
স্টাফ রিপোর্টার ::
নিরীহ ব্যক্তি ললিত মোহন দাসকে পিলারের সাথে বেঁধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার কুরবাননগর ইউনিয়নের শেখেরগাঁও গ্রামের মৃত করম আলীর ছেলে হাবিব মিয়ার বিরুদ্ধে। এই ঘটনার প্রতিবাদে এলাকাবাসীর উদ্যোগে শুক্রবার বিকাল ৩টায় আইমাগাঁও গ্রামে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত মঙ্গলবার দোয়ারাবাজার উপজেলার মান্নারগাঁও ইউনিয়নের আইমা নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত লাল চাঁন দাসের ছেলে নিরীহ ললিত মোহন দাস (৬৫)কে অতর্কিতভাবে ধরে নিয়ে হাবিব মিয়ার বসতঘরে পিলারের সাথে বেঁধে বেধড়ক মারপিট করে। খবর পেয়ে সদর থানার পুলিশ ললিত মোহন দাসকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় গত বৃহ¯পতিবার পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন নির্যাতিত ললিত মোহন দাস। শুক্রবার দোয়ারাবাজার থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনের কথা থাকলেও পরিদর্শন করেনি। বক্তারা বলেন, আমরা নিরীহ ব্যক্তি ললিত মোহন দাসকে নির্যাতনকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কুরবাননগর ইউপি সদস্য আমির হোসেন, স্থানীয় সালিশ ব্যক্তিত্ব আব্দুস শহীদ, ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম, আইমাগাঁও গ্রামের ডা. চিত্তরঞ্জন পুরকায়স্থ, সরকত আলী, রইছ আলী, হীরামন দাস, আব্দুল খালিক, আব্দুল হামিদ, আজিম উদ্দিন, আব্দুল মালিক, মান্নারগাঁও গ্রামের গিয়াস উদ্দিন, গোপালপুর গ্রামের কাওসার আহমদ, যোগীরগাঁও গ্রামের আলতাব আলী প্রমুখ।
বক্তারা আরও বলেন, ললিত মোহন দাস দোয়ারা উপজেলার আইমাগাঁও গ্রামের কিত্তায় প্রতিদিনের মতো গরু রাখালি করছিলেন। তখন দুপুর অনুমান ১টা। গরু নিয়ে মাঠ থেকে বাড়িতে আসার পথে ৪ জন মহিলা দলবদ্ধভাবে এসে অতর্কিতভাবে তাকে ধরে ফেলে। এ সময় আরও ৪জন পুরুষ দৌড়ে এসে মোট ৮ জনে মিলে তাকে নানাভাবে বেধড়ক মারপিট করে। পরে তাকে ভয় দেখিয়ে অনুমান ২০ মিনিটের পথ পায়ে হেঁটে নিয়ে যায় সদর উপজেলার আওতায় থাকা শেখেরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা হাবিব মিয়ার বসতবাড়িতে। পরে ওই বাড়িতে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে উপস্থিত থাকা আরও কয়েকজন তাকে আবারও মারপিট করে। পরে রশি দিয়ে বেঁধে রাখে বসতঘরের পিলারের সাথে।
নির্যাতিত ললিত মোহন দাস বলেন, সদর থানা পুলিশ সরেজমিন গিয়ে আমার হাতে-পায়ে রশি দিয়ে বাঁধা দেখতে পান। এই ঘটনার বিষয়ে এস.আই অভিজিৎ ভৌমিকের কাছে বর্ণনা দিয়েছি।
ললিত মোহন দাস বলেন, আমি বিবাহিত এবং সন্তান ও নাতিপুতি রয়েছে। এমন ঘটনায় আমার সম্মানহানি ঘটেছে। প্রকৃতপক্ষে দীর্ঘদিন যাবত হাবিব মিয়া ও উল্লেখিত বিবাদীদের সাথে অন্যান্য বিষয়ে দোয়ারা থানায় ও সুনামগঞ্জের আদালতে মামলা চলে আসছিল। এই ঘটনার আক্রোশে তারা পরিকল্পিতভাবে আমার সাথে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক ন্যায়বিচার চাই।