হবে। সভ্যতার ইতিহাস তাই বলে। ইতিহাসের দিনলিপি কেবল ক্ষয়ের না। জয়েরও আছে। আমরা বারবার হেরে গেলেও, জিতে যাব একবার। তবে জিতে গেলে বিজয়ীরাই যেন সেই ইতিহাস না লিখতে চাই। সময়ের তরঙ্গে ইতিহাস লিখবে যারা, এই তরঙ্গ বা স্রোতে তারা নগণ্য সংখ্যক। পরবর্তী সময়ে ইতিহাস লিখতে ইচ্ছা করলে, সেই ইতিহাস যেন মজলুম কেউ লেখেন। তাহলে পরাজয়ের মূল কারণ জানতে পারব। মজলুমের কষ্ট বুঝতে পারব। ভবিষ্যৎ সময়ের তরঙ্গ আমাদের সেইভাবে অনুপ্রেরণা জোগাক। আমাদের ভবিষ্যৎ আগামীকালই পরিবর্তন হবে, মনে করি না। তেমন কোনো সুনামি না ঘটলে। বহুদিনের পুরনো শার্ট ড্রাই ক্লিনারে দিলেও তাকে জীর্ণই মনে হয়। প্রকৃতির গতি যখন বাধাগ্রস্ত হয়, সহজ গতিপথের গতি তখন হারিয়ে যায় কোনো মরুভূমিতে। অথবা আবর্জনার স্তূপে। তখন প্রকৃতির সুনামি আপনাতেই সৃষ্টি হয়। ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরি জ্বলে ওঠে। এটাও প্রকৃতির নিয়ম। ২০২৪-এর অভ্যুত্থান ব্যর্থ হলে, নিশ্চিত সে রকম আরেকটা তরঙ্গের আগ্নেয়গিরি জ্বলে উঠবে। চারপাশে আমাদের জমির বিভিন্ন জায়গায় ইতিমধ্যে পুঁতে রাখা হয়েছে তেমন অসংখ্য গুপ্ত বোমা। বিস্ফোরিত হতে পারে, সময়ের নির্মম তরঙ্গে। আমরা জানি, মানুষের জীবনে সৃজনশীল দিক সব রকম রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ থেকে যতদূর সম্ভব মুক্ত থাকা যাতে তা ফুর্তি ও পরিপুষ্টি লাভ করতে পারে। ব্যক্তিজীবনের এই দিকের উন্নতির জন্য রাষ্ট্র ব্যক্তির বা নাগরিকের আত্মপ্রকাশের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারলে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করলে সময়ের তরঙ্গে আমাদের ভাঙাগড়ার পরেও আমরা যে বিনির্মাণ শিল্প স্থাপন করব রাষ্ট্র ও সমাজ পুনর্গঠনে সেটা ইতিহাসে সময়ের তরঙ্গে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকার সম্ভাবনা আছে। এটাই আমাদের ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করবে পুরাতনকে ভেঙেচুরে যে পুরাতন হিংসা, প্রতিহিংসা, মিথ্যা ও স্বৈরশাসনের। ৫৩ বছরের সময়ের তরঙ্গে যদি আমরা আমাদের প্রধান শত্রু ও মিত্র কে তাকে চিনতে না পারি। সেই ব্যর্থতার দায় সমস্ত জাতির। বিশেষ করে নির্দিষ্ট সমাজ ও রাষ্ট্রের কথিত সুশীল সমাজের ব্যর্থতাও এটা। [সংকলিত] লেখক : সমাজ ও রাজনীতি বিশ্লেষক

সম্পাদকীয় :

  • সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : মো. জিয়াউল হক
  • সম্পাদক ও প্রকাশক : বিজন সেন রায়
  • বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : মোক্তারপাড়া রোড, সুনামগঞ্জ-৩০০০।

অফিস :

  • ই-মেইল : [email protected]
  • ওয়েবসাইট : www.sunamkantha.com